ঢাকা ০৪:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ২৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo বিএনপি নেতা মাহিদুর রহমান নেতৃত্বের বিস্ময় Logo স্বৈরাচারের দোসর প্রধান বিচারপতির ধর্ম ছেলে পরিচয়ে মোজাম্মেলের অধর্ম! Logo রাজধানীতে মার্কেট দখল করতে গিয়ে বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর আটক Logo স্কুলের ভেতরে নিয়মিত চলে তাশ ও জুয়া! Logo চাঁদা চাওয়ায় দাকোপে ৫ আওয়ামীলীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা Logo ভোলা জেলা ছাত্র কল্যাণ পরিষদের সভাপতি আল আমিন সম্পাদক শামসউদ্দিন Logo বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির এর উদ্যোগে দুমকিতে ক্যারিয়ার সামিট অনুষ্ঠিত Logo সওজ তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে প্রচারিত প্রকাশিত মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদ Logo বিপ্লবী গান, আবৃত্তি এবং কাওয়ালী গানে মেতেছে আশা বিশ্ববিদ্যালয় Logo ছত্রিশ টাকার নকলনবীশ প্রভাবশালী কোটিপতি!




এমপি শাওন ও সম্রাট দম্পতির ব্যাংক হিসাব জব্দ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৫৮:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ৮১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক
ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন ও তার স্ত্রী ফারজানা চৌধুরী এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট ও তার স্ত্রীর ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি)। সিআইসির দায়িত্বশীল সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

সূত্র জানায়, মঙ্গলবার সিআইসি থেকে সরাসরি ব্যাংকগুলোতে চিঠি দিয়ে সরকারদলীয় প্রভাবশালী ও আলোচিত এ দুই নেতা এবং তাদের স্ত্রীর ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে।

এর আগে গতকাল সোমবার এই দুই নেতা ও তাদের স্ত্রীর ব্যাংক হিসাব তলব করে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। অবৈধ লেনদেন ও মানি লন্ডারিংয়ের বিষয় অনুসন্ধান করতে ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়।

সম্প্রতি গ্রেফতার হওয়া যুবলীগ নেতা জি কে শামীম ও খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার নিজস্ব এবং পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করা হয়।

ঢাকায় অবৈধভাবে ক্যাসিনো ও জুয়ার বোর্ড পরিচালনা এবং চাঁদাবাজির অভিযোগে সম্রাটকে গ্রেফতার করা হবে বলে গুঞ্জন রয়েছে।

এদিকে এনবিআর, শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, ক্যাসিনো সরঞ্জাম আমদানিতে এনবিআর পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের জড়িত থাকার তথ্য পেয়েছে। তবে এনবিআর ধারণা করছে, এর বাইরে আরও অনেক প্রতিষ্ঠানই ক্যাসিনো সরঞ্জাম আমদানি করেছে। এসব প্রতিষ্ঠানের সার্বিক তথ্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

গত বুধবার ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে অবৈধ অস্ত্র ও ইয়াবা রাখার অপরাধে গ্রেফতার, সন্ধ্যায় বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ (ক্রীড়া চক্র) ক্লাবসহ বিভিন্ন ক্যাসিনো ও জুয়ার বোর্ডে র‌্যাবের অভিযানের পর সম্রাটকে গ্রেফতারের গুঞ্জন ওঠে। এরপর থেকেই অনেকটা আত্মগোপনে রয়েছেন যুবলীগের এ প্রভাবশালী নেতা।

সূত্র জানায়, ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া ও সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। মতিঝিল-ফকিরাপুল ক্লাবপাড়ায় ক্যাসিনো থেকে শুরু করে কমপক্ষে সাতটি সরকারি ভবনে ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণ ও সরকারি জমি দখলের মতো নানা অভিযোগ এ নেতার বিরুদ্ধে। তার বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক মামলাও। রিয়াজ মিল্কি ও তারেক হত্যার পর পুরো এলাকা নিয়ন্ত্রণে নেন খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া। এসবই তিনি করেছেন সম্রাটের ছত্রচ্ছায়ায়।

সম্রাটের সহযোগিতায় ও প্রত্যক্ষ মদদে ঢাকার এক অংশ নিয়ন্ত্রণ করে আসছিলেন খালেদ। নিজের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে সর্বোচ্চ শক্তি ব্যবহার করেন তিনি। রাজধানীর মতিঝিল, ফকিরাপুল এলাকায় কমপক্ষে ১৭টি ক্লাব নিয়ন্ত্রণ করেন এ যুবলীগ নেতা। এর মধ্যে ১৬টি ক্লাব নিজের লোকজন দিয়ে আর ফকিরাপুল ইয়ংমেনস নামের ক্লাবটি সরাসরি পরিচালনা করেন তিনি। প্রতি ক্লাব থেকে প্রতিদিন কমপক্ষে এক লাখ টাকা নেন তিনি। এসব ক্লাবে সকাল ১০টা থেকে ভোর পর্যন্ত ক্যাসিনো চলে।

গোয়েন্দা সূত্র জানায়, সম্রাটের বিরুদ্ধে আনা নানা অভিযোগের একটি প্রতিবেদন এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ঢাকা মহানগরীর চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, মাদক নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হচ্ছে না ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট ও তার কিছু লোকজনের দৌরাত্ম্যে। এ বিষয়ে যাতে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হয় তার অনুরোধ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




এমপি শাওন ও সম্রাট দম্পতির ব্যাংক হিসাব জব্দ

আপডেট সময় : ১০:৫৮:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক
ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন ও তার স্ত্রী ফারজানা চৌধুরী এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট ও তার স্ত্রীর ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি)। সিআইসির দায়িত্বশীল সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

সূত্র জানায়, মঙ্গলবার সিআইসি থেকে সরাসরি ব্যাংকগুলোতে চিঠি দিয়ে সরকারদলীয় প্রভাবশালী ও আলোচিত এ দুই নেতা এবং তাদের স্ত্রীর ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে।

এর আগে গতকাল সোমবার এই দুই নেতা ও তাদের স্ত্রীর ব্যাংক হিসাব তলব করে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। অবৈধ লেনদেন ও মানি লন্ডারিংয়ের বিষয় অনুসন্ধান করতে ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়।

সম্প্রতি গ্রেফতার হওয়া যুবলীগ নেতা জি কে শামীম ও খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার নিজস্ব এবং পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করা হয়।

ঢাকায় অবৈধভাবে ক্যাসিনো ও জুয়ার বোর্ড পরিচালনা এবং চাঁদাবাজির অভিযোগে সম্রাটকে গ্রেফতার করা হবে বলে গুঞ্জন রয়েছে।

এদিকে এনবিআর, শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, ক্যাসিনো সরঞ্জাম আমদানিতে এনবিআর পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের জড়িত থাকার তথ্য পেয়েছে। তবে এনবিআর ধারণা করছে, এর বাইরে আরও অনেক প্রতিষ্ঠানই ক্যাসিনো সরঞ্জাম আমদানি করেছে। এসব প্রতিষ্ঠানের সার্বিক তথ্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

গত বুধবার ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে অবৈধ অস্ত্র ও ইয়াবা রাখার অপরাধে গ্রেফতার, সন্ধ্যায় বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ (ক্রীড়া চক্র) ক্লাবসহ বিভিন্ন ক্যাসিনো ও জুয়ার বোর্ডে র‌্যাবের অভিযানের পর সম্রাটকে গ্রেফতারের গুঞ্জন ওঠে। এরপর থেকেই অনেকটা আত্মগোপনে রয়েছেন যুবলীগের এ প্রভাবশালী নেতা।

সূত্র জানায়, ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া ও সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। মতিঝিল-ফকিরাপুল ক্লাবপাড়ায় ক্যাসিনো থেকে শুরু করে কমপক্ষে সাতটি সরকারি ভবনে ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণ ও সরকারি জমি দখলের মতো নানা অভিযোগ এ নেতার বিরুদ্ধে। তার বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক মামলাও। রিয়াজ মিল্কি ও তারেক হত্যার পর পুরো এলাকা নিয়ন্ত্রণে নেন খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া। এসবই তিনি করেছেন সম্রাটের ছত্রচ্ছায়ায়।

সম্রাটের সহযোগিতায় ও প্রত্যক্ষ মদদে ঢাকার এক অংশ নিয়ন্ত্রণ করে আসছিলেন খালেদ। নিজের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে সর্বোচ্চ শক্তি ব্যবহার করেন তিনি। রাজধানীর মতিঝিল, ফকিরাপুল এলাকায় কমপক্ষে ১৭টি ক্লাব নিয়ন্ত্রণ করেন এ যুবলীগ নেতা। এর মধ্যে ১৬টি ক্লাব নিজের লোকজন দিয়ে আর ফকিরাপুল ইয়ংমেনস নামের ক্লাবটি সরাসরি পরিচালনা করেন তিনি। প্রতি ক্লাব থেকে প্রতিদিন কমপক্ষে এক লাখ টাকা নেন তিনি। এসব ক্লাবে সকাল ১০টা থেকে ভোর পর্যন্ত ক্যাসিনো চলে।

গোয়েন্দা সূত্র জানায়, সম্রাটের বিরুদ্ধে আনা নানা অভিযোগের একটি প্রতিবেদন এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ঢাকা মহানগরীর চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, মাদক নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হচ্ছে না ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট ও তার কিছু লোকজনের দৌরাত্ম্যে। এ বিষয়ে যাতে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হয় তার অনুরোধ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।