ঢাকা ০৫:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo বার কাউন্সিলের ভুয়া সনদ বিক্রির মাস্টারমাইন্ড সহকারী পরিচালক জলিল! Logo চবি’ প্রাক্তন অর্থনীতি ছাত্র সমিতি কুয়েসা’র সভাপতি আব্দুল্লাহ সম্পাদক আগা আজিজ  Logo স্বৈরাচার সরকারের দোসর বিসিক কর্মকর্তা সরোয়ার: দুর্নীতিতে গড়েছেন অবৈধ সম্পদের পাহাড় Logo শেখ হাসিনার প্রেতাত্মা মোজাম্মেলকে ফায়ার সার্ভিসে বহাল রাখতে মরিয়া সিন্ডিকেট Logo Logo স্বৈরাচার সরকারের দোসর সিন্ডিকেট ফায়ার সার্ভিসে বহাল তবিয়তে Logo উত্তরার আতংক ছোটন পুলিশের খাঁচায় Logo বিশ্ব কন্যা শিশু দিবসে নেলসন ম্যান্ডেলা পিস এ্যাওয়ার্ড পেলেন সাংবাদিক এম শিমুল খান Logo জাতীয় সংসদে অঘোষিত প্রধানমন্ত্রী ইলিয়াস: দেশ-বিদেশের সম্পদের পাহাড়! Logo স্বৈরাচারের দোসরদের থাবায় পৈত্রিক সম্পদ হতে বিতারিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোতাহার হোসেন




শোবিজেও ক্যাসিনো আতঙ্ক, ফেঁসে যেতে পারেন অনেক তারকা!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:১১:৪০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১১৩ বার পড়া হয়েছে

বিনোদন প্রতিবেদক; 
অবৈধভাবে ক্যাসিনো ও জুয়া চালানোর দায়ে মতিঝিলের আরামবাগ, দিলকুশা, ভিক্টোরিয়া ও মোহামেডানের মতো নামি দামি ক্লাবে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে পুলিশ। একই সঙ্গে ক্লাবগুলো থেকে ক্যাসিনো ও জুয়া খেলার সরঞ্জামও জব্দ করা হয়েছে।

ক্যাসিনো কাণ্ডে ফেঁসে গেছেন অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তি। অনেকেই রয়েছেন নজরদারিতে। এর মধ্যে গত ১৮ সেপ্টেম্বর অবৈধ জুয়া ও ক্যাসিনো চালানোর অভিযোগে র‌্যাবের হাতে আটক হন ঢাকা দক্ষিণ মহানগর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া।

গত শুক্রবার আটক হন রাজধানীর সবুজবাগ, বাসাবো, মতিঝিলসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রভাবশালী ঠিকাদার হিসেবে পরিচিত যুবলীগ নেতা এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীম। আটক হয়েছেন আরও বেশ ক’জন। তাদের পুলিশি হেফাজতে নেয়া হয়েছে। চলছে জিজ্ঞাসাবাদ।

সেই জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে মুখ খুলছেন আটক ক্যাসিনো সাম্রাজ্যের প্রভাবশালীরা। তারা পুলিশকে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিচ্ছেন। বেরিয়ে আসছে অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তি ও ক্লাবের নাম। তালিকায় আসতে পারেন শোবিজের বেশ ক’জন নারী তারকাও।

ফিল্মপাড়া বলে খ্যাত কাকরাইল পাড়া। তারই আশপাশে মতিঝিল, আরামবাগ, ফকিরাপুলে জুয়া ও ক্যাসিনোর অবাধ সাম্রাজ্য গড়ে তোলা হয়েছে। গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, বেশকিছু ক্যাসিনোতে যাতায়াত ছিলে অনেক উঠতি মডেল ও অভিনেত্রীর।

শুধু তাই নয়, ক্যাসিনোর নিয়ন্ত্রক বিভিন্ন নেতা ও প্রভাবশালীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল অনেকের, এমনটাও শোনা যাচ্ছে।

বেশকিছু গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে, টেন্ডার বাগিয়ে আনতে উঠতি মডেল ও নায়িকাদের ব্যবহার করতেন গ্রেফতার হওয়া ঠিকাদার জি কে শামীম। আরও অনেক নেতা ও প্রভাবশালীই তাদের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতেন বড় কাজ ভাগিয়ে নেয়ার জন্য।

অনেক মডেল ও নায়িকারা আবার এসব নেতা-ব্যক্তিদের বান্ধবী হিসেবেও পরিচিত ছিলেন। সেই সম্পর্কের প্রভাব খাটিয়েছেন তারা শোবিজে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হঠাৎ শক্ত অবস্থানে নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। নেতৃত্বের ওপর তলায় চলছে ধড় পাকড়। বেরিয়ে আসছে অনেক অজানা চাঞ্চল্যকর তথ্য। ফেঁসে যাচ্ছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকা অনেকেই। ধারণা করা হচ্ছে, তাদের সঙ্গে ফেঁসে যেতে পারেন অনেক তারকাও।

শোবিজে ভর করেছে আতঙ্ক। কখন কোন তারকার নাম প্রকাশ হয় সেই শংকায় ভুগছেন শোবিজের বাসিন্দারা।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ট্যুরিস্ট ভিসায় বাংলাদেশে এসে চীন ও নেপালের অন্তত ৪০০ প্রশিক্ষিত তরুণ-তরুণী ঢাকার বিভিন্ন ক্যাসিনোয় কাজ করতেন। কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে তারা কাজ করতেন। কেউ রিসেপশনে, কেউ ইলেক্ট্রনিক জুয়ার বোর্ড অপারেটিংয়ে এবং কেউ নিয়োজিত ছিলেন ক্যাসিনো থেকে অর্থ পাচার কাজে।

ক্যাসিনোয় আসা জুয়াড়িদের মনোরঞ্জনের জন্য আনা সুন্দরী গার্লদের রাখা হতো রাজধানীর গুলশান, নিকেতন, বনানী, ধানমন্ডি, উত্তরা, পল্টন, ফকিরাপুল, শাহজাহানপুরের বিভিন্ন এলাকার প্রাসাদোপম ভবনে। তাদের আনা-নেয়া করা হতো প্রতিষ্ঠানের কালো কাচঘেরা নিজস্ব গাড়িতে।

ঢাকার ক্যাসিনোয় শুধু ভিনদেশি তরণ-তরুণীই নয়, পেটের দায়ে অথবা বিলাসী জীবন-যাপনের জন্য এই চক্রে জড়িয়ে পড়েছে দেশের শিক্ষিত তরুণীরাও। তাদের মধ্যে আছে উঠতি অনেক মডেল ও অভিনেত্রীও।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




শোবিজেও ক্যাসিনো আতঙ্ক, ফেঁসে যেতে পারেন অনেক তারকা!

আপডেট সময় : ০৯:১১:৪০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯

বিনোদন প্রতিবেদক; 
অবৈধভাবে ক্যাসিনো ও জুয়া চালানোর দায়ে মতিঝিলের আরামবাগ, দিলকুশা, ভিক্টোরিয়া ও মোহামেডানের মতো নামি দামি ক্লাবে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে পুলিশ। একই সঙ্গে ক্লাবগুলো থেকে ক্যাসিনো ও জুয়া খেলার সরঞ্জামও জব্দ করা হয়েছে।

ক্যাসিনো কাণ্ডে ফেঁসে গেছেন অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তি। অনেকেই রয়েছেন নজরদারিতে। এর মধ্যে গত ১৮ সেপ্টেম্বর অবৈধ জুয়া ও ক্যাসিনো চালানোর অভিযোগে র‌্যাবের হাতে আটক হন ঢাকা দক্ষিণ মহানগর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া।

গত শুক্রবার আটক হন রাজধানীর সবুজবাগ, বাসাবো, মতিঝিলসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রভাবশালী ঠিকাদার হিসেবে পরিচিত যুবলীগ নেতা এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীম। আটক হয়েছেন আরও বেশ ক’জন। তাদের পুলিশি হেফাজতে নেয়া হয়েছে। চলছে জিজ্ঞাসাবাদ।

সেই জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে মুখ খুলছেন আটক ক্যাসিনো সাম্রাজ্যের প্রভাবশালীরা। তারা পুলিশকে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিচ্ছেন। বেরিয়ে আসছে অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তি ও ক্লাবের নাম। তালিকায় আসতে পারেন শোবিজের বেশ ক’জন নারী তারকাও।

ফিল্মপাড়া বলে খ্যাত কাকরাইল পাড়া। তারই আশপাশে মতিঝিল, আরামবাগ, ফকিরাপুলে জুয়া ও ক্যাসিনোর অবাধ সাম্রাজ্য গড়ে তোলা হয়েছে। গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, বেশকিছু ক্যাসিনোতে যাতায়াত ছিলে অনেক উঠতি মডেল ও অভিনেত্রীর।

শুধু তাই নয়, ক্যাসিনোর নিয়ন্ত্রক বিভিন্ন নেতা ও প্রভাবশালীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল অনেকের, এমনটাও শোনা যাচ্ছে।

বেশকিছু গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে, টেন্ডার বাগিয়ে আনতে উঠতি মডেল ও নায়িকাদের ব্যবহার করতেন গ্রেফতার হওয়া ঠিকাদার জি কে শামীম। আরও অনেক নেতা ও প্রভাবশালীই তাদের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতেন বড় কাজ ভাগিয়ে নেয়ার জন্য।

অনেক মডেল ও নায়িকারা আবার এসব নেতা-ব্যক্তিদের বান্ধবী হিসেবেও পরিচিত ছিলেন। সেই সম্পর্কের প্রভাব খাটিয়েছেন তারা শোবিজে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হঠাৎ শক্ত অবস্থানে নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। নেতৃত্বের ওপর তলায় চলছে ধড় পাকড়। বেরিয়ে আসছে অনেক অজানা চাঞ্চল্যকর তথ্য। ফেঁসে যাচ্ছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকা অনেকেই। ধারণা করা হচ্ছে, তাদের সঙ্গে ফেঁসে যেতে পারেন অনেক তারকাও।

শোবিজে ভর করেছে আতঙ্ক। কখন কোন তারকার নাম প্রকাশ হয় সেই শংকায় ভুগছেন শোবিজের বাসিন্দারা।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ট্যুরিস্ট ভিসায় বাংলাদেশে এসে চীন ও নেপালের অন্তত ৪০০ প্রশিক্ষিত তরুণ-তরুণী ঢাকার বিভিন্ন ক্যাসিনোয় কাজ করতেন। কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে তারা কাজ করতেন। কেউ রিসেপশনে, কেউ ইলেক্ট্রনিক জুয়ার বোর্ড অপারেটিংয়ে এবং কেউ নিয়োজিত ছিলেন ক্যাসিনো থেকে অর্থ পাচার কাজে।

ক্যাসিনোয় আসা জুয়াড়িদের মনোরঞ্জনের জন্য আনা সুন্দরী গার্লদের রাখা হতো রাজধানীর গুলশান, নিকেতন, বনানী, ধানমন্ডি, উত্তরা, পল্টন, ফকিরাপুল, শাহজাহানপুরের বিভিন্ন এলাকার প্রাসাদোপম ভবনে। তাদের আনা-নেয়া করা হতো প্রতিষ্ঠানের কালো কাচঘেরা নিজস্ব গাড়িতে।

ঢাকার ক্যাসিনোয় শুধু ভিনদেশি তরণ-তরুণীই নয়, পেটের দায়ে অথবা বিলাসী জীবন-যাপনের জন্য এই চক্রে জড়িয়ে পড়েছে দেশের শিক্ষিত তরুণীরাও। তাদের মধ্যে আছে উঠতি অনেক মডেল ও অভিনেত্রীও।