ঢাকা ০৯:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫, ৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo বটিয়াঘাটা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে দুর্নীতি ও অনিয়মে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ Logo বামনায় রাতের অন্ধকারে লোহার পুল চুরি! কর্তৃপক্ষের নীরব ভূমিকা Logo কথিত পীরের ধর্ম ব্যবসার পাশাপাশি পোল্ট্রি ফার্ম : ধ্বংসের মুখে পরিবেশ Logo নকল সিগমা লিফটে গ্রাহকরা প্রতারিত, বাড়ছে দুর্ঘটনা! Logo বিএডিসি’র আড়ালে দুর্নীতির কারখানা: গুদামরক্ষকের বিরুদ্ধে কোটি টাকার জালিয়াতির অভিযোগ Logo অবৈধ স্থাপনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) উদাসীন Logo রাজধানীতে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ও মার্কেট নিয়ে ফায়ার সার্ভিসের অবহেলা Logo হানিফ ফ্লাইওভার টোলের ১২০০ কোটি টাকা ওরিয়ন গ্রুপের পেটে! Logo ‘ফুল ভলিয়মে ভাইরাল গানে মগ্ন অন্তর্বর্তী জোট’ Logo স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে স্বৈরাচারের দোসর সৈয়দ হাবিবুরের দুর্নীতির ফিরিস্তি- পর্ব ১

দুদক কমিশনার সেজে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ফোন করে ধরা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৪৪:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৬৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

চাকরির তদবিরের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কমিশনার সেজে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে ফোন করে ধরা পড়েছে এক প্রতারক। তার নাম মাহমুদুল হাসান সুমন। তাকে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারের পর বুধবার দুপুরে ডিবির কর্মকর্তারা ওই প্রতারককে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দফতরে নিয়ে আসেন।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফ মাহমুদ অপু জাগো নিউজকে বলেন, গতকাল একজন দুদক কমিশনার মোজাম্মেল হক খান পরিচয় দিয়ে মন্ত্রী মহোদয়কে (স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী) ফোন করেন। তিনি (কমিশনার পরিচয় দেয়া ব্যক্তি) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেনকে ফোন করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একজনকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের বিষয়ে তদবির করার অনুরোধ জানান।

তিনি বলেন, ‘কিন্তু মোজাম্মেল হক খান একসময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তার কণ্ঠ মন্ত্রী মহোদয়ের চেনা। ওই ব্যক্তির কণ্ঠ মোজাম্মেল হক স্যারের মতো মনে হয়নি মন্ত্রী মহোদয়ের।’

‘মন্ত্রী মহোদয় জননিরাপত্তা বিভাগের সচিবসহ অন্যদের বিষয়টি জানান। সচিব স্যারও কৌশলে ওই ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হন যে সে দুদকের কমিশনার নন। পরে মোবাইল নম্বরটি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দিলে তারা ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে।’

দুপুরের দিকে ওই প্রতারককে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দফতরে আনা হয় জানিয়ে জনসংযোগ কর্মকর্তা বলেন, ‘মো. মাহমুদুল হাসান সুমন নামে তার কাছ থেকে একটি পরিচয়পত্র উদ্ধার করা হয়। তার বাড়ি লক্ষ্মীপুর সদরে বলে জানিয়েছে।’

এছাড়া তার কাছ থেকে একটি পরিচয়পত্র উদ্ধার করা হয়েছে। সেখানে তাকে যুক্তরাষ্ট্রের ‘রিগ্যান ইনভেস্টিগেশনস’ নামে একটি সংস্থার বাংলাদেশের প্রধান ইনভেস্টিগেটর হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। একই সঙ্গে তিনি প্রাইভেট ইনভেস্টিগেটর বলে পরিচয়পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।

বিষয়টি দুদক কমিশনার মোজাম্মেল হক খানকেও জানানো হয়। মোজাম্মেল হক খানকে দেখানোর জন্য বিকেল ৪টার দিকে ওই ব্যক্তিকে সচিবালয় থেকে দুদকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

দুদক কমিশনার সেজে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ফোন করে ধরা

আপডেট সময় : ০৯:৪৪:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক

চাকরির তদবিরের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কমিশনার সেজে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে ফোন করে ধরা পড়েছে এক প্রতারক। তার নাম মাহমুদুল হাসান সুমন। তাকে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারের পর বুধবার দুপুরে ডিবির কর্মকর্তারা ওই প্রতারককে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দফতরে নিয়ে আসেন।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফ মাহমুদ অপু জাগো নিউজকে বলেন, গতকাল একজন দুদক কমিশনার মোজাম্মেল হক খান পরিচয় দিয়ে মন্ত্রী মহোদয়কে (স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী) ফোন করেন। তিনি (কমিশনার পরিচয় দেয়া ব্যক্তি) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেনকে ফোন করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একজনকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের বিষয়ে তদবির করার অনুরোধ জানান।

তিনি বলেন, ‘কিন্তু মোজাম্মেল হক খান একসময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তার কণ্ঠ মন্ত্রী মহোদয়ের চেনা। ওই ব্যক্তির কণ্ঠ মোজাম্মেল হক স্যারের মতো মনে হয়নি মন্ত্রী মহোদয়ের।’

‘মন্ত্রী মহোদয় জননিরাপত্তা বিভাগের সচিবসহ অন্যদের বিষয়টি জানান। সচিব স্যারও কৌশলে ওই ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হন যে সে দুদকের কমিশনার নন। পরে মোবাইল নম্বরটি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দিলে তারা ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে।’

দুপুরের দিকে ওই প্রতারককে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দফতরে আনা হয় জানিয়ে জনসংযোগ কর্মকর্তা বলেন, ‘মো. মাহমুদুল হাসান সুমন নামে তার কাছ থেকে একটি পরিচয়পত্র উদ্ধার করা হয়। তার বাড়ি লক্ষ্মীপুর সদরে বলে জানিয়েছে।’

এছাড়া তার কাছ থেকে একটি পরিচয়পত্র উদ্ধার করা হয়েছে। সেখানে তাকে যুক্তরাষ্ট্রের ‘রিগ্যান ইনভেস্টিগেশনস’ নামে একটি সংস্থার বাংলাদেশের প্রধান ইনভেস্টিগেটর হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। একই সঙ্গে তিনি প্রাইভেট ইনভেস্টিগেটর বলে পরিচয়পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।

বিষয়টি দুদক কমিশনার মোজাম্মেল হক খানকেও জানানো হয়। মোজাম্মেল হক খানকে দেখানোর জন্য বিকেল ৪টার দিকে ওই ব্যক্তিকে সচিবালয় থেকে দুদকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।