সরাইল, প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরাইল উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মনোনয়ন জমা না নেয়ার অভিযোগ তুলেছেন নিয়তী রানী দাস নামে এক মহিলা।
শুক্রবার সরাইল প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করে এই অভিযোগ করেন তিনি। এসময় তিনি লিখিত বক্তব্য পড়ে শুনান সাংবাদিকদের সামনে। তিনি বলেন সরাইল উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নের ৪,৫,৬নং ওয়ার্ডের (সংরক্ষিত মহিলা) সদস্য পদে উপ-নির্বাচনে প্রার্থী ছিলেন তিনি। এরই সূত্র ধরে গত ১২সেপ্টেম্বর বিকাল ৫টা পর্যন্ত অপেক্ষা করেও মনোনয়ন জমা যিতে পারেননি তিনি। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বিকাল ৫টা পর্যন্ত সময় ক্ষেপন করিয়েও তার মনোনয়ন পত্র জমা রাখেনি। তিনি আরো বলেন সময় শেষ হওয়ার ৩০ মিনিট পূর্বেই রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন। পরে রিটার্নিং কর্মকর্তা বিকাল ৫টার পর মনোনয়ন জমা না নিয়ে ,তাকে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে জমা দেয়ার কথা বলে কার্যালয় থেকে বেড়িয়ে যান।
এরপর তরিঘরি করে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে গেলে তিনি যানতে পারেন, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা নবীনগর অবস্থান করছেন। মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, এইটা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার বিষয়। এই বিষয়ে উনার কিছু করার নেই।
তার জনপ্রিয়তায় ভীত হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী দ্বারা প্রভাবিত হয়ে নির্বাচন কর্মকর্তা সময় ক্ষেপণ করেন। তিনি সাংবাদিকদের মাধ্যমে উর্ধতন কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন সরাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি বদর উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মাহবুব খান, সাবেক যুবলীগ নেতা মাহফুজ আলী ও সাংবাদিক বৃন্দরা ।
এই বিষয়ে সরাইল উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা আশরাফ উদ্দিন বলেন, তিনি সাড়ে চারটায় আমার কার্যালয়ে আসলেও বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত মনোনয়ন পত্র সম্পুর্ন করতে পারে নাই। তাই মনোনয়ন দাখিলের সব তথ্য আমি মুঠোফোনে জেলা কার্যালয়ে বিকাল সাড়ে পাঁচটায় জানিয়ে দিয়েছি। এর পরে আমি নতুন কোন প্রার্থীর কাগজ পত্র জমা নিতে পারিনা।
উল্লেখ্য কালিকচ্ছ ইউনিয়ন পরিষদের এই ওয়ার্ডের মহিলা সদস্য ছিলেন বর্তমান উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান । তিনি গত ২৭ এপ্রিল ওই পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এতে এই পদটি শুন্য ঘোষণা করে উপজেলা প্রশাসন। আগামী১৪ অক্টোবর ওই আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।