ক্ষমতার অপব্যবহার অভিযোগে বিতর্কিত “দেশের কনিষ্ঠ কাউন্সিলর রনি”!
- আপডেট সময় : ০২:৩৮:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ৮৮ বার পড়া হয়েছে
স্টাফ রিপোর্টার; দেশের সর্ব কনিষ্ঠ কাউন্সিলর বিসিসির ৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কেফায়েত হোসেন রনি। ইতিমধ্যে বহু বিতর্কে জড়িয়ে গেলেও প্রাপ্তি নেই বললেই চলে। ওয়ার্ডের মাদক বাণিজ্য, জলাবদ্ধতা, সামাজিক ও রাস্তাঘাট উন্নয়ে কোনভাবেই যেন জয়ী হতে পারেন নি তিনি। কেফায়েত হোসেন রনির ওয়ার্ডে বড় ধরনের মাদক কারবারি ও ভূমি দস্যু থাকলেও তিনি তাদের প্রতিহত করতে কোন ধরনের দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেননি বলে খবর রয়েছে। অভযোগ রয়েছে মাদক কারবারিদের জিরো টলারেন্স এর বদলে তিনি পলাশপুরের তার ওয়ার্ডের অংশকে অভয়ারণ্যে পরিনত করেছেন। মাদক কারবারি জয়ফুলি, হানিফ, রিপন সহ বেশ কয়েকজন এর অভয়ারণ্য রনির নির্বাচিত ওয়ার্ড। বারবার পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলেও কেফায়েত হোসেন এর উপর কোন প্রভাব পড়েনা। তিনি নিজেকে খুব দাম্ভিকতার সহিত নিজেকে ফুটিয়ে তুললেও কোন ধরনের প্রাপ্তি দেখাতে পারেননি একালায়। ইতিমধ্যে ক্ষমতার অপব্যবহার, মাদক কারবারিকে আশ্রয়দান, আল্লাহর রাস্তে গরু আত্মসাৎ সহ বিভিন্ন কুকর্মে জড়িয়েছেন এই রনি।
এবার জাহানারা নামে এক ভাঙ্গারি ব্যাবসায়ী অভিযোগ করেছেন যে, কাউন্সিলর তার দলীয় ও সহযোগী শাহিনকে সরকারি খাস জমিতে জালিয়াতির মাধ্যমে ভূয়া দলিল করে ২ শতাংশ জমি দখল নিয়ে দিয়েছিলেন। যার বাজার মূল্য ৮-১০ লাখ হলেও ক্ষমতার অপব্যবহার করে কাউন্সিলর রনি তার (মহিলার) জমিটি মাত্র ১ লাখ টাকার বিনিময়ে অবৈধভাবে দখল করিয়ে দেয় শাহিন নামে স্থানীয় যুবককে।
স্থানীয় জানাহারা বেগম মৃত ইসমাইল কমান্ডারের স্ত্রী। তিনি বলেন ” ১৩৫৬ দাগের খাস খতিয়ানের জমিটির ২ শতাংশ ৩৫ বছর দখলে থাকলেও সরকার আমাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যাবস্থা নেয়নি। ২০০৬ এর পপর আ’লীগ ক্ষমতায় এলেও আমরা দখলে ছিলাম। অথচ, শাহিনের মৃত শশুর হানিফ সরদারের অন্য জমির দাগ দেখিয়ে ভূয়া দলিল দেখিয়ে কাউন্সিলর এর সহায়তায় বেদখল করে শাহিন ওরফে জুতা শাহিন গ্রুপ। ”
এ বিষয়ে বরিশালের বর্তমান মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ এর বাসভবনে বিচার চাইতে গেলে সেখানেও একজন প্রভাবশালী নেতা জানারাকে মেয়রের কাছে যেতে অনাগ্রহী করে। ফলে সেখান থেকেও কোন সুফল মেলেনি। বর্তমানে জাহানারা ওরফে জানু মানবেতর জীবন যাপন করছেন যার জন্য কাউন্সিলর কেফায়েত হোসেন রনি ও শাহিন গ্রুপকে দোষী হিসেবে অভিযুক্ত করেছেন জাহানারা।
অভিযোগ সমন্ধে বিতর্কিত কাউন্সিলর কেফায়েত হোসেন রনি বলেন ” অভিযোগটি মিথ্যা। জাহানারাকে এক লাখ টাকা দেয়া হয়েছিল। এতে আমার কোন হাত নেই “