ঢাকা ০২:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo ইবি উপাচার্যকে ১০লাখ ঘুষ প্রস্তাব এক তরুনীর! Logo মামলায় জর্জরিত কুলাউড়ার ছাত্রদল নেতা মিতুল পালিয়ে আছেন প্রবাসে Logo ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসে মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে শাবি ছাত্রলীগের কার্যক্রম শুরু Logo থিয়েটার কুবির ইফতার মাহফিল Logo রাজধানীর শান্তিনগর বাজার নিয়ে শত কোটি টাকার লুটপাট Logo ঢাবির সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমানের মৃত্যুতে শাবি শিক্ষক সমিতির শোক Logo ঢাবি শিক্ষক ড. জিয়া রহমানের মৃত্যুতে শাবি উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo ময়মনসিংহ স্টুডেন্টস এসোসিয়েশনের নতুন সভাপতি সজীব, সম্পাদক আশিক Logo পুরান ঢাকায় জুতার কারখানার আগুন Logo রাশিয়ায় কনসার্ট হলে বন্দুক হামলার নিহত ৬০, দায় স্বীকার আইএসের




মসজিদে ঢুকে নামাজরত যুবককে কোপালো মাদক ব্যবসায়ীরা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:৩৭:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ৫৬ বার পড়া হয়েছে

জেলা প্রতিনিধি

কক্সবাজার সদর উপজেলায় খরুলিয়া এলাকায় মসজিদে ঢুকে নামাজরত এক যুবককে কুপিয়ে আহত করেছে স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ীরা। শুক্রবার জুম্মার নামাজের সময় খরুলিয়া এলাকার সুতারচর গ্রামের জামে মসজিদের ভেতর এ ঘটনা ঘটে।

আহত যুবক আব্দুল মালেককে (৩২) কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি সুতারচর গ্রামের ছুরুত আলমের ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আহত মালেক জুমার নামাজ শেষে পরবর্তী নামাজ পড়ছিলেন। এমন সময় মসজিদের ভেতরে ঢুকে প্রতিবেশী একই গ্রামের মাদক কারবারী ইউসুফ আলীর ছেলে রাজা মিয়া, তার তিন ভাই ওসমান গনি, নবাব মিয়া, আকাশসহ ৫/৬ জন নিয়ে নামাজরত মালেকের ওপর হামলা চালায়। রামদা দিয়ে তার মাথায় ও শরীরে কোপাতে থাকে তারা। অবস্থা দেখে অন্য মুসল্লিরা ভয়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও স্বজনরা এসে মালেককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।

ঝিলংজা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান টিপু সুলতান তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে পরিবারের বরাতে বলেন, কয়েকদিন আগে আহত মালেকের ছোট ভাই মান্নানের মোবাইল ও ২৫ হাজার টাকা দিনে দুপুরে ছিনিয়ে নেয় রাজা মিয়া। পরে মালেক তার ভাই মান্নান টাকা ও মোবাইল ফিরে পেতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্ন দপ্তরে যোগাযোগ করেও সুরাহা না পেয়ে সন্ত্রাসী রাজা মিয়াকে ধাওয়া করে। এ ঘটনার জের ধরে রাজা মিয়া ও তার ভাইয়েরা সব সময় হুমকি দিয়ে আসছিল। এর জেরে শুক্রবার এ হামলার ঘটনা ঘটে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

পরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান, সদর থানার পুলিশ, ঝিলংজা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য শরীফ উদ্দিন ও আব্দু রশিদ।

সদর থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) খাইরুজ্জামান জানান, আমি হাসপাতালে গিয়ে রোগীকে দেখে এসেছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামিদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে কাজ করছে পুলিশ। ভিকটিমের পরিবারকে মামলা করতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

এদিকে, আহত মালেকের বড় ভাই আব্দুস সালাম জানান, মসজিদে নামাজরত অবস্থায় হামলার পর পরিবার নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি আমরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




মসজিদে ঢুকে নামাজরত যুবককে কোপালো মাদক ব্যবসায়ীরা

আপডেট সময় : ০৭:৩৭:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯

জেলা প্রতিনিধি

কক্সবাজার সদর উপজেলায় খরুলিয়া এলাকায় মসজিদে ঢুকে নামাজরত এক যুবককে কুপিয়ে আহত করেছে স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ীরা। শুক্রবার জুম্মার নামাজের সময় খরুলিয়া এলাকার সুতারচর গ্রামের জামে মসজিদের ভেতর এ ঘটনা ঘটে।

আহত যুবক আব্দুল মালেককে (৩২) কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি সুতারচর গ্রামের ছুরুত আলমের ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আহত মালেক জুমার নামাজ শেষে পরবর্তী নামাজ পড়ছিলেন। এমন সময় মসজিদের ভেতরে ঢুকে প্রতিবেশী একই গ্রামের মাদক কারবারী ইউসুফ আলীর ছেলে রাজা মিয়া, তার তিন ভাই ওসমান গনি, নবাব মিয়া, আকাশসহ ৫/৬ জন নিয়ে নামাজরত মালেকের ওপর হামলা চালায়। রামদা দিয়ে তার মাথায় ও শরীরে কোপাতে থাকে তারা। অবস্থা দেখে অন্য মুসল্লিরা ভয়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও স্বজনরা এসে মালেককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।

ঝিলংজা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান টিপু সুলতান তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে পরিবারের বরাতে বলেন, কয়েকদিন আগে আহত মালেকের ছোট ভাই মান্নানের মোবাইল ও ২৫ হাজার টাকা দিনে দুপুরে ছিনিয়ে নেয় রাজা মিয়া। পরে মালেক তার ভাই মান্নান টাকা ও মোবাইল ফিরে পেতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্ন দপ্তরে যোগাযোগ করেও সুরাহা না পেয়ে সন্ত্রাসী রাজা মিয়াকে ধাওয়া করে। এ ঘটনার জের ধরে রাজা মিয়া ও তার ভাইয়েরা সব সময় হুমকি দিয়ে আসছিল। এর জেরে শুক্রবার এ হামলার ঘটনা ঘটে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

পরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান, সদর থানার পুলিশ, ঝিলংজা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য শরীফ উদ্দিন ও আব্দু রশিদ।

সদর থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) খাইরুজ্জামান জানান, আমি হাসপাতালে গিয়ে রোগীকে দেখে এসেছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামিদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে কাজ করছে পুলিশ। ভিকটিমের পরিবারকে মামলা করতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

এদিকে, আহত মালেকের বড় ভাই আব্দুস সালাম জানান, মসজিদে নামাজরত অবস্থায় হামলার পর পরিবার নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি আমরা।