গর্ভের সন্তান নষ্ট করতে তলপেটে লাথি মারে স্বামী, ধনবাড়ীতে তরুণীর অনশন
- আপডেট সময় : ০৮:৫৩:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ৯৬ বার পড়া হয়েছে
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:
ভালোবেসে বিয়ে করে ঘর বাঁধতে পারছে না সাবিনা ইয়াসমিন (২৩) নামের এক অন্তঃসত্ত্বা তরুণী। স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে ৫ দিন ধরে স্বামীর বাড়িতে অনশন করছে সে। সাবিনা ধনবাড়ী উপজেলার পাইস্কা ইউনিয়নের চরধলী গ্রামের আ. সামাদের মেয়ে।
জানা যায়, গত ৫ জুলাই ধনবাড়ী পৌরসভার আমনগ্রাম গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে সাইফুল ইসলামের (৩০) সাথে তার বিয়ে হয়। গত ৫-৬ বছর আগে মোবাইলে পরিচয়ের সূত্র ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে এবং স্বামী-স্ত্রীর মত মেলামেশা করতে থাকে। পরবর্তীতে অবস্থা বেগতিক দেখে গত ৫ জুলাই পাইস্কা ইউনিয়ন কাজী অফিসে গিয়ে ৮০ হাজার টাকা দেনমোহরে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়।
সোমবার সরেজমিনে ওই বাড়িতে গেলে অনশনরত সাবিনা জানায়, ৫-৬ বছর আগে সাইফুলের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এর সূত্র ধরে গত ৫ জুলাই উভয়ের সম্মতিতে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর বাবার বাড়িতে থাকত সাবিনা। এক পর্যায়ে মায়ের পরামর্শ অনুযায়ী সাইফুল ইসলাম কিছুদিন আগে সাবিনাকে অস্বীকার করে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতে থাকে।
এ ব্যাপারে সাবিনা ধনবাড়ী পৌর মেয়র বরাবর স্ত্রীর অধিকার পেতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে পৌর মেয়র উভয় পক্ষকে একে একে তিনবার নোটিশ করলেও ছেলেপক্ষ কোন সাড়া দেয়নি। এমতাবস্থায় কোন উপায় না দেখে স্ত্রীর অধিকার পেতে অন্তঃসত্ত্বা ওই তরুণী স্বামীর বাড়িতে অনশন শুরু করে।
সোমবার স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন মারধার করে তাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা চালায়। গর্ভের সন্তান নষ্ট করতে মায়ের পরামর্শে স্বামী সাইফুল তার তলপেটে লাথি মারে।
এ ব্যাপারে ধনবাড়ী পৌর সভার মেয়র খন্দকার মঞ্জুরুল ইসলাম তপন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, ভুক্তভোগী মেয়েটি পৌর সভায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। অভিযোগ পাওয়া মাত্র উভয় পক্ষকে নোটিশ করা হয়। মেয়েপক্ষ হাজির থাকলেও ছেলেপক্ষ হাজির হয়নি। পরবর্তীতে আইনের আশ্রয় নিতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
ধনবাড়ী থানার ওসি মজিবর রহমান জানান, বিষয়টি এখনো আমাকে কেউ জানায় নি। জানালে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরও বলেন, অন্তঃসত্ত্বা মেয়েটির কাবিননামা থাকলে আদালতেও যেতে পারে।