ঢাকা ১১:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য: ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার!




সিক্রেট গ্রুপে লোমহর্ষক চ্যাটিং: ‘মাইর বেশি হয়ে গেছে’ ‘আবরার মরে যাচ্ছে’!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৪২:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০১৯ ৭৫ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক; 
বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার ঘটনায় চমকে উঠেছে জাতির বিবেক। যে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা যায় উচ্চশিক্ষার জন্য, সেটা এখন পরিণত হয়েছে খুনীদের অভয়ারণ্যে। সবচেয়ে ভয়ংকর ব্যাপার হলো, এসব অপরাধের কোনো বিচার না হওয়া। আবরার হত্যার পর আবারও বিচারহীনতা প্রকাশ্যে এসেছে। প্রকাশিত হয়েছে খুনিদের লোমহর্ষক পরিকল্পনার কথা।

আবরারকে নির্যাতনের পরিকল্পনা ঘটনার আগেই হয়েছিল। এটা রাগের মাথায় ঘটানো তাৎক্ষণিক কোনো দুর্ঘটনা নয়, রীতিমতো ঠাণ্ডা মাথার পরিকল্পনা। মিডিয়ার হাতে চলে এসেছে বুয়েট ছাত্রলীগের সদস্যদের সিক্রেট গ্রুপের কথোপকথন। ঘটনার একদিন আগেই ফেসবুকের সিক্রেট গ্রুপে আবরারকে নির্যাতনের নির্দেশ দেন বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদি হাসান রনি।

৫ অক্টোবর শনিবার দুপুর পৌনে ১টায় সিক্সটিন ব্যাচকে ম্যানশন করে রনি লিখেন, ‘১৭ আবরার ফাহাদ। মেরে হল থেকে বের করে দিবি দ্রুত। দুই দিন টাইম দিলাম।’

পরদিন রবিবার সন্ধ্যা ৭টা ৫৫ মিনিটে মনিরুজ্জামান মনির সিক্রেট গ্রুপে লিখেন, ‘নিচে নাম সবাই’।

ওইদিন রাত ৮টা ১‌৩ মিনিটে আবরারকে নিজ কক্ষ থেকে ডেকে হলের করিডোর দিয়ে দোতলার সিঁড়ির দিকে নিয়ে যান সাদাত, তানিম, বিল্লাহ সহ কয়েকজন। এরপর রাত ১টা ২৬ মিনিটে ইফতি মোশাররফ সকাল মেসেঞ্জারে লিখেন, ‘মরে যাচ্ছে! মাইর বেশি হয়ে গেছে।’

তারপরের ঘটনা সবার জানা। আবারের নিথর দেহ পড়ে ছিল সিঁড়ির কাছে। হলের ডাক্তারই তাকে মৃত ঘোষণা করেন। স্রেফ সাধারণ একটা ফেসবুক স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে একজন বুয়েট শিক্ষার্থীকে প্রাণে মেরে ফেলা হতে পারে, এটা ভাবতে পারছেন না কেউ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




সিক্রেট গ্রুপে লোমহর্ষক চ্যাটিং: ‘মাইর বেশি হয়ে গেছে’ ‘আবরার মরে যাচ্ছে’!

আপডেট সময় : ১০:৪২:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০১৯

অনলাইন ডেস্ক; 
বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার ঘটনায় চমকে উঠেছে জাতির বিবেক। যে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা যায় উচ্চশিক্ষার জন্য, সেটা এখন পরিণত হয়েছে খুনীদের অভয়ারণ্যে। সবচেয়ে ভয়ংকর ব্যাপার হলো, এসব অপরাধের কোনো বিচার না হওয়া। আবরার হত্যার পর আবারও বিচারহীনতা প্রকাশ্যে এসেছে। প্রকাশিত হয়েছে খুনিদের লোমহর্ষক পরিকল্পনার কথা।

আবরারকে নির্যাতনের পরিকল্পনা ঘটনার আগেই হয়েছিল। এটা রাগের মাথায় ঘটানো তাৎক্ষণিক কোনো দুর্ঘটনা নয়, রীতিমতো ঠাণ্ডা মাথার পরিকল্পনা। মিডিয়ার হাতে চলে এসেছে বুয়েট ছাত্রলীগের সদস্যদের সিক্রেট গ্রুপের কথোপকথন। ঘটনার একদিন আগেই ফেসবুকের সিক্রেট গ্রুপে আবরারকে নির্যাতনের নির্দেশ দেন বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদি হাসান রনি।

৫ অক্টোবর শনিবার দুপুর পৌনে ১টায় সিক্সটিন ব্যাচকে ম্যানশন করে রনি লিখেন, ‘১৭ আবরার ফাহাদ। মেরে হল থেকে বের করে দিবি দ্রুত। দুই দিন টাইম দিলাম।’

পরদিন রবিবার সন্ধ্যা ৭টা ৫৫ মিনিটে মনিরুজ্জামান মনির সিক্রেট গ্রুপে লিখেন, ‘নিচে নাম সবাই’।

ওইদিন রাত ৮টা ১‌৩ মিনিটে আবরারকে নিজ কক্ষ থেকে ডেকে হলের করিডোর দিয়ে দোতলার সিঁড়ির দিকে নিয়ে যান সাদাত, তানিম, বিল্লাহ সহ কয়েকজন। এরপর রাত ১টা ২৬ মিনিটে ইফতি মোশাররফ সকাল মেসেঞ্জারে লিখেন, ‘মরে যাচ্ছে! মাইর বেশি হয়ে গেছে।’

তারপরের ঘটনা সবার জানা। আবারের নিথর দেহ পড়ে ছিল সিঁড়ির কাছে। হলের ডাক্তারই তাকে মৃত ঘোষণা করেন। স্রেফ সাধারণ একটা ফেসবুক স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে একজন বুয়েট শিক্ষার্থীকে প্রাণে মেরে ফেলা হতে পারে, এটা ভাবতে পারছেন না কেউ।