জামায়াত-শিবির বানানোর ঘৃণ্য চক্রান্তে নাজেহাল যুবক!
- আপডেট সময় : ১১:৪০:৪৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ অক্টোবর ২০১৯ ১৩২ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
সম্প্রতি বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরারের মৃত্যু তাকে জামায়াতের কর্মী হিসেবে ট্যাগ দেওয়া দেশবাসীর কাছে এতটাই ঘৃনায় জন্ম দিয়েছে তা স্পষ্ট গণমানুষের সরবকন্ঠ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মানুষের প্রতিক্রিয়া। সমাজের কিছু ঘৃণ্য সুবিধাবাধি মানুষ নিজের অসাধু লালসা হাসিলের জন্য ভালো মানুষকে জামায়াত শিবির পন্থী ট্যাগ লাগিয়ে এমন হয়রানি করে আসছে যার উদাহরণ সারাদেশে স্পষ্ট। বুয়েটের আবরার হত্যা তার একটি নমুনা মাত্র। তেমনি উত্তরা দক্ষিণখানের মোঃ ইমাদ উদ্দিন আহমেদ (হাসান) নামের এক মেধাবী ছাত্র ঘৃন্য প্রতিহিংসার স্বীকার হয়ে হারিয়েছেন চাকুরী, সমাজের হারিয়েছেন তার সম্মান।
সুত্র মতে জানা গেছে, রাজধানীর ৪৪ নং ওয়ার্ডে এই পরিবাটি স্থায়ী ভাবে বসবাস করছেন দীর্ঘদিন যাবত। মেধাবী ও ভদ্র ছেলে হিসেবেই এলাকার সকলের কাছে পরিচিত হাসান। ২০১০ ও ২০১২ সালে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় জিপিএ ফাইভ পেয়ে জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হোন। পরিবারের প্রয়োজনে ২০১৩ সালে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নিরাপত্তা বিভাগে অস্থায়ী ভিত্তিতে নিরাপত্তা কর্মচারী হিসেবে যোগ দেন ইমাদ উদ্দিন আহমেদ ( হাসান)। তার পরিবারের সকলেই বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সঙ্গে জড়িত। হাসানের বাবাও ছাত্রজীবন থেকেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে আওয়ামীলীগের অনেক বড় কর্মী হিসেবে নিজের অবস্থান করে নিতে সক্ষম হয়েছেন বলে জানা গেছে। তিনি তার কলেজের এজিএস হিসেবেও দ্বায়িত্ব পালন করেছেন বলে অনুসন্ধানে জানা গেছে।
২০১৭ সালে কতিপয় প্রভাবশালী প্রতিবেশীর শত্রুতার সূত্রপাত ধরে তার ফেসবুক আইডি হ্যাক করে এবং প্রযুক্তির কারসাজিতে ছবি, পোস্ট ইত্যাদি কাটছাঁট করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করার চেষ্টায় লিপ্ত হয় একটি পক্ষ, এবং তাকে জামাত-শিবির বানানোর ঘৃন্য ষড়যন্ত্র করছে যা তার জীবনকে বিষিয়ে তুলেছেন । যা তার পরিবারের বিগত দিনের আওয়ামীলীগের জন্য সকল ত্যাগকে কলঙ্কিত করেছে।
এসব বিষয়ে ইমাদ উদ্দিন আহমেদ (হাসান) বলেন, আমার বাবা শিক্ষা জীবন থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত, আমরা পরিবারের সকলে বঙ্গবন্ধুর আদর্শেে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সক্রিয় কর্মী অথচ আমাকে একটি স্বার্থান্বেষী মহল জামায়াত শিবিরের কর্মী হিসেবে ট্যাগ লাগিয়ে হয়রানি করার প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। যা আমার জীবনকে বিষিয়ে তুলেছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকটে আমি এই হয়রানির বিচার চাই।
ইমাদ উদ্দিন আহমেদ (হাসান)’র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ছাত্র জীবনে তার কোনো রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা ছিল না পরবর্তী সময়ে তিনি স্থানীয় আওয়ামীলীগের একজন সক্রিয় কর্মী হিসেবেই এলাকাবাসীর নিকট পরিচিত। ৪৪ নং ওয়ার্ডের তাদের অনেক প্রতিবেশীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে হাসানের পরিবারের সকলেই স্থানীয় আওয়ামী লীগের একনিষ্ঠ সমর্থক হিসেবেই সবাই চিনেন ও জানেন।
স্থানীয় থানা পুলিশ, ওয়ার্ড কমিশনার সহ সকল জনপ্রতিনিধিগণও তাদের ব্যাপারে বিরূপ কোনো মন্তব্য করেননি। স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা ও ওয়ার্ড কমিশনার বলেন ইমাদ উদ্দিন আহমেদ (হাসান) আমার একজন সক্রিয় কর্মী। তার পরিবার আমার এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা, হাসানের বাবাও ছাত্র ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন বলে আমি জেনেছি।
ইমাদ উদ্দিন আহমেদ হাসানের গ্রামের বাড়ি, কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর থানাধীন হালিমপুর ইউনিয়ন। হালিমপুর ইউনিয়ন সভাপতি আঃ গণি নিশ্চিত করেছেন, তার পিতা নুরুদ্দিন আহমেদ ছাত্র জীবনে ১৯৭৯-১৯৮১ শিক্ষা বর্ষে বাজিতপুর ডিগ্রি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) ছিলেন। তৎকালীন ছাত্রলীগের অন্যতম কান্ডারিও ছিলেন, যখন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অত্যন্ত দুঃসময় ছিল। এছাড়া তিন বারের স্থানীয় সংসদ সদস্য জনাব আলহাজ্ব আফজাল হোসেন চৌধুরী ও তাকে দীর্ঘ দিন যাবত চেনেন এবং জানেন।
এমন একটি আওয়ামীলীগের একনিষ্ঠ পরিবারকে বর্তমানে ঘৃন্য রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হতে হচ্ছে। উল্লেখ্য “জামাত-শিবির’ মিথ্যা ট্যাগ লাগিয়ে এমন প্রতিহিংসার স্বীকার এই হাসান “বিমানের নিরাপত্তা কর্মকর্তাকর্মীর” অস্থায়ী চাকুরীটাও হারিয়েছে যার কারনে পারিবারিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তার সাবেক বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নিরাপত্তা বিভাগে কথা বলে জানা যায়, ইমাদ উদ্দিন আহমেদ হাসানের বিরুদ্ধে কিছু কথা উঠেছে তাই তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছিল তবে এসব তথ্যেেের কোন বাস্তবতা পাওয়া যায়নি। উল্লেখ্য বিমান বাংলাদেশ এর অস্থায়ী কর্মচারী হওয়ার কারনে উত্থাপিত অভিযোগের ভিত্তিতে কোনো প্রকার তদন্ত করা ছাড়াই ওই সময়ে তাকে চাকরি হতে মৌখিক ভাবে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এসব প্রতিহিংসামূলক গুজবে কর্মসংস্থান হারিয়ে ইমাদ উদ্দিন আহমেদ হাসানের পরিবারটি চরম নিরাপত্তাহীনতার পাশাপাশি মানবেতর জীবনযাপন করছে।