টার্কি মুরগির প্রলোভন দেখিয়ে ঠাকুরগাঁওয়ে ৫০ কোটি টাকা হাতিয়ে প্রতারক উধাও

- আপডেট সময় : ০৮:৫৩:৪২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৪৬ বার পড়া হয়েছে

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
দীর্ঘদিন পালিয়ে থাকার পর অবশেষে পুলিশের জালে ধরা পড়ল ঠাকুরগাঁওয়ের রংধনু শপিং লিমিটেড নামে টার্কি মুরগি ভুয়া কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) বাবলু রায় ও তার স্ত্রী মুক্তি রানী।
শনিবার দুপুরে কথিত ওই কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও তার স্ত্রীকে দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ উপজেলা শহর থেকে ডিবি পুলিশ আটক করে।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে শত শত গ্রাহক পাওনা টাকা আদায়ে ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার কার্যালয়ে ছুটে আসেন। ঠাকুরগাঁও ডিবি শাখার (পুলিশ) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওয়াহেদুজ্জামান বিকালে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগে জানা যায়, টার্কি মুরগি পালনের নামে তিন শতাধিক ক্ষুদ্র খামারিকে আকর্ষণীয় লাভ দেয়ার প্রলোভন দিয়ে তাদের বিনিয়োগকৃত প্রায় ৫০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে গাঢাকা দেয় কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ অন্য কর্মকর্তারা।
হায় হায়’কোম্পানিটি তিন বছর আগে ঠাকুরগাঁও পঞ্চগড় ও দিনাজপুর জেলার বেকার যুবক ও ক্ষুদ্র খামারিদের তিন মাসে আকর্ষণীয় লাভ দেয়ার প্রলোভন দিয়ে টার্কি মুরগি পালনে উদ্বুদ্ধ করে। যারা তাদের ফাঁদে পা দিয়েছে সে খামারিদের কাছে বিভিন্ন প্যাকেজের নামে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয় রংধনু কর্তৃপক্ষ।চুক্তি অনুযায়ী মেয়াদ শেষে পালিত টার্কি নিয়ে লাভসহ পুঁজি ফেরত দেবে ওই কোম্পানি।
কিন্তু কাউকে নগদ টাকা না দিয়ে টার্কি সরিয়ে নিয়ে ২/৩ মাস পরের তারিখ দিয়ে কিছু উদ্যোক্তাকে বিভিন্ন ব্যাংকের চেক ধরিয়ে দিয়ে গাঢাকা দেয় গত এপ্রিলে। অনেককে চেক না দিয়ে পরবর্তী সময়ে চেক দেয়া হবে বলে সাদা কাগজে চিরকুট ধরিয়ে দেয়। ক্ষুদ্র খামারিরা প্রদত্ত চেক দিয়ে টাকা তুলতে গিয়ে দেখতে পায় কোম্পানির অ্যাকাউন্টে কোনো টাকা নেই।
এ অবস্থায় টার্কি পালনকারী তিন শতাধিক ক্ষুদ্র খামারি বিনিয়োগকৃত টাকা ফেরত পেতে প্রতিদিন মূল অফিসে ধরনা দিতে থাকে। কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গত ১৫ মে চেক গ্রহীতাদের টাকা ফেরত দেয়া হবে বলে নোটিশ দেয়। তবে এরপর কাউকে আর দেখা মিলেনি।
গত ৭ মে স্বপ্নতরী নামে আরেক কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সালমান শাহ কে সৈয়দ পুর বিমানবন্দর থেকে ঠাকুরগাঁও পুলিশ আটক করে।
এরপর কটুম্ববাড়ি আরও একটি ভুয়া কোম্পানির চেযারম্যান ও এমডি উধাও হয়। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার দেবীপুর গ্রামের অলোকা রানী অভিযোগ করে বলেন, এই কোম্পানিটি তার কাছে ৭০ হাজার টাকা নিয়ে গাঢাকা দিয়েছে। তিনি জানান, তার মতো অনেকে এভাবে প্রতারিত হয়েছে।
ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার মোহা. মনিরুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, প্রতারকদের আটক করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।