ঢাকা ০৫:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ




পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:২০:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ৯৬ বার পড়া হয়েছে

সিংড়া (নাটোর) প্রতিনিধি;

নাটোরের সিংড়ায় মো. রায়হান আলী নামে এক পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার উপজেলার ১নং শুকাস ইউনিয়নের নওদাপাড়া গ্রাম থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

নিহত মোছা. ফারজানা আক্তার ওরফে সোমা রায়হান আলীর স্ত্রী। রায়হান আলী জয়পুরহাট পুলিশ লাইনে কর্মরত আছেন।

সিংড়া থানা পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, এক বছর ২ মাস আগে সোমার সঙ্গে রায়হান আলীর বিয়ে হয়। চাকরির সুবাদে বাইরে অবস্থান করায় সব সময় স্ত্রীকে সন্দেহের চোখে দেখতেন রায়হান আলী। এতে তাদের সংসার জীবনে অশান্তি নেমে আসে।

শুক্রবার রাত ৮টার দিকে এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে নতুন করে ফোনে তর্কবিতর্ক হয়। পরে ঘরের তীরের সঙ্গে ওড়না পেঁচানো লাশ দেখতে পায় নিহতের শ্বশুরবাড়ির লোকজন। পরে রাতেই বগুড়া শহীদ জিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত গৃহবধূর বড় ভাই মো. সুমন আলীর দাবি, তার বোনকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। কারণ অন্য কারো সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে বলে সব সময়ই তার বোনকে সন্দেহ করা হতো। মাঝে মাঝে মারধরও করা হতো।

গৃহবধূর পিতা রফিকুল ইসলাম বলেন, বিয়ের পর ছেলের চাহিদা মোতাবেক গোপনে একটি পালসার মোটরসাইকেল কিনে দেয়া হয়েছে। তারপরও তার মেয়েকে নির্যাতন করা হতো।

সিংড়া থানার এসআই মো. রুস্তম আলী বলেন, নিহত গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তর জন্য মর্গে পাঠানো হচ্ছে। নিহতের গলায় দাগ রয়েছে। তবে তদন্ত রিপোর্ট ছাড়া কিছুই বলা যাচ্ছে না।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

আপডেট সময় : ০৮:২০:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯

সিংড়া (নাটোর) প্রতিনিধি;

নাটোরের সিংড়ায় মো. রায়হান আলী নামে এক পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার উপজেলার ১নং শুকাস ইউনিয়নের নওদাপাড়া গ্রাম থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

নিহত মোছা. ফারজানা আক্তার ওরফে সোমা রায়হান আলীর স্ত্রী। রায়হান আলী জয়পুরহাট পুলিশ লাইনে কর্মরত আছেন।

সিংড়া থানা পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, এক বছর ২ মাস আগে সোমার সঙ্গে রায়হান আলীর বিয়ে হয়। চাকরির সুবাদে বাইরে অবস্থান করায় সব সময় স্ত্রীকে সন্দেহের চোখে দেখতেন রায়হান আলী। এতে তাদের সংসার জীবনে অশান্তি নেমে আসে।

শুক্রবার রাত ৮টার দিকে এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে নতুন করে ফোনে তর্কবিতর্ক হয়। পরে ঘরের তীরের সঙ্গে ওড়না পেঁচানো লাশ দেখতে পায় নিহতের শ্বশুরবাড়ির লোকজন। পরে রাতেই বগুড়া শহীদ জিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত গৃহবধূর বড় ভাই মো. সুমন আলীর দাবি, তার বোনকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। কারণ অন্য কারো সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে বলে সব সময়ই তার বোনকে সন্দেহ করা হতো। মাঝে মাঝে মারধরও করা হতো।

গৃহবধূর পিতা রফিকুল ইসলাম বলেন, বিয়ের পর ছেলের চাহিদা মোতাবেক গোপনে একটি পালসার মোটরসাইকেল কিনে দেয়া হয়েছে। তারপরও তার মেয়েকে নির্যাতন করা হতো।

সিংড়া থানার এসআই মো. রুস্তম আলী বলেন, নিহত গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তর জন্য মর্গে পাঠানো হচ্ছে। নিহতের গলায় দাগ রয়েছে। তবে তদন্ত রিপোর্ট ছাড়া কিছুই বলা যাচ্ছে না।