অনলাইন রিপোর্ট; দেহরক্ষীসহ র্যাবের হাতে আটক হওয়া এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জিকে শামীমের দলীয় পরিচয় দিতে চাচ্ছে না কেউ। আটকের সময় তার দলীয় পরিচয় যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতা জানা গেলেও তা অস্বীকার করছে যুবলীগ।
শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে রাজধানীর নিকেতনের কার্যালয় থেকে শামীমকে আটক করে র্যাব। এ সময় শামীমের কার্যালয় থেকে আগ্নেয়াস্ত্রসহ নগদ ১ কোটি ৮০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
এ ছাড়া ১৬৫ কোটি ৮০ লাখ টাকার এফডিআর (ফিক্সড ডিপোজিট রিসিপ্ট) জব্দ করা হয়েছে। এর মধ্যে তার মায়ের নামে ১৪০ কোটি টাকা ও ২৫ কোটি টাকা তার নামে। এছাড়াও ৭টি শর্টগান, বিদেশি মুদ্রা ও মাদক উদ্ধার করা হয়।
জিকে শামীম আটক হওয়ার পরই তার দলীয় পরিচয় নিয়ে শুরু হয় বিভ্রান্তি। যুবলীগ চেয়ারম্যান জানিয়েছেন জিকে শামীম যুবলীগের নয়, নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগ নেতা। আর আওয়ামী লীগ জানিয়েছে আওয়ামী লীগের কোনো কমিটিতে জিকে শামীম নেই।
যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী রাজধানীর এক দলীয় সভায় বলেন, ‘জি কে শামীম যুবলীগের কেউ নয়। শামীমের সঙ্গে যুবলীগের কোনো সম্পর্ক নেই। সে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি’।
পরে গণমাধ্যমকে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই বলেন, ‘জি কে শামীম আমাদের কমিটির কেউ না। সে জেলা আওয়ামী লীগের কোনো কমিটিতে ছিল না। এমনকি প্রস্তাবিত কমিটিও ছিল না। তাকে তো আমরা চিনি না। সে যদি সক্রিয় কর্মী হতো তাহলে আমরা তাকে চিনতাম’।
তিনি আরও বলেন, ‘সে আমার কমিটিতে কোনো পদে নেই। জেলা কমিটিতে থাকার বিষয়ে যে নিউজ প্রকাশিত হচ্ছে আমরা এ বিষয়ে আশ্চার্য হয়েছি। আমরা প্রথমে গণমাধ্যমের বরাতে জানতে পারলাম সে যুবদল থেকে এখন যুবলীগের নেতা’।
এদিকে জিকে শামীম আওয়ামী লীগ নাকি যুবলীগ নেতা এমন বিভ্রান্তির প্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যোগাযোগ করা হলে দলের উপ-দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া জানান, আওয়ামী লীগের কোনো কমিটিতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে আটক হওয়া জিকে শামীমের অস্তিত্ব নেই।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংরক্ষিত তথ্য অনুযায়ী নারায়ণগঞ্জ জেলা বা মহানগর আওয়ামী লীগের তালিকায় জিকে শামীম নামের কোনো ব্যক্তির অস্তিত্ব নেই।
নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির অনুমোদন হয় ২০১৭ সালের ১০ আগস্ট।
ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া ওই কমিটির একটি অনুলিপি দেখিয়ে বলেন, এখানে জিকে শামীম নামের কোনো ব্যক্তির নাম নেই। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সঙ্গে তার কোনো ধরনের সংশ্লিষ্টতা নেই।