ঢাকা ০২:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ




গুলশান চেকপোস্টে পাঁচ পুলিশের ‘ইয়াবাকাণ্ড! 

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৩৪:৫০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১২৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ 

ইয়াবা ট্যাবলেটসহ পুলিশের কাছে হাতেনাতে ধরা পড়ল এক মাদক ব্যবসায়ী। সেই ইয়াবা উদ্ধারও হলো। কিন্তু কোনো মামলা হলো না মাদক কারবারির নামে। সাড়ে ৫০০ পিস ইয়াবার একটাও জমা পড়ল না থানায়। টাকা খেয়ে অপরাধীকে ছেড়ে দিলেন অকুস্থলে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা। আর ইয়াবা রেখে দেওয়া হলো পরে নিজেদের মধ্যে ভাগবাটোয়ারার জন্য। এ পর্যন্ত সব ঠিকঠাকই চলছিল; কিন্তু বিধিবাম! ‘ইয়াবা-সুখ’ শেষ পর্যন্ত কপালে সইল না তাদের। নিজেদের বাহিনীরই আরেকটি টিমের কাছে ধরা পড়ে যেতে হলো। এখন তাদের ঠাঁই হয়েছে হাজতে।

রক্ষকের ভক্ষক হওয়ার এবং পরিশেষে ধরা পড়ার এ ঘটনাটি ঘটেছে গত ১১ সেপ্টেম্বর ভোরে রাজধানীর গুলশানে গুদারাঘাট এলাকার চেকপোস্টে। ওই চেকপোস্টে ইয়াবাসহ এক ব্যক্তিকে ধরার পর দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা ইয়াবা রেখে টাকার বিনিময়ে তাকে ছেড়ে দেন। গত রোববার ইয়াবা ভাগবাটোয়ারার সময় ধরা পড়েন ওই চেকপোস্টে দায়িত্ব পালনকারী পুলিশের পাঁচ সদস্য। তাদের গ্রেফতারের পর গতকাল সোমবার আদালত থেকে রিমান্ডে নেওয়া হয়।

গ্রেফতার পাঁচজন হলেন- গুলশান থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মাসুদ আহমেদ মিয়াজী, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) কনস্টেবল প্রশান্ত মণ্ডল, নায়েক জাহাঙ্গীর আলম, কনস্টেবল রনি মোল্লা ও কনস্টেবল শরিফুল ইসলাম। তাদের কাছ থেকে ৫৫২ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। শুরুর দিকে উত্তরা-পূর্ব থানা ও গুলশান থানা পুলিশ গণমাধ্যমের কাছে বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। অবশ্য গতকাল রাতে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্‌স বিভাগ থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ইয়াবাসহ পুলিশের ওই পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতারের বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়।

সূত্র জানায়, গ্রেফতার পাঁচ পুলিশ সদস্যের মধ্যে মাসুদ আহমেদ মিয়াজী ছাড়া অন্য চারজন এপিবিএন-১-এর সদস্য। সংস্থাটির উত্তরা সদরদপ্তরের ব্যারাক থেকে ওই চারজনকে এপিবিএন সদস্যরাই আটক করেন। এ ঘটনায় উত্তরা-পূর্ব থানায় মামলা হলে গুলশান থানার এএসআই মাসুদকে গ্রেফতার করা হয়। ওই মামলায় আরও দুই ইয়াবা ব্যবসায়ীকে আসামি করা হয়েছে, যাদের কাছে গ্রেফতার হওয়া পাঁচ পুলিশ সদস্য এর আগেও ইয়াবা বিক্রি করেছিলেন।

আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন-১-এর অধিনায়ক নিজামুল হক মোল্লা বলেছেন, ওই ঘটনায় তাদের একজন উপপরিদর্শক বাদী হয়ে উত্তরা-পূর্ব থানায় মামলা করেছেন। এরই মধ্যে তাদের চার সদস্যকে গ্রেফতারের পাশাপাশি সাসপেন্ডও করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, গুলশানের চেকপোস্টে থানার একজন এএসআইর নেতৃত্বে এপিবিএনের পাঁচ সদস্য দায়িত্ব পালন করেন। ১১ সেপ্টেম্বর দায়িত্ব পালনকালে মোটরসাইকেল আরোহী এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়। তার কাছে ইয়াবা পাওয়ার পরও তাকে গ্রেফতার না দেখিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। থানায় মামলা না দিয়ে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা জব্দ ইয়াবা নিজেদের কাছেই রেখে দেন। বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনায় জড়িত এপিবিএনের চার সদস্যকে আটক করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গুলশান থানার একজন এএসআইকেও গ্রেফতার করা হয়।

যেভাবে গ্রেফতার ইয়াবা বিক্রিতে জড়িত পাঁচ পুলিশ :থানা পুলিশ ও এপিবিএন সূত্র জানায়, রোববার সকালে উত্তরায় এপিবিএন-১ সদরদপ্তরের ব্যারাক ভবনের চতুর্থ তলার বাথরুমের সামনে কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে সন্দেহজনকভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন ওই বাহিনীরই এক সদস্য। সন্দেহবশত তিনি দূর থেকে তাদের অনুসরণ করতে গিয়ে দেখেন, পুলিশের ওই সদস্যরা নিজেদের মধ্যে ইয়াবা ট্যাবলেট ভাগাভাগি করছেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানালে এপিবিএন-১-এর উপপরিদর্শক আবু জাফরের নেতৃত্বে একটি দল বাথরুমের সামনে অবস্থান নেয়। সেখান থেকে কনস্টেবল প্রশান্ত মণ্ডল, রনি মোল্লা ও কনস্টেবল শরিফুল ইসলামকে হাতেনাতে আটক করা হয়। প্রশান্ত মণ্ডলের দেহ তল্লাশি করে ফুলপ্যান্টের ডান পকেট থেকে ১৫৮ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। প্রশান্ত মণ্ডলের ব্যারাকের কক্ষে থাকা ট্রাঙ্কের ভেতর আরও ৩৯৪ পিস ইয়াবা পাওয়া যায়। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর শরিফুলের কাছ থেকে ইয়াবা বিক্রির ১৫ হাজার টাকাও উদ্ধার হয়।

এপিবিএন-১-এর এক কর্মকর্তা বলেন, তখনও তারা জানতেন না, এই ইয়াবা কোথা থেকে এসেছে বা এগুলো দিয়ে তারা কী করবেন। পরে ওই তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তখন কনস্টেবল শরিফুল জানান, তিনি কনস্টেবল রনি মোল্লার কাছ থেকে সাড়ে ১৮ হাজার টাকা দিয়ে ১৫০ পিস ইয়াবা কিনেছেন। এরপর রনিকেও গ্রেফতার করা হয়। পরে তথ্য পেয়ে নায়েক জাহাঙ্গীরকে আটক করা হয়। তাদের চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায় নেপথ্যের ঘটনা।

ওই কর্মকর্তা বলেন, সেদিন চেকপোস্ট থেকে কী পরিমাণ ইয়াবা জব্দ করা হয়েছিল, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে উদ্ধার ইয়াবার কিছু অংশ দুই মাদক ব্যবসায়ীর কাছে আগেই বিক্রি করার কথা জানা গেছে। এজন্যই ওই দু’জনকে আসামি করা হয়েছে। তা ছাড়া যার কাছ থেকে ইয়াবাগুলো জব্দ করা হয়েছে তাকেও চিহ্নিত করে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

উত্তরা-পূর্ব থানার ওসি নূরে আলম সিদ্দিকী জানান, গ্রেফতার পাঁচ পুলিশ সদস্যকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। তাদের সঙ্গে আর কেউ ছিল কি-না বা এর আগেও তারা এমন অপকর্ম করেছেন কি-না, সে বিষয়ে জানার চেষ্টা করা হবে।

ডিএমপির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পাঁচ আসামিকে গতকাল আদালতে হাজির করে প্রত্যেককে সাত দিন করে রিমান্ড আবেদন করা হয়। আদালত তিনজনকে তিন দিন করে এবং অন্য দু’জনকে দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

তাদের মধ্যে এএসআই মাসুদ আহমেদ মিয়াজী, কনস্টেবল প্রশান্ত মণ্ডল ও নায়েক জাহাঙ্গীর আলমের তিন দিন করে এবং কনস্টেবল রনি মোল্লা ও শরিফুল ইসলামের দু’দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




গুলশান চেকপোস্টে পাঁচ পুলিশের ‘ইয়াবাকাণ্ড! 

আপডেট সময় : ১১:৩৪:৫০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ 

ইয়াবা ট্যাবলেটসহ পুলিশের কাছে হাতেনাতে ধরা পড়ল এক মাদক ব্যবসায়ী। সেই ইয়াবা উদ্ধারও হলো। কিন্তু কোনো মামলা হলো না মাদক কারবারির নামে। সাড়ে ৫০০ পিস ইয়াবার একটাও জমা পড়ল না থানায়। টাকা খেয়ে অপরাধীকে ছেড়ে দিলেন অকুস্থলে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা। আর ইয়াবা রেখে দেওয়া হলো পরে নিজেদের মধ্যে ভাগবাটোয়ারার জন্য। এ পর্যন্ত সব ঠিকঠাকই চলছিল; কিন্তু বিধিবাম! ‘ইয়াবা-সুখ’ শেষ পর্যন্ত কপালে সইল না তাদের। নিজেদের বাহিনীরই আরেকটি টিমের কাছে ধরা পড়ে যেতে হলো। এখন তাদের ঠাঁই হয়েছে হাজতে।

রক্ষকের ভক্ষক হওয়ার এবং পরিশেষে ধরা পড়ার এ ঘটনাটি ঘটেছে গত ১১ সেপ্টেম্বর ভোরে রাজধানীর গুলশানে গুদারাঘাট এলাকার চেকপোস্টে। ওই চেকপোস্টে ইয়াবাসহ এক ব্যক্তিকে ধরার পর দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা ইয়াবা রেখে টাকার বিনিময়ে তাকে ছেড়ে দেন। গত রোববার ইয়াবা ভাগবাটোয়ারার সময় ধরা পড়েন ওই চেকপোস্টে দায়িত্ব পালনকারী পুলিশের পাঁচ সদস্য। তাদের গ্রেফতারের পর গতকাল সোমবার আদালত থেকে রিমান্ডে নেওয়া হয়।

গ্রেফতার পাঁচজন হলেন- গুলশান থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মাসুদ আহমেদ মিয়াজী, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) কনস্টেবল প্রশান্ত মণ্ডল, নায়েক জাহাঙ্গীর আলম, কনস্টেবল রনি মোল্লা ও কনস্টেবল শরিফুল ইসলাম। তাদের কাছ থেকে ৫৫২ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। শুরুর দিকে উত্তরা-পূর্ব থানা ও গুলশান থানা পুলিশ গণমাধ্যমের কাছে বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। অবশ্য গতকাল রাতে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্‌স বিভাগ থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ইয়াবাসহ পুলিশের ওই পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতারের বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়।

সূত্র জানায়, গ্রেফতার পাঁচ পুলিশ সদস্যের মধ্যে মাসুদ আহমেদ মিয়াজী ছাড়া অন্য চারজন এপিবিএন-১-এর সদস্য। সংস্থাটির উত্তরা সদরদপ্তরের ব্যারাক থেকে ওই চারজনকে এপিবিএন সদস্যরাই আটক করেন। এ ঘটনায় উত্তরা-পূর্ব থানায় মামলা হলে গুলশান থানার এএসআই মাসুদকে গ্রেফতার করা হয়। ওই মামলায় আরও দুই ইয়াবা ব্যবসায়ীকে আসামি করা হয়েছে, যাদের কাছে গ্রেফতার হওয়া পাঁচ পুলিশ সদস্য এর আগেও ইয়াবা বিক্রি করেছিলেন।

আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন-১-এর অধিনায়ক নিজামুল হক মোল্লা বলেছেন, ওই ঘটনায় তাদের একজন উপপরিদর্শক বাদী হয়ে উত্তরা-পূর্ব থানায় মামলা করেছেন। এরই মধ্যে তাদের চার সদস্যকে গ্রেফতারের পাশাপাশি সাসপেন্ডও করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, গুলশানের চেকপোস্টে থানার একজন এএসআইর নেতৃত্বে এপিবিএনের পাঁচ সদস্য দায়িত্ব পালন করেন। ১১ সেপ্টেম্বর দায়িত্ব পালনকালে মোটরসাইকেল আরোহী এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়। তার কাছে ইয়াবা পাওয়ার পরও তাকে গ্রেফতার না দেখিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। থানায় মামলা না দিয়ে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা জব্দ ইয়াবা নিজেদের কাছেই রেখে দেন। বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনায় জড়িত এপিবিএনের চার সদস্যকে আটক করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গুলশান থানার একজন এএসআইকেও গ্রেফতার করা হয়।

যেভাবে গ্রেফতার ইয়াবা বিক্রিতে জড়িত পাঁচ পুলিশ :থানা পুলিশ ও এপিবিএন সূত্র জানায়, রোববার সকালে উত্তরায় এপিবিএন-১ সদরদপ্তরের ব্যারাক ভবনের চতুর্থ তলার বাথরুমের সামনে কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে সন্দেহজনকভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন ওই বাহিনীরই এক সদস্য। সন্দেহবশত তিনি দূর থেকে তাদের অনুসরণ করতে গিয়ে দেখেন, পুলিশের ওই সদস্যরা নিজেদের মধ্যে ইয়াবা ট্যাবলেট ভাগাভাগি করছেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানালে এপিবিএন-১-এর উপপরিদর্শক আবু জাফরের নেতৃত্বে একটি দল বাথরুমের সামনে অবস্থান নেয়। সেখান থেকে কনস্টেবল প্রশান্ত মণ্ডল, রনি মোল্লা ও কনস্টেবল শরিফুল ইসলামকে হাতেনাতে আটক করা হয়। প্রশান্ত মণ্ডলের দেহ তল্লাশি করে ফুলপ্যান্টের ডান পকেট থেকে ১৫৮ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। প্রশান্ত মণ্ডলের ব্যারাকের কক্ষে থাকা ট্রাঙ্কের ভেতর আরও ৩৯৪ পিস ইয়াবা পাওয়া যায়। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর শরিফুলের কাছ থেকে ইয়াবা বিক্রির ১৫ হাজার টাকাও উদ্ধার হয়।

এপিবিএন-১-এর এক কর্মকর্তা বলেন, তখনও তারা জানতেন না, এই ইয়াবা কোথা থেকে এসেছে বা এগুলো দিয়ে তারা কী করবেন। পরে ওই তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তখন কনস্টেবল শরিফুল জানান, তিনি কনস্টেবল রনি মোল্লার কাছ থেকে সাড়ে ১৮ হাজার টাকা দিয়ে ১৫০ পিস ইয়াবা কিনেছেন। এরপর রনিকেও গ্রেফতার করা হয়। পরে তথ্য পেয়ে নায়েক জাহাঙ্গীরকে আটক করা হয়। তাদের চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায় নেপথ্যের ঘটনা।

ওই কর্মকর্তা বলেন, সেদিন চেকপোস্ট থেকে কী পরিমাণ ইয়াবা জব্দ করা হয়েছিল, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে উদ্ধার ইয়াবার কিছু অংশ দুই মাদক ব্যবসায়ীর কাছে আগেই বিক্রি করার কথা জানা গেছে। এজন্যই ওই দু’জনকে আসামি করা হয়েছে। তা ছাড়া যার কাছ থেকে ইয়াবাগুলো জব্দ করা হয়েছে তাকেও চিহ্নিত করে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

উত্তরা-পূর্ব থানার ওসি নূরে আলম সিদ্দিকী জানান, গ্রেফতার পাঁচ পুলিশ সদস্যকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। তাদের সঙ্গে আর কেউ ছিল কি-না বা এর আগেও তারা এমন অপকর্ম করেছেন কি-না, সে বিষয়ে জানার চেষ্টা করা হবে।

ডিএমপির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পাঁচ আসামিকে গতকাল আদালতে হাজির করে প্রত্যেককে সাত দিন করে রিমান্ড আবেদন করা হয়। আদালত তিনজনকে তিন দিন করে এবং অন্য দু’জনকে দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

তাদের মধ্যে এএসআই মাসুদ আহমেদ মিয়াজী, কনস্টেবল প্রশান্ত মণ্ডল ও নায়েক জাহাঙ্গীর আলমের তিন দিন করে এবং কনস্টেবল রনি মোল্লা ও শরিফুল ইসলামের দু’দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে।