বরিশাল প্রতিনিধিঃ
ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট বরিশাল এর মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আলমগীর এর অর্থায়ন ও তত্বাবধানে তৈরি করে চলা অবৈধ ড্রেজার নিয়ে এলকায় ও সর্বস্তরে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। জানা যায় গত ৬ সেপ্টেম্বর একটি সংবাদের ভিত্তিতে বরিশাল ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এর মোহাম্মদপুর এর ফার্মের কাছে গেলে স্থানীয় লোকজন ও সাংবাদিকরা দেখেন একটি আত্মঘাতী ড্রেজার ওই ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এর প্রাচীর ঘেষেই অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে এবং একই ইনস্টিটিউট এর বিশাল ফাঁকা জমি ভরাট কাজ করছে। কর্তব্যরত গার্ড জানান বড় স্যার এর নির্দেশে বালু ভরাট চলছে। সত্যতা যাচাইয়ে ড্রেজারটির পরিচালনা করা কর্মচারীকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, ওই ইনস্টিটিউট এর মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড.আলমগীর এর প্রায় এক লক্ষ টাকা ব্যায়ে অবৈধ ড্রেজারটি তৈরি করেছেন এবং তার নির্দেশেই এখানে বালু ভরাট চলছে বলেও দাবী করেন। এসময় ইনস্টিটিউট এর কেয়ার টেকার খলিল ও স্থানীয় লৌহ শ্রমিক নেতা নুরুও উপস্থিত ছিলেন। কেয়ারটেকার খলিল সাংবাদিকদের বলেন " এটা একটি প্রজেক্টেরকাজ। এটা আলমগীর স্যার এর তত্বাবধানে আছে। আপনারা তার সাথে কথা বলেন৷
এ বিষয়ে অবৈধ ড্রেজার পরিচালক নাগর জানান " ড্রেজারের ১ লক্ষাধিক টাকাই স্যারের( ড. আলমগীর) এর । তিনিই বলেছেন বালু ভরাট করতে। আমি শুধু বেতনে কাজ করি পাঁচ জন শ্রমিকসহ অবৈধভাবে ড্রেজার তৈরি ও পরিচালনা সমন্ধে ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট বরিশাল এর মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, আমি এটা করতে বলিনি ওই শ্রমিক নিজেই এটা করেছে সে ভয়ে আমার নাম বলেছে । টাকা আমিও দেইনি ড্রেজার তৈরিতে তবে সরকারি জমি ভরাট করতেই ওটা চালাতো নাগর। আর ড্রেজার সমন্ধে আমার ধারনাও কম। এতে কি এমন ক্ষতি হয়, তা আমার জানা নেই এবং এটা নিয়ে লেখার দরকার নেই। আমি কাল থেকে ড্রেজার চালাবো না।
অথচ, অবৈধভাবে ড্রেজার পরিচালনা ও বালু ভরাটের কারন সমন্ধে কিছুই বলেননি ড. আলমগীর ।
এবং তাকে এই অবৈধ মেশিনে বালু উত্তলন করার বিষয়ে আইনানুগ ব্যাবস্থা নিতে বললেও কোন ধরনের ব্যাবস্থা না নিয়েই অবৈধ ড্রেজারটি নিজ্ব হেফাজতে রাখেন৷ এবং উক্ত কাজে ব্যাবহৃত শ্রমিকদেরও কোন ব্যাবস্থা নেন নি তিনি যাতে স্পষ্ট হয় সে নিজেই এই অবৈধ ড্রেজার তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছেন।
স্থানীয়দের লোকজন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, কোন কারনে স্বার্থে এক লাখ টাকা খরচ করে ওই অবৈধ ড্রেজার তৈরি করেছেন অবশ্যই কোনো মতলব আছে। বালু উত্তলন বাবদ সরকারের দপ্তরে কত টাকা বিল চেয়েছিলেন তা খতিয়ে দেখা দরকার। স্থানীয় অনেকেই আশংকা করেন বড় অঙ্কের প্রজেক্ট ও বিলের বিষয় রয়েছে এখানে। আর তাই এই নিজস্ব পদ্ধতিতে তৈরি অবৈধ ড্রেজার পরিচালনা করে কাজের অর্থ বৈজ্ঞানিক নিজেই হজম করার পায়তারা করেছেন।
বরিশালে ড্রেজারের মাধ্যমে বালু উত্তলনকারীদের ইতিমধ্যেই মেয়র ও মন্ত্রী হুশিয়ারি দিয়েছেন অথচ সরকারি কাজেই সরকারি কর্মকর্তা অবৈধ ড্রেজার তৈরি করে এতদিন বালু উত্তলন করে আসছিলেন।