শাহাবুদ্দিন, কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধিঃ চা-বাগানের রাস্তাগুলোর দুই পাশে গাছের সারি। এসব গাছে লাগানো হয়েছে দড়ি। সেই দড়িতে ঝুলছে পোস্টার। কোথাও নৌকার, কোথাও ধানের শীষের। রাস্তাঘাট এখন ছেয়ে গেছে পোস্টারে। সব মিলিয়ে ভোট উৎসবের রং লাগতে শুরু করেছে ২৩৮ নং মৌলভীবাজার-৪ আসনভুক্ত শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জের চা-বাগানগুলোতে।
শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, মৌলভীবাজার-৪ আসনে মোট ভোটারের সংখ্যা ৩ লাখ ৯৮ হাজার ৮৩০। এই ভোটারদের মধ্যে লক্ষাধিক চা-শ্রমিক ভোটার রয়েছেন। এই আসনে প্রার্থীর জয়-পরাজয় নির্ধারণ করে দিতে পারে এই চা-শ্রমিকদের ভোটে।
মৌলভীবাজার-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়েছেন ড. আব্দুস শহীদ। তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে এখানে ১৯৯১ সাল থেকে টানা পাঁচবার নির্বাচিত সাংসদ। ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে বিএনপির প্রার্থী হয়েছেন মুজিবুর রহমান চৌধুরী। এ ছাড়া উদীয়মান সূর্য প্রতীক নিয়ে গণফোরামের প্রার্থী শান্তিপদ ঘোষ ছিলেন, কিন্তু পরে তিনি প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেন এবং হাতপাখা প্রতীক নিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী ছালাউদ্দিন নির্বাচনের মাঠে আছেন।
আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুস শহীদ বলেন, এই সরকারের আমলে চা–বাগানগুলোতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় তৈরি হয়েছে। সব চা–বাগানে সরকারি স্কুল তৈরি করে দেওয়া হবে। চা–শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি করতে যা যা করণীয়, তা তিনি করবেন। চা–শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে তিনি কাজ করে যাবেন।
অন্যদিকে বিএনপির প্রার্থী মুজিবুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘আমি যদি বিজয়ী হতে পারি, তাহলে চা–শ্রমিকদের আবাসন, মজুরি, শিক্ষা, চিকিৎসাব্যবস্থার উন্নয়নে কাজ করব। শ্রমিকদের মধ্যে যাঁরা এখনো বেকার রয়েছেন, তাঁদের জন্য শ্রমবাজার তৈরি করব; কলকারখানা তৈরি করে শ্রমিকদের বেকারত্ব দূর করব। চা–বাগানের শ্রমিকদের আবাসন সমস্যা নিয়ে আমি কাজ করব।’