ঢাকা ০৪:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ




পেঁয়াজের আগুনে পুড়ছে ক্রেতারা 

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৪৩:৫১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৩৮ বার পড়া হয়েছে
রাজধানীতে টিসিবির বিক্রি শুরু আজ

সকালের সংবাদঃ ভারত পেঁয়াজের রফতানি মূল্য নির্ধারণ করে দেয়ায় দেশের বাজারে প্রতিদিনই বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। চার দিনের ব্যবধানে ঢাকাসহ সারা দেশে বাজারভেদে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ২৫-৩০ টাকা বেড়েছে।

দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমদানিতে এলসি মার্জিন, সুদের হার হ্রাস, বন্দরে দ্রুত খালাস এবং নির্বিঘ্নে পরিবহন নিশ্চিত করতে সরকারের তরফ থেকে উদ্যোগ নেয়া হলেও তা কাজে আসছে না।

এদিকে সোমবার রাজধানীতে টিসিবির পক্ষ থেকে খোলাবাজারে পেঁয়াজ বিক্রির কথা থাকলেও প্রস্তুতি না থাকায় তা হয়নি। টিসিবি জানিয়েছে, আজ থেকে রাজধানীর ৫টি স্পটে পেঁয়াজ বিক্রি করা হবে। তবে আজও বিক্রি সম্ভব হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন পেঁয়াজ আমদানিকারকরা।

রাজধানীর কারওয়ান বাজার, নয়াবাজার ও রামপুরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সোমবার দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয় ৭৮-৮০ টাকা কেজি দরে, যা শনিবার ছিল ৭০ টাকা। আর বৃহস্পতিবার বিক্রি হয় ৫০-৫৫ টাকায়। সোমবার ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হয় ৭০ টাকা কেজি দরে।

এ পেঁয়াজ শনিবার বিক্রি হয় ৬০ টাকায়। বৃহস্পতিবার ছিল ৪৫-৫০ টাকা। অন্যদিকে চট্টগ্রামে সোমবার পাইকারি বাজারে দেশি পেঁয়াজ বড় ৭৫ ও ছোট ৬৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়, যা ১০ দিন আগে ছিল ৪০ টাকা।

চট্টগ্রাম ব্যুরো খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানায়, বাজার সামাল দিতে ভারত সরকার পেঁয়াজ রফতানিতে ন্যূনতম মূল্য টনপ্রতি ৮৫০ ডলার নির্ধারণ করে দিয়েছে, এর পরদিন থেকেই চট্টগ্রামের পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১০-১৫ টাকা বাড়িয়ে দেন ব্যবসায়ীরা। তাৎক্ষণিকভাবে এর প্রভাব পড়ে খুচরা বাজারে।

শুক্রবার যেখানে পেঁয়াজের কেজি ছিল ৫০ টাকা, সেখানে সোমবার তা বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকার উপরে। পেঁয়াজের বাড়তি দামে ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষ। চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ আমদানি হয় ভারতের মহারাষ্ট্রের লাসাগাঁও ও নাসিক থেকে। কিন্তু খাতুনগঞ্জে গত এক সপ্তাহ ধরে ভারত থেকে পেঁয়াজের আমদানি কমে গেছে।

ব্যবসায়ীদের গুদামে যেসব পেঁয়াজ মজুদ আছে তারা সেগুলো এখন বাড়তি দামে বিক্রি করছেন। গত দুই দিন ধরে খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজ বিক্রির পরিমাণ কমে গেছে। দাম কমার আশায় খুচরা ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজ কেনার পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছেন। ঈদের আগে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম ছিল কেজি প্রতি ৩৫ থেকে ৩৮ টাকা।

খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এবং সাব্বির ট্রেডিংয়ের স্বত্বাধিকারী সৈয়দ ছগির আহমদ বলেন, ভারতে পেঁয়াজের রফতানি মূল্য বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চট্টগ্রামে দাম বাড়িয়ে দেয়ার কোনো যুক্তি থাকতে পারে না।

বাতাসে বাতাসে মুখে মুখে পেঁয়াজের দাম বাড়ানো হয়েছে। এটা জেলা প্রশাসক চাইলে মনিটরিং করতে পারেন। ভারতে পেঁয়াজের দাম বাড়লেও মিয়ানমারে পেঁয়াজের দাম আগের মতো রয়েছে। এখন মিয়ানমার থেকেও পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে।

এদিকে বেনাপোল প্রতিনিধি জানিয়েছেন, পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির প্রভাব যশোরের সর্বত্র পড়েছে। বেনাপোল বন্দর সূত্রে জানা গেছে, রোববার বেনাপোল বন্দর দিয়ে ১৩০ টন পেঁয়াজ ভারত থেকে আমদানি হয়। সোমবার আমদানি হয় ১৭০ টন পেঁয়াজ। ভারতের নাসিক, হরিয়ানা ও কালনা থেকে বেশিরভাগ পেঁয়াজ আমদানি হয় এই বন্দর দিয়ে।

সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরের আমদানিকারক আবু হাসান জানান, তিনি সর্বশেষ ২৫০ ডলার দরে ভারত থেকে পেঁয়াজ এনেছেন। ভারত যে ন্যূনতম দাম ঠিক করে দিয়েছে, তাতে খুচরা বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১০০ টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে। একই কথা জানান, বেনাপোলের আড়তদার আলাউদ্দিন। তিনি বলেন, ভারত যেভাবে পেঁয়াজ রফতানিতে দাম বাড়িয়েছে তাতে করে অন্য দেশ থেকে পেঁয়াজ না আনা হলে দাম প্রায় ১০০ টাকা হবে।

শিকদার ভান্ডারের মালিক শামছু শিকদার বলেন, এখন ভারত ছাড়াও বিভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ আসে। তার সঙ্গে দেশের উৎপাদন মিলিয়ে ঘাটতি খুব বেশি হবে না। ফলে খুচরা বাজারে দাম কিছুটা বাড়লেও পরিস্থিতি অতটা মারাত্মক হওয়ার কথা নয়। আমদানিকারকরা ইতিমধ্যে তুরস্ক, মিসর, পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু করেছেন।

তথ্যমতে, এর আগে ২০১৭ সালের শেষ দিকেও একবার ভারত নিজেদের বাজার সামাল দিতে ন্যূনতম রফতানিমূল্য ৪৩০ ডলার থেকে বাড়িয়ে ৮৫০ ডলার করেছিল। তখন ঢাকার খুচরা বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ ৭৫ টাকা কেজিতে পাওয়া গেলেও দেশি পেঁয়াজের দাম ১০০ টাকা পেরিয়ে গিয়েছিল।

রাজধানীতে টিসিবির পেঁয়াজ বিক্রি শুরু : আজ থেকে রাজধানীতে টিসিবির পক্ষ থেকে পেঁয়াজ বিক্রি করা হবে বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে টিসিবির মুখপাত্র হুমায়ুন কবির যুগান্তরকে বলেন, পেঁয়াজ পচনশীল বিধায় এটি গোডাউনে রাখা যায় না।

কিন্তু তেল, চিনি, মসুর ডাল টিসিবির গোডাউনে সব সময় মজুদ থাকে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা পাওয়ার পর পরই টিসিবির কর্মকর্তারা পেঁয়াজ সংগ্রহ করতে স্থলবন্দরে গিয়েছেন।

মঙ্গলবার (আজ) থেকে রাজধানীর প্রেস ক্লাব, মতিঝিলের বক চত্বর ও সচিবালয়ের সামনেসহ ৫টি স্পটে ট্রাকে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু হবে। পরে স্পটের সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। পেঁয়াজের দাম কত হবে সেটা সকালে নির্ধারণ করা হবে।

তবে পেঁয়াজ আমদানিকারকরা বলছেন, টিসিবি এখনও পেঁয়াজ ক্রয় কার্যক্রম শুরুই করেনি। যেসব বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি হয় সেখানে কেনার কথাবার্তা চলছে।

আজকে (সোমবার) যদি কেনা সম্ভব হয় তবে সেগুলো ঢাকায় এনে আবার নিজস্ব ডিলারদের কাছে সরবরাহ করার বিষয় রয়েছে। সে হিসেবে মঙ্গলবার থেকে খোলাবাজারে পেঁয়াজ বিক্রি সম্ভব নয়। তবে ঢাকার পাইকারদের কাছ থেকে পেঁয়াজ কিনে তা ভর্তুকি মূল্যে বিক্রি করতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




পেঁয়াজের আগুনে পুড়ছে ক্রেতারা 

আপডেট সময় : ১১:৪৩:৫১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯
রাজধানীতে টিসিবির বিক্রি শুরু আজ

সকালের সংবাদঃ ভারত পেঁয়াজের রফতানি মূল্য নির্ধারণ করে দেয়ায় দেশের বাজারে প্রতিদিনই বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। চার দিনের ব্যবধানে ঢাকাসহ সারা দেশে বাজারভেদে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ২৫-৩০ টাকা বেড়েছে।

দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমদানিতে এলসি মার্জিন, সুদের হার হ্রাস, বন্দরে দ্রুত খালাস এবং নির্বিঘ্নে পরিবহন নিশ্চিত করতে সরকারের তরফ থেকে উদ্যোগ নেয়া হলেও তা কাজে আসছে না।

এদিকে সোমবার রাজধানীতে টিসিবির পক্ষ থেকে খোলাবাজারে পেঁয়াজ বিক্রির কথা থাকলেও প্রস্তুতি না থাকায় তা হয়নি। টিসিবি জানিয়েছে, আজ থেকে রাজধানীর ৫টি স্পটে পেঁয়াজ বিক্রি করা হবে। তবে আজও বিক্রি সম্ভব হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন পেঁয়াজ আমদানিকারকরা।

রাজধানীর কারওয়ান বাজার, নয়াবাজার ও রামপুরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সোমবার দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয় ৭৮-৮০ টাকা কেজি দরে, যা শনিবার ছিল ৭০ টাকা। আর বৃহস্পতিবার বিক্রি হয় ৫০-৫৫ টাকায়। সোমবার ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হয় ৭০ টাকা কেজি দরে।

এ পেঁয়াজ শনিবার বিক্রি হয় ৬০ টাকায়। বৃহস্পতিবার ছিল ৪৫-৫০ টাকা। অন্যদিকে চট্টগ্রামে সোমবার পাইকারি বাজারে দেশি পেঁয়াজ বড় ৭৫ ও ছোট ৬৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়, যা ১০ দিন আগে ছিল ৪০ টাকা।

চট্টগ্রাম ব্যুরো খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানায়, বাজার সামাল দিতে ভারত সরকার পেঁয়াজ রফতানিতে ন্যূনতম মূল্য টনপ্রতি ৮৫০ ডলার নির্ধারণ করে দিয়েছে, এর পরদিন থেকেই চট্টগ্রামের পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১০-১৫ টাকা বাড়িয়ে দেন ব্যবসায়ীরা। তাৎক্ষণিকভাবে এর প্রভাব পড়ে খুচরা বাজারে।

শুক্রবার যেখানে পেঁয়াজের কেজি ছিল ৫০ টাকা, সেখানে সোমবার তা বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকার উপরে। পেঁয়াজের বাড়তি দামে ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষ। চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ আমদানি হয় ভারতের মহারাষ্ট্রের লাসাগাঁও ও নাসিক থেকে। কিন্তু খাতুনগঞ্জে গত এক সপ্তাহ ধরে ভারত থেকে পেঁয়াজের আমদানি কমে গেছে।

ব্যবসায়ীদের গুদামে যেসব পেঁয়াজ মজুদ আছে তারা সেগুলো এখন বাড়তি দামে বিক্রি করছেন। গত দুই দিন ধরে খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজ বিক্রির পরিমাণ কমে গেছে। দাম কমার আশায় খুচরা ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজ কেনার পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছেন। ঈদের আগে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম ছিল কেজি প্রতি ৩৫ থেকে ৩৮ টাকা।

খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এবং সাব্বির ট্রেডিংয়ের স্বত্বাধিকারী সৈয়দ ছগির আহমদ বলেন, ভারতে পেঁয়াজের রফতানি মূল্য বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চট্টগ্রামে দাম বাড়িয়ে দেয়ার কোনো যুক্তি থাকতে পারে না।

বাতাসে বাতাসে মুখে মুখে পেঁয়াজের দাম বাড়ানো হয়েছে। এটা জেলা প্রশাসক চাইলে মনিটরিং করতে পারেন। ভারতে পেঁয়াজের দাম বাড়লেও মিয়ানমারে পেঁয়াজের দাম আগের মতো রয়েছে। এখন মিয়ানমার থেকেও পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে।

এদিকে বেনাপোল প্রতিনিধি জানিয়েছেন, পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির প্রভাব যশোরের সর্বত্র পড়েছে। বেনাপোল বন্দর সূত্রে জানা গেছে, রোববার বেনাপোল বন্দর দিয়ে ১৩০ টন পেঁয়াজ ভারত থেকে আমদানি হয়। সোমবার আমদানি হয় ১৭০ টন পেঁয়াজ। ভারতের নাসিক, হরিয়ানা ও কালনা থেকে বেশিরভাগ পেঁয়াজ আমদানি হয় এই বন্দর দিয়ে।

সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরের আমদানিকারক আবু হাসান জানান, তিনি সর্বশেষ ২৫০ ডলার দরে ভারত থেকে পেঁয়াজ এনেছেন। ভারত যে ন্যূনতম দাম ঠিক করে দিয়েছে, তাতে খুচরা বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১০০ টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে। একই কথা জানান, বেনাপোলের আড়তদার আলাউদ্দিন। তিনি বলেন, ভারত যেভাবে পেঁয়াজ রফতানিতে দাম বাড়িয়েছে তাতে করে অন্য দেশ থেকে পেঁয়াজ না আনা হলে দাম প্রায় ১০০ টাকা হবে।

শিকদার ভান্ডারের মালিক শামছু শিকদার বলেন, এখন ভারত ছাড়াও বিভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ আসে। তার সঙ্গে দেশের উৎপাদন মিলিয়ে ঘাটতি খুব বেশি হবে না। ফলে খুচরা বাজারে দাম কিছুটা বাড়লেও পরিস্থিতি অতটা মারাত্মক হওয়ার কথা নয়। আমদানিকারকরা ইতিমধ্যে তুরস্ক, মিসর, পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু করেছেন।

তথ্যমতে, এর আগে ২০১৭ সালের শেষ দিকেও একবার ভারত নিজেদের বাজার সামাল দিতে ন্যূনতম রফতানিমূল্য ৪৩০ ডলার থেকে বাড়িয়ে ৮৫০ ডলার করেছিল। তখন ঢাকার খুচরা বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ ৭৫ টাকা কেজিতে পাওয়া গেলেও দেশি পেঁয়াজের দাম ১০০ টাকা পেরিয়ে গিয়েছিল।

রাজধানীতে টিসিবির পেঁয়াজ বিক্রি শুরু : আজ থেকে রাজধানীতে টিসিবির পক্ষ থেকে পেঁয়াজ বিক্রি করা হবে বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে টিসিবির মুখপাত্র হুমায়ুন কবির যুগান্তরকে বলেন, পেঁয়াজ পচনশীল বিধায় এটি গোডাউনে রাখা যায় না।

কিন্তু তেল, চিনি, মসুর ডাল টিসিবির গোডাউনে সব সময় মজুদ থাকে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা পাওয়ার পর পরই টিসিবির কর্মকর্তারা পেঁয়াজ সংগ্রহ করতে স্থলবন্দরে গিয়েছেন।

মঙ্গলবার (আজ) থেকে রাজধানীর প্রেস ক্লাব, মতিঝিলের বক চত্বর ও সচিবালয়ের সামনেসহ ৫টি স্পটে ট্রাকে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু হবে। পরে স্পটের সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। পেঁয়াজের দাম কত হবে সেটা সকালে নির্ধারণ করা হবে।

তবে পেঁয়াজ আমদানিকারকরা বলছেন, টিসিবি এখনও পেঁয়াজ ক্রয় কার্যক্রম শুরুই করেনি। যেসব বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি হয় সেখানে কেনার কথাবার্তা চলছে।

আজকে (সোমবার) যদি কেনা সম্ভব হয় তবে সেগুলো ঢাকায় এনে আবার নিজস্ব ডিলারদের কাছে সরবরাহ করার বিষয় রয়েছে। সে হিসেবে মঙ্গলবার থেকে খোলাবাজারে পেঁয়াজ বিক্রি সম্ভব নয়। তবে ঢাকার পাইকারদের কাছ থেকে পেঁয়াজ কিনে তা ভর্তুকি মূল্যে বিক্রি করতে পারে।