ঢাকা ০১:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৩ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo পরিচালকের ওপর হামলার প্রতিবাদে বাংলাদেশ ব্যাংকে বিক্ষোভ Logo ট্রাইব্যুনালে বিএনপির অভিযোগ, আন্দোলনে শহীদ ৮৪৮ নেতাকর্মীর তালিকা জমা Logo দুবাইয়ের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধান উপদেষ্টা Logo বোরহানউদ্দিনে পৌর বিএনপি নেতাদের চাঁদাবাজির অভিযোগ: প্রশাসন নীরব Logo সাংবাদিক সন্তানদের চেক প্রদান নিয়ে ডিসির অশোভন কান্ড Logo প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ Logo ছাড়পত্র ও লাইসেন্স বাণিজ্য করে পরিবেশ অধিদপ্তরের জহিরুল কোটিপতি Logo ছাড়পত্র ও লাইসেন্সের নামে পরিবেশ অধিদপ্তরের আবুল কালামের কোটি টাকার বাণিজ্য Logo বেসরকারি টিভি চ্যানেল এস’ সুজিত চক্রবর্তী গং কর্তৃক সাংবাদিকদের হত্যাচেষ্টার প্রতিবাদে মানববন্ধন Logo ফ্যাসিস্টের দোসর বিটিভির প্রকৌশলী মনিরুল ইসলামের হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি! পর্ব ১




অতীত – তারিফুল ইসলাম

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:৫২:০১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০১৮ ২১৯ বার পড়া হয়েছে

তোমাকে শেষ কবে দেখেছি ঠিক মনে নেই,তবে  প্রথম কবে দেখেছিলাম মনে আছে ২৭.০১.০৫।প্রথম কবে দেখেছিলাম স্বরণ করতে গিয়ে মনে হলো সময়টা খুব অল্প নয় বিশাল এক টা লম্বা অতীত। আচ্ছা অতীত কি আসলেই ভুলা সম্ভব সেটা দুঃখের কিংবা হোক না সুখের?

অতীত একটা আত্মজীবনী মূলক গ্রন্থ,যা শুধু নিজে পড়া যায়। পড়ে কখনো কাঁদতে হয়, কখনো হাসতে হয়, আবার কখনো বা লজ্জা পেতে হয়। কিছু অতীত-তো এমন আছে,যা কেবল-ই নিজের ভেতর লালান করা হয়।

শত চেষ্টা করে -ও অন্য কারো কাছে প্রকাশ করা সম্ভব হয় না। এই চির গোপন অতীতগুলো-ই লালনকর্তাকে কুড়ে কুড়ে খায়, পথ চলতে সহায়তা করে,আত্মার শক্তিকে আরো সানিত করে, লক্ষ পানে ছুটে চলতে উৎসাহিত করে,স্বার্থপর ও নিষ্ঠুর করে তোলে, সপ্ন দেখতে শেখায়, সবচেয়ে বড় কথা হল অন্য সবার থেকে লালনকারিকে আলাদা করে রাখে।

অতীত অবশ্যই অভিজ্ঞতা কে সমৃদ্ধ করে,শিক্ষাকে বাস্তবতায় পরিনত করতে বাধ্য করে।

জীবনের কোন একটা সময়ে এসে সবার মনে-ই প্রশ্ন জাগে,আসলে জীবনটা কি? তখন কিন্তু উত্তর একটা-ই, আমার অতীত-ই হল আমার জীবন।

যদি-ও অতীত,বর্তমান,ভবিষ্যৎ এই নিয়েই এক একজন মানুষের জীবন। একটু গভীর ভাবে চিন্তা করলে বুঝবেন যে,বর্তমানটা কত ছোট। জীবনের প্রতি মুহূর্ত-ই এক পলকে অতীত হয়ে যাচ্ছে।। সেই সূত্র ধরে বলতে পারি অতীত আপন ক্ষমতা বলে বর্তমান এবং ভবিষ্যতকে প্রতি নিঃশ্বাসের সাথে সাথে গ্রাস করে নিচ্ছে। অতীতের কাছে প্রতিনিয়ত পরাজিত হচ্ছে ভবিষ্যৎ এবং অতিক্ষুদ্র বর্তমান।

অতিতকে ভুলে থাকার প্রচেষ্টা অনেকে করে থাকেন। জানি না ভুলতে পারেন কি না। ক্ষণিকের জন্য ভুলে থাকা গেলে-ও মুছে ফেলা সম্ভব না। কোন না কোন ভাবে অতীত সামনে এসে আপনাকে ডাকবে। চোখ বন্ধ করে তাকে একটু ভাবতে বলবে। তার এঁকেবেঁকে ছুটে চলা পথ ধরে আপনাকে ঘুরে আসতে-ই হবে।

এভাবে-ই অতীত একদিন হয়ে উঠবে আপন মহিমায় কালের জলন্ত সাক্ষি অথবা ইতিহাসের অংশ। উপমা হয়ে ঘুরেফিরবে মানুষের মুখে মুখে।

চলবে………

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




অতীত – তারিফুল ইসলাম

আপডেট সময় : ০৪:৫২:০১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০১৮

তোমাকে শেষ কবে দেখেছি ঠিক মনে নেই,তবে  প্রথম কবে দেখেছিলাম মনে আছে ২৭.০১.০৫।প্রথম কবে দেখেছিলাম স্বরণ করতে গিয়ে মনে হলো সময়টা খুব অল্প নয় বিশাল এক টা লম্বা অতীত। আচ্ছা অতীত কি আসলেই ভুলা সম্ভব সেটা দুঃখের কিংবা হোক না সুখের?

অতীত একটা আত্মজীবনী মূলক গ্রন্থ,যা শুধু নিজে পড়া যায়। পড়ে কখনো কাঁদতে হয়, কখনো হাসতে হয়, আবার কখনো বা লজ্জা পেতে হয়। কিছু অতীত-তো এমন আছে,যা কেবল-ই নিজের ভেতর লালান করা হয়।

শত চেষ্টা করে -ও অন্য কারো কাছে প্রকাশ করা সম্ভব হয় না। এই চির গোপন অতীতগুলো-ই লালনকর্তাকে কুড়ে কুড়ে খায়, পথ চলতে সহায়তা করে,আত্মার শক্তিকে আরো সানিত করে, লক্ষ পানে ছুটে চলতে উৎসাহিত করে,স্বার্থপর ও নিষ্ঠুর করে তোলে, সপ্ন দেখতে শেখায়, সবচেয়ে বড় কথা হল অন্য সবার থেকে লালনকারিকে আলাদা করে রাখে।

অতীত অবশ্যই অভিজ্ঞতা কে সমৃদ্ধ করে,শিক্ষাকে বাস্তবতায় পরিনত করতে বাধ্য করে।

জীবনের কোন একটা সময়ে এসে সবার মনে-ই প্রশ্ন জাগে,আসলে জীবনটা কি? তখন কিন্তু উত্তর একটা-ই, আমার অতীত-ই হল আমার জীবন।

যদি-ও অতীত,বর্তমান,ভবিষ্যৎ এই নিয়েই এক একজন মানুষের জীবন। একটু গভীর ভাবে চিন্তা করলে বুঝবেন যে,বর্তমানটা কত ছোট। জীবনের প্রতি মুহূর্ত-ই এক পলকে অতীত হয়ে যাচ্ছে।। সেই সূত্র ধরে বলতে পারি অতীত আপন ক্ষমতা বলে বর্তমান এবং ভবিষ্যতকে প্রতি নিঃশ্বাসের সাথে সাথে গ্রাস করে নিচ্ছে। অতীতের কাছে প্রতিনিয়ত পরাজিত হচ্ছে ভবিষ্যৎ এবং অতিক্ষুদ্র বর্তমান।

অতিতকে ভুলে থাকার প্রচেষ্টা অনেকে করে থাকেন। জানি না ভুলতে পারেন কি না। ক্ষণিকের জন্য ভুলে থাকা গেলে-ও মুছে ফেলা সম্ভব না। কোন না কোন ভাবে অতীত সামনে এসে আপনাকে ডাকবে। চোখ বন্ধ করে তাকে একটু ভাবতে বলবে। তার এঁকেবেঁকে ছুটে চলা পথ ধরে আপনাকে ঘুরে আসতে-ই হবে।

এভাবে-ই অতীত একদিন হয়ে উঠবে আপন মহিমায় কালের জলন্ত সাক্ষি অথবা ইতিহাসের অংশ। উপমা হয়ে ঘুরেফিরবে মানুষের মুখে মুখে।

চলবে………