ঢাকা ০৭:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩০ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo বিপুর লুটেরা সহযোগী ও বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের সভাপতি গাউছ মহিউদ্দিন বহাল পিজিসিবিতে! Logo আর্থিক খাতে লুটপাটের মাস্টারমাইন্ড: কে এই প্রতারক ক্যাপ্টেন মোয়াজ্জেম? Logo নিবন্ধন অধিদপ্তরের দুর্নীতির সম্রাট সালাম আজাদ! Logo ইন্সপেক্টর রেজায়ে রাব্বীর বিষয়ে বিভ্রান্তি নিরসনে ফায়ার সার্ভিসের বক্তব্য Logo স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে লাটিম ঘুরাচ্ছেন ৬ ‘কুতুব’ Logo ওয়াসা প্রকৌশলী ফকরুলের আমলনামা: অবৈধ সম্পদের সাম্রাজ্য Logo আশা ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগে নবীন বরণ অনুষ্ঠিত Logo চাঁদার টাকা না পেয়ে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা Logo সাংবাদিকদের হত্যা চেষ্টার ঘটনায় চ্যানেল এস এর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা Logo জামিনে মুক্ত রিজেন্টের চেয়ারম্যান সাহেদ




নারীদের দিয়ে দেহ ব্যবসার চক্রে রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:৩৭:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ অক্টোবর ২০১৯ ৯৮ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্কঃ রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সাবেক চেয়ারম্যান প্রকৌশলী জয়নাল আবেদন ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে নারীদের দিয়ে দেহ ব্যবসা জড়িত থাকার অভিযোগ এসেছে। শুধু তাই নয় চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে নারী পাচারে লিপ্ত বলে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন এক ব্যবসায়ী।

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ তুলে ধরেন শরিফুল ইসলাম নামের ওই ব্যবসায়ী।

তার দাবি, প্রতিবাদ করায় চক্রটি তাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে। জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

সংবাদ সম্মেলনে শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘২০১৬ সালে মুগদা এলাকায় থাকাকালীন তার পাশের একটি ফ্ল্যাটে নারীদের দিয়ে অবৈধ ব্যবসার বিষয় জানতে পারি। স্থানীয়দের সহায়তায় অপ্রীতিকর অবস্থায় ওই বাসা থেকে কয়েকজনকে আটক করে পুলিশে দেওয়া হয়।’

‘এরপর ওসিকে ফোন দিয়ে সবাইকে ছাড়াতে তদবির করেন প্রকৌশলী জয়নাল আবেদন ভূঁইয়া। এ সময় ওসি আমাকে বলেন, এটা নিয়ে আর কিছু করার দরকার নেই। রাজউকের চেয়ারম্যান স্যার ফোন করেছিল তাদের ছাড়তে।’

এ ঘটনার পর স্থানীয় কিছু সন্ত্রাসী তার ওপর হামলা চালায় বলে দাবি করেন ওই ব্যবসায়ী। বলেন, ‘পরে ওই এলাকা থেকে বাসা ছেড়ে আসতে বাধ্য হই। বিষয়টি নিয়ে সেই বছরের ৩০ জুন মুগদা থানায় জিডি করি। যার নম্বর ১৪৫১। এরপরও পুলিশ কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।’

গণপূর্ত অধিদপ্তরে ঠিকাদারির সঙ্গে যুক্ত থাকায় সেখানে তার আসা-যাওয়া ছিল উল্লেখ করে শরিফুল বলেন, ‘অধিদপ্তরে বাবু ওরফে সাধু বাবু নামে একজনকে তিনি চিনতে পারেন। ওই বাবু মুগদা এলাকায় নারীদের দিয়ে দেহব্যবসা করতেন। জয়নাল আবেদিন ভুঁইয়া গণপূর্ত অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী থাকা অবস্থায় সাধু বাবু তার সহযোগী হিসেবে কাজ করতেন।’

‘পরে জানতে পারি নারীদের দিয়ে দেহব্যবসা শুধু মুগদা এলাকা না- জাতীয় প্রেসক্লাবের বিপরীতেও তাদের ব্যবসা রয়েছে। বিশেষ করে হোটেল বৈশাখী, দুবাই, বনানীর ভিক্টোরিয়া ট্রাভেলসে নারী পাচারের অভিযোগ রয়েছে এই সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে র‌্যাব মহাপরিচালক বরাবর ওই বছরের ৪ অক্টোবর একটি লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছিল।’

শরিফুলের ভাষ্য, সাধু বাবু ছাড়াও বর্তমানে জয়নাল আবেদিনের সহযোগী হিসেবে সোভান্না আক্তার ময়না, সাজেদা আক্তার পুতুল, রুবেল নামে বেশ কয়েকজন তাকে হত্যার চেষ্টা করছে। এতে তিনি জীবন শঙ্কায় রয়েছেন। এ বিষয়ে তিনি সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

অভিযোগ বিষয়ে জানতে প্রকৌশলী জয়নাল আবেদন ভূঁইয়ার ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরে একাধিক যোগাযোগ করা হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




নারীদের দিয়ে দেহ ব্যবসার চক্রে রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান!

আপডেট সময় : ০৩:৩৭:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ অক্টোবর ২০১৯

নিউজ ডেস্কঃ রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সাবেক চেয়ারম্যান প্রকৌশলী জয়নাল আবেদন ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে নারীদের দিয়ে দেহ ব্যবসা জড়িত থাকার অভিযোগ এসেছে। শুধু তাই নয় চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে নারী পাচারে লিপ্ত বলে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন এক ব্যবসায়ী।

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ তুলে ধরেন শরিফুল ইসলাম নামের ওই ব্যবসায়ী।

তার দাবি, প্রতিবাদ করায় চক্রটি তাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে। জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

সংবাদ সম্মেলনে শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘২০১৬ সালে মুগদা এলাকায় থাকাকালীন তার পাশের একটি ফ্ল্যাটে নারীদের দিয়ে অবৈধ ব্যবসার বিষয় জানতে পারি। স্থানীয়দের সহায়তায় অপ্রীতিকর অবস্থায় ওই বাসা থেকে কয়েকজনকে আটক করে পুলিশে দেওয়া হয়।’

‘এরপর ওসিকে ফোন দিয়ে সবাইকে ছাড়াতে তদবির করেন প্রকৌশলী জয়নাল আবেদন ভূঁইয়া। এ সময় ওসি আমাকে বলেন, এটা নিয়ে আর কিছু করার দরকার নেই। রাজউকের চেয়ারম্যান স্যার ফোন করেছিল তাদের ছাড়তে।’

এ ঘটনার পর স্থানীয় কিছু সন্ত্রাসী তার ওপর হামলা চালায় বলে দাবি করেন ওই ব্যবসায়ী। বলেন, ‘পরে ওই এলাকা থেকে বাসা ছেড়ে আসতে বাধ্য হই। বিষয়টি নিয়ে সেই বছরের ৩০ জুন মুগদা থানায় জিডি করি। যার নম্বর ১৪৫১। এরপরও পুলিশ কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।’

গণপূর্ত অধিদপ্তরে ঠিকাদারির সঙ্গে যুক্ত থাকায় সেখানে তার আসা-যাওয়া ছিল উল্লেখ করে শরিফুল বলেন, ‘অধিদপ্তরে বাবু ওরফে সাধু বাবু নামে একজনকে তিনি চিনতে পারেন। ওই বাবু মুগদা এলাকায় নারীদের দিয়ে দেহব্যবসা করতেন। জয়নাল আবেদিন ভুঁইয়া গণপূর্ত অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী থাকা অবস্থায় সাধু বাবু তার সহযোগী হিসেবে কাজ করতেন।’

‘পরে জানতে পারি নারীদের দিয়ে দেহব্যবসা শুধু মুগদা এলাকা না- জাতীয় প্রেসক্লাবের বিপরীতেও তাদের ব্যবসা রয়েছে। বিশেষ করে হোটেল বৈশাখী, দুবাই, বনানীর ভিক্টোরিয়া ট্রাভেলসে নারী পাচারের অভিযোগ রয়েছে এই সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে র‌্যাব মহাপরিচালক বরাবর ওই বছরের ৪ অক্টোবর একটি লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছিল।’

শরিফুলের ভাষ্য, সাধু বাবু ছাড়াও বর্তমানে জয়নাল আবেদিনের সহযোগী হিসেবে সোভান্না আক্তার ময়না, সাজেদা আক্তার পুতুল, রুবেল নামে বেশ কয়েকজন তাকে হত্যার চেষ্টা করছে। এতে তিনি জীবন শঙ্কায় রয়েছেন। এ বিষয়ে তিনি সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

অভিযোগ বিষয়ে জানতে প্রকৌশলী জয়নাল আবেদন ভূঁইয়ার ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরে একাধিক যোগাযোগ করা হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।