ঢাকা ১২:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ




কলমাকান্দায় ১৫০ গজের জলাবদ্ধতায় মহাদুর্ভোগ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:৪০:৩৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ৯৪ বার পড়া হয়েছে

Great misery in Kalamkanda by 3 yards rtv

জলাবদ্ধতা, কলমাকান্দা, দুর্ভোগ

কলমাকান্দা সংবাদদাতাঃ নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলা সদরের চাঁনপুর মোড় থেকে সাবরেজিস্ট্রার কার্যালয় পর্যন্ত ১৫০ গজ সড়কে বৃষ্টির পানি জমে থাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ওই সড়কে চলাচলকারী পথচারী ও যান চালকদের মধ্যে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, জলাবদ্ধতা নিরসনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও জনপ্রতিনিধিরা কোনও কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করছেন না। আর তাই দেখা দিয়েছে চরম দুর্ভোগ।
সরেজমিন পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, উপজেলা সদরের চাঁনপুর মোড় থেকে সাবরেজিস্ট্রার কার্যালয় পর্যন্ত ১৫০ গজ সড়কটি সীমান্তবর্তী বরুয়াকোনা এলাকায় যাওয়ার অন্যতম একটি সড়ক। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন শতশত ইজিবাইক, রিকশা, সিএনজি, বাস-ট্রাকসহ বিভিন্ন যান চলাচল করে। এছাড়া ওই পথ দিয়ে সাধারণ মানুষ হাট-বাজার কিংবা বিভিন্ন স্কুল-কলেজ, হাসপাতাল, উপজেলা পরিষদ, থানাসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরে যাতায়াত করে। ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত সড়কটিতে যানবাহনের ভিড় লেগেই থাকে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর (এলজিইডি) ওই সড়কটি সম্প্রতি সংস্কার করে। আর এরপর থেকেই চাঁনপুর মোড় থেকে সাবরেজিস্ট্রার কার্যালয়ের সামনের অংশ পর্যন্ত সড়কে বৃষ্টির পানি জমে থাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। আর ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় জমে থাকা পানি নিষ্কাশন হচ্ছে না। ফলে পথচারী ও যান চালকরা দুর্ভোগে পড়েছেন। তাদের দাবি-জলাবদ্ধতা নিরসনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও জনপ্রতিনিধিরা যেন কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করেন। স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুর রশিদ আকন্দ বলেন, এ সড়ক দিয়েই আমাদের প্রতিদিন বিভিন্ন জায়গায় যাওয়া-আসা করতে হয়। কিন্তু সড়কের দুই পাশে ড্রেন না থাকায় জমে থাকা বৃষ্টির পানি যেতে পারে না। এতে আমাদেরকে কাঁদা পথ মারিয়ে যেতে হয়। কিন্তু এলজিইডি কর্তৃপক্ষ বিষয়টি সমাধানে উদ্যোগ নিচ্ছে না।

কলমাকান্দা সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী হৃদয় সাহা বলেন, পানি জমে থাকায় এই পথটি দিয়ে পায়ে হেঁটে চলাচল করাও কষ্টকর। কাঁদায় পোশাক নষ্ট হচ্ছে। একটি ড্রেনের ব্যবস্থা হলেই সব দুর্ভোগ কেটে যেত।
জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর (এলজিইডি) উপজেলা প্রকৌশলী আফসার উদ্দিনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তাকে পাওয়া যায়নি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাকির হোসেন বলেন, ইতিমধ্যে উপজেলা পরিষদে এক কিলোমিটারের একটি ড্রেন নির্মাণের বরাদ্দ পাওয়া গেছে। সেখান থেকে চাঁনপুর মোড় হতে সাব রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ের সামনের সড়ক পর্যন্ত যে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে তা নিরসনে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




কলমাকান্দায় ১৫০ গজের জলাবদ্ধতায় মহাদুর্ভোগ

আপডেট সময় : ১২:৪০:৩৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯
জলাবদ্ধতা, কলমাকান্দা, দুর্ভোগ

কলমাকান্দা সংবাদদাতাঃ নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলা সদরের চাঁনপুর মোড় থেকে সাবরেজিস্ট্রার কার্যালয় পর্যন্ত ১৫০ গজ সড়কে বৃষ্টির পানি জমে থাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ওই সড়কে চলাচলকারী পথচারী ও যান চালকদের মধ্যে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, জলাবদ্ধতা নিরসনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও জনপ্রতিনিধিরা কোনও কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করছেন না। আর তাই দেখা দিয়েছে চরম দুর্ভোগ।
সরেজমিন পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, উপজেলা সদরের চাঁনপুর মোড় থেকে সাবরেজিস্ট্রার কার্যালয় পর্যন্ত ১৫০ গজ সড়কটি সীমান্তবর্তী বরুয়াকোনা এলাকায় যাওয়ার অন্যতম একটি সড়ক। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন শতশত ইজিবাইক, রিকশা, সিএনজি, বাস-ট্রাকসহ বিভিন্ন যান চলাচল করে। এছাড়া ওই পথ দিয়ে সাধারণ মানুষ হাট-বাজার কিংবা বিভিন্ন স্কুল-কলেজ, হাসপাতাল, উপজেলা পরিষদ, থানাসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরে যাতায়াত করে। ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত সড়কটিতে যানবাহনের ভিড় লেগেই থাকে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর (এলজিইডি) ওই সড়কটি সম্প্রতি সংস্কার করে। আর এরপর থেকেই চাঁনপুর মোড় থেকে সাবরেজিস্ট্রার কার্যালয়ের সামনের অংশ পর্যন্ত সড়কে বৃষ্টির পানি জমে থাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। আর ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় জমে থাকা পানি নিষ্কাশন হচ্ছে না। ফলে পথচারী ও যান চালকরা দুর্ভোগে পড়েছেন। তাদের দাবি-জলাবদ্ধতা নিরসনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও জনপ্রতিনিধিরা যেন কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করেন। স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুর রশিদ আকন্দ বলেন, এ সড়ক দিয়েই আমাদের প্রতিদিন বিভিন্ন জায়গায় যাওয়া-আসা করতে হয়। কিন্তু সড়কের দুই পাশে ড্রেন না থাকায় জমে থাকা বৃষ্টির পানি যেতে পারে না। এতে আমাদেরকে কাঁদা পথ মারিয়ে যেতে হয়। কিন্তু এলজিইডি কর্তৃপক্ষ বিষয়টি সমাধানে উদ্যোগ নিচ্ছে না।

কলমাকান্দা সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী হৃদয় সাহা বলেন, পানি জমে থাকায় এই পথটি দিয়ে পায়ে হেঁটে চলাচল করাও কষ্টকর। কাঁদায় পোশাক নষ্ট হচ্ছে। একটি ড্রেনের ব্যবস্থা হলেই সব দুর্ভোগ কেটে যেত।
জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর (এলজিইডি) উপজেলা প্রকৌশলী আফসার উদ্দিনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তাকে পাওয়া যায়নি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাকির হোসেন বলেন, ইতিমধ্যে উপজেলা পরিষদে এক কিলোমিটারের একটি ড্রেন নির্মাণের বরাদ্দ পাওয়া গেছে। সেখান থেকে চাঁনপুর মোড় হতে সাব রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ের সামনের সড়ক পর্যন্ত যে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে তা নিরসনে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।