ভূমি নিয়ে যত অভিযোগ জানান ‘১৬১২৩’ নম্বরে
- আপডেট সময় : ০৮:৫৭:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ৭৮ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক
>> আগামী ১০ অক্টোবর থেকে চালু হচ্ছে কল সেন্টার
>> অভিযোগকারীর পরিচয় গোপন রাখা হবে
>> ভূমি মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন থাকবে কল সেন্টার
ভূমি সেবাসংশ্লিষ্ট হটলাইন কার্যক্রম (কল সেন্টার) চালু হচ্ছে আগামী ১০ অক্টোবর। ওই দিন থেকে ‘১৬১২৩’ নম্বরে ফোন করে ভূমি-সংক্রান্ত অভিযোগ জানানো যাবে।
সোমবার রাজধানীর মতিঝিলের বিআইডব্লিউটিএ ভবনে অবস্থিত ভূমি সংস্কার বোর্ডের প্রধান কার্যালয়ে বোর্ড কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী এ কথা বলেন।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। স্বচ্ছতা ও দক্ষতার সঙ্গে জনগণকে ভূমি সেবা দেয়ার ক্ষেত্রে এটা একটা মাইলফলক বলেও জানিয়েছেন ভূমিমন্ত্রী।
ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, জরুরি অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ, অভিযোগ দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তি, সেবাগ্রহীতাদের কাছ থেকে অভিযোগ গ্রহণের উদ্দেশ্য নিয়ে কল সেন্টার চালু করা হচ্ছে।
অভিযোগকারীর নাম, ঠিকানা বা পরিচয় কোনো অবস্থায়ই প্রকাশ করা হবে না। কল সেন্টারটি মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন থাকবে। পার্কিং/রাউটিংয়ের কাজ মেট্রোনেট বাংলাদেশ লিমিটেডের মাধ্যমে করার কথা আছে।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের ৩০ জন এজেন্ট/অপারেটর (প্রাথমিক ভাবে পাঁচজন এজেন্ট/অপারেটর) বিশিষ্ট কল সেন্টার স্থাপন ও চালুর জন্য বাংলাদেশ টেলিফোন শিল্প সংস্থা সহায়তা দিচ্ছে। পারফরমেন্স সিকিউরিটি বাংলাদেশ টেলিফোন শিল্প সংস্থা প্রদান করবে।
অত্যাধুনিক পূর্ণাঙ্গ কল সেন্টারে ৩৬ ইউনিটের সিসিটিভি সিস্টেম, ডিজিটাল এলআইডি মনিটরসহ আনুষঙ্গিক অনেক আধুনিক যন্ত্রপাতি থাকবে। কল সেন্টার স্থাপনের প্রাথমিক খরচ প্রায় এক কোটি ৬০ লাখ টাকা।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ভূমি মন্ত্রণালয়ের প্রতিটি অফিসে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে চাই। ভূমি অফিসের অনিয়মের অভিযোগগুলো জনগণের কাছ থেকে নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্দেশ্যেই মূলত হটলাইন চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।’
প্রযোজ্য ক্ষেত্রে কোর্ট অব ওয়ার্ডসভুক্ত সম্পত্তি দ্রুত ‘ক’ তফশিল ভুক্ত (খাস খতিয়ানভুক্ত) করার প্রক্রিয়া শেষ করা এবং ভূমি ব্যবস্থাপনা অটোমেশন কার্যক্রম দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন ভূমিমন্ত্রী।
সরকারি সংস্থাগুলো থেকে ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের ওপর গুরুত্বারোপ করে ভূমি সচিব মো. মাকছুদুর রহমান পাটওয়ারী বলেন, ‘এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর কঠোর নির্দেশনা আছে।’
এলএ কেসগুলো (ভূমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত) থেকে অর্থপ্রাপ্তির বিষয়ে জোরালো পদক্ষেপ গ্রহণ করা এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মতে যে সব জমি লিজ দেয়া হয়েছে সেসব জমির লিজ কার্যক্রম অব্যাহত রাখার ব্যাপারে সভায় সুপারিশ করা হয়।
ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান উম্মুল হাছনার সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মো. আবদুল হক, বোর্ড সদস্য মোহাম্মদ জাকীর হোসেন ও যাহিদা খানমসহ মন্ত্রণালয় ও বোর্ডের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।