ঢাকা ১২:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo চবি’ প্রাক্তন অর্থনীতি ছাত্র সমিতি কুয়েসা’র সভাপতি আব্দুল্লাহ সম্পাদক আগা আজিজ  Logo স্বৈরাচার সরকারের দোসর বিসিক কর্মকর্তা সরোয়ার: দুর্নীতিতে গড়েছেন অবৈধ সম্পদের পাহাড় Logo শেখ হাসিনার প্রেতাত্মা মোজাম্মেলকে ফায়ার সার্ভিসে বহাল রাখতে মরিয়া সিন্ডিকেট Logo Logo স্বৈরাচার সরকারের দোসর সিন্ডিকেট ফায়ার সার্ভিসে বহাল তবিয়তে Logo উত্তরার আতংক ছোটন পুলিশের খাঁচায় Logo বিশ্ব কন্যা শিশু দিবসে নেলসন ম্যান্ডেলা পিস এ্যাওয়ার্ড পেলেন সাংবাদিক এম শিমুল খান Logo জাতীয় সংসদে অঘোষিত প্রধানমন্ত্রী ইলিয়াস: দেশ-বিদেশের সম্পদের পাহাড়! Logo স্বৈরাচারের দোসরদের থাবায় পৈত্রিক সম্পদ হতে বিতারিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোতাহার হোসেন Logo জিয়া সাইবার ফোর্স ঢাকা মহানগর উত্তর’ আহব্বায়ক কমিটি গঠন




ইয়েমেন-সৌদি সীমান্তে কয়েক হাজার সৌদি সেনা আটক

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:১৬:১০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১০৪ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা বলছে, তারা কয়েক হাজার সৌদি সেনাকে আটক করেছে। ইয়েমেন এবং সৌদি সীমান্তে এক অভিযান চালিয়ে ওই সেনাদের আটক করা হয়েছে।

হুথি সংগঠনের মুখপাত্র কর্ণেল ইয়াহিয়া সারিয়া বিবিসিকে বলেন, সৌদির নাজরান শহরের কাছ থেকে তিন সৌদি সেনাকে আটক করা হয়েছে।

তিনি বলেন, অভিযান চালিয়ে কয়েক হাজার সেনাকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া আরও অনেকেই নিহত হয়েছেন। তবে হুথি বিদ্রোহীদের এমন দাবির পর সৌদির তরফ থেকে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।

ওই মুখপাত্র বলেন, ইয়েমেনে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এটাই সবচেয়ে বড় ধরনের অভিযান। এতে সৌদি সেনাবাহিনী বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও সেনা সদস্যকে হারিয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

রোববার হুথি নিয়ন্ত্রিত আল মাসিরা টেলিভিশনে আটক হওয়া ওই সেনাদের প্যারেড সম্প্রচার করা হবে। এর আগে গত মাসে সৌদির দু’টি তেলে ক্ষেত্রে হামলা চালায় হুথিরা। গত ১৪ সেপ্টেম্বরের ওই হামলা বিশ্ববাজারে তেলের দামে বড় ধরনের প্রভাব ফেলেছে।

হুথিদের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে যে, তারা ওই দুই তেলক্ষেত্রে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছে। তবে এই হামলার জন্য ইরানকেই দায়ী করে আসছে সৌদি এবং এর মিত্র দেশ যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স এবং জার্মানি।

২০১৫ সালে ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট আব্দরাব্বু মানসুর হাদি এবং তার মন্ত্রীসভার সদস্যদের রাজধানী সানা থেকে পালাতে বাধ্য করে হুথি বিদ্রোহীরা। তারপর থেকেই ইয়েমেনে সংঘাতের শুরু। প্রেসিডেন্ট হাদির সমর্থিত সৌদি জোট ইরান সমর্থিত হুথিদের বিরুদ্ধে আঞ্চলিক দেশগুলোর সমন্বয়ে বিমান হামলার নেতৃত্ব দিচ্ছে।

প্রায় প্রতিদিনই ইয়েমেনের বিভিন্ন স্থানে জোটের বিমান থেকে হামলা চালানো হচ্ছে। এর পাল্টা জবাব দিতে সৌদিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাচ্ছে হুথিরা।

ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধ বিশ্বের সবচেয়ে বড় মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি করেছে। দেশটির ৮০ শতাংশ অর্থাৎ ২ কোটি ৪০ লাখেরও বেশি মানুষের মানবিক সহায়তা এবং সুরক্ষা প্রয়োজন। এর মধ্যে এক কোটি মানুষ বেঁচে থাকার জন্য বিভিন্ন দেশের ত্রাণের ওপর নির্ভরশীল। জাতিসংঘের এক হিসেব অনুযায়ী, সংঘাতের কারণে ২০১৬ থেকে এখন পর্যন্ত দেশটিতে ৭০ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




ইয়েমেন-সৌদি সীমান্তে কয়েক হাজার সৌদি সেনা আটক

আপডেট সময় : ০৯:১৬:১০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা বলছে, তারা কয়েক হাজার সৌদি সেনাকে আটক করেছে। ইয়েমেন এবং সৌদি সীমান্তে এক অভিযান চালিয়ে ওই সেনাদের আটক করা হয়েছে।

হুথি সংগঠনের মুখপাত্র কর্ণেল ইয়াহিয়া সারিয়া বিবিসিকে বলেন, সৌদির নাজরান শহরের কাছ থেকে তিন সৌদি সেনাকে আটক করা হয়েছে।

তিনি বলেন, অভিযান চালিয়ে কয়েক হাজার সেনাকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া আরও অনেকেই নিহত হয়েছেন। তবে হুথি বিদ্রোহীদের এমন দাবির পর সৌদির তরফ থেকে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।

ওই মুখপাত্র বলেন, ইয়েমেনে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এটাই সবচেয়ে বড় ধরনের অভিযান। এতে সৌদি সেনাবাহিনী বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও সেনা সদস্যকে হারিয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

রোববার হুথি নিয়ন্ত্রিত আল মাসিরা টেলিভিশনে আটক হওয়া ওই সেনাদের প্যারেড সম্প্রচার করা হবে। এর আগে গত মাসে সৌদির দু’টি তেলে ক্ষেত্রে হামলা চালায় হুথিরা। গত ১৪ সেপ্টেম্বরের ওই হামলা বিশ্ববাজারে তেলের দামে বড় ধরনের প্রভাব ফেলেছে।

হুথিদের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে যে, তারা ওই দুই তেলক্ষেত্রে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছে। তবে এই হামলার জন্য ইরানকেই দায়ী করে আসছে সৌদি এবং এর মিত্র দেশ যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স এবং জার্মানি।

২০১৫ সালে ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট আব্দরাব্বু মানসুর হাদি এবং তার মন্ত্রীসভার সদস্যদের রাজধানী সানা থেকে পালাতে বাধ্য করে হুথি বিদ্রোহীরা। তারপর থেকেই ইয়েমেনে সংঘাতের শুরু। প্রেসিডেন্ট হাদির সমর্থিত সৌদি জোট ইরান সমর্থিত হুথিদের বিরুদ্ধে আঞ্চলিক দেশগুলোর সমন্বয়ে বিমান হামলার নেতৃত্ব দিচ্ছে।

প্রায় প্রতিদিনই ইয়েমেনের বিভিন্ন স্থানে জোটের বিমান থেকে হামলা চালানো হচ্ছে। এর পাল্টা জবাব দিতে সৌদিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাচ্ছে হুথিরা।

ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধ বিশ্বের সবচেয়ে বড় মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি করেছে। দেশটির ৮০ শতাংশ অর্থাৎ ২ কোটি ৪০ লাখেরও বেশি মানুষের মানবিক সহায়তা এবং সুরক্ষা প্রয়োজন। এর মধ্যে এক কোটি মানুষ বেঁচে থাকার জন্য বিভিন্ন দেশের ত্রাণের ওপর নির্ভরশীল। জাতিসংঘের এক হিসেব অনুযায়ী, সংঘাতের কারণে ২০১৬ থেকে এখন পর্যন্ত দেশটিতে ৭০ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।