মাদ্রাসাছাত্রকে বলাৎকার, স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ
- আপডেট সময় : ১০:৪৩:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১০৫ বার পড়া হয়েছে
অনলাইন ডেস্ক
ফেনীর সোনাগাজীতে স্কুলছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। নেত্রকোনার খালিয়াজুরীতে বলাৎকারের শিকার হয়েছে মাদ্রাসাছাত্র। এ ছাড়া বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে ধর্ষণচেষ্টার শিকার হয়েছে আরও দুই শিশু।
স্থানীয় প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:
সোনাগাজী (ফেনী) : সোনাগাজীতে রোববার রাতে কৌশলে কোমল পানীয়ের সঙ্গে চেতনানাশক খাইয়ে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করেছে বখাটে।
অভিযুক্ত আশফাকুর রহমান বাবলাকে গণপিটুনি দিয়ে সোমবার পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী। বাবলা দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার হরিরামপুর আদর্শ গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে। সে সোনাগাজীতে স্কুলছাত্রীর নানার বাড়িতে ভাড়া থাকত।
এ ঘটনায় স্কুলছাত্রীর মামা মামলা করেছেন। পুলিশ ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ওই ছাত্রীকে ফেনী হাসপাতালে ভর্তি করেছে।
সোনাগাজী মডেল থানার ওসি মঈনউদ্দিন আহমেদ জানান, পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত বাবলা ঘটনা স্বীকার করেছে।
মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট) : ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মোরেলগঞ্জে এমদাদুল মৃধা (৪৫) নামে এক ইমামকে আটক করেছে পুলিশ। তিনি জিউধরা গ্রামের নুরনগর জামে মসজিদের ইমাম ও মসজিদভিত্তিক পাঠাগারের শিক্ষক।
এ ব্যাপারে মঙ্গলবার থানায় এজাহার দায়ের করা হয়েছে। তবে এমদাদুল মৃধার দাবি, মসজিদ নিয়ে বিরোধের কারণে তার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ সাজানো হয়েছে।
এ বিষয়ে থানার ওসি (তদন্ত) ঠাকুর দাশ মণ্ডল বলেন, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ইমামকে আটক করা হয়েছে। নির্যাতিতা মেয়েটিও ঘটনার বর্ণনা দিয়েছে।
শিবগঞ্জ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) : চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে আট বছরের এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
অভিযুক্ত মো. হোসাইন শিবগঞ্জ উপজেলার কালুপুর গ্রামের মফিজউদ্দিনের ছেলে ও কালুপুর দারুল উলুম মাদ্রাসার শিক্ষক। এ ঘটনায় মামলার পর পুলিশ অভিযুক্ত হোসাইন ও ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করায় তার বড় ভাই মাদ্রাসা পরিচালক মো. শরিফুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসাইন জানান, বিষয়টি তাদের নজরে আসার পর পুলিশ ভুক্তভোগী পরিবারটিকে নিরাপত্তা দিয়েছে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। দুই আসামিকে গ্রেফতার করে মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
নেত্রকোনা : এক ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে খালিয়াজুরী ইসলামিয়া কওমি হাফিজিয়া মাদ্রাসার সুপার বশীরুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিনি ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার বি-কাঁঠালিয়া গ্রামের হাফিজ উদ্দিনের ছেলে।
এ ব্যাপারে মঙ্গলবার শিক্ষার্থীর মা বাদী হয়ে খালিয়াজুরী থানায় মামলা করেন।
খালিয়াজুরী থানার ওসি মাহমুদুল হক জানান, বশীরুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনা স্বীকার করেছেন তিনি। মাদ্রাসা সুপারকে আদালতে ও ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ছাত্রটিকে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে।