ইশতেহার ঘোষণা করছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন।
- আপডেট সময় : ০১:১২:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৭৮ বার পড়া হয়েছে
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বহুল প্রত্যাশিত ইশতেহার ঘোষণা করেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। ইশতেহারে ১৪টি প্রতিশ্রুতির পাশাপাশি কিছু চমকও রাখা হয়েছে। শিক্ষিত ও তরুণ প্রজন্মের ভাবনা ও তাদের চাহিদার বিষয়গুলো স্থান পেয়েছে ইশতেহারে।
দেয়া হয়েছে চাকরি ও কর্মসংস্থান নিয়ে বেশ কিছু প্রতিশ্রুতি। ইশতেহারে বলা হয়েছে পুলিশ ও সামরিক বাহিনী ছাড়া চাকরিতে প্রবেশের জন্য কোনো বয়সসীমা থাকবে না।
এছাড়া কোটা ব্যবস্থা নিয়ে বলা হয়েছে, সরকারি চাকরিতে শুধুমাত্র অনগ্রসর জনগোষ্ঠী ও প্রতিবন্ধীদের জন্য কোটা ব্যবস্থা থাকবে। আর কোনো কোটা থাকবে না।
খসড়া ইশতেহারে চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ বছর ও কোটা ব্যবস্থার পুনর্বিন্যাসের প্রতিশ্রুতি থাকার কথা থাকলেও পরে তা বাতিল করা হয়।
সোমবার রাজধানীর হোটেল পূর্বাণী ইন্টারন্যাশনালে এ ইশতেহার ঘোষণা করা হয়। ইশতেহার ঘোষণার আগে বক্তব্য দেন ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন।
শিক্ষিত তরুণ প্রজন্ম ও তাদের কর্মসংস্থান, জনগণের চাহিদা এবং একটি ইনক্লুসিভ সমাজ গঠনের জন্য নিজেদের পরিকল্পনা ও ভাবনাগুলো স্থান পায় ইশতেহারে।
এর আগে বেলা ১১টা ১৫ মিনিটে ইশতেহার ঘোষণার মঞ্চে উঠেন ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন। এরপর শুরু হয় ইশতেহার ঘোষণা।ড. কামালের পক্ষে লিখিত ইশতেহার পাঠ করেন নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না।
এর আগে জোটের পক্ষ থেকে প্রথম দফায় নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে এবং ডিসেম্বরের ৮ তারিখে ইশতেহার ঘোষণার কথা বললেও পরে তা স্থগিত করা হয়নি।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত রয়েছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, গণফোরাম নেতা সুব্রত চৌধুরী, মোস্তফা মহসিন মন্টু প্রমুখ ও ড. রেজা কিবরিয়া প্রমুখ।
ইশতেহার তৈরির জন্য ঐক্যফ্রন্ট ৬ সদস্যের একটি কমিটি করে দেয়। কমিটিতে বিএনপি থেকে সাংবাদিক মাহফুজউল্লাহ, গণফোরাম থেকে আ ও ম শফিক উল্লাহ, নাগরিক ঐক্য থেকে ডা. জাহেদ উর রহমান, জেএসডি থেকে শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের অধ্যক্ষ ইকবাল সিদ্দিকী এবং ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে রাখা হয়।