২০২০ সাল পর্যন্ত কানেক্ট বাংলাদেশের “বাংলাদেশ চ্যাপ্টার স্থগিত ঘোষনা
- আপডেট সময় : ১০:০৩:১৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ অগাস্ট ২০১৯ ১৭৪ বার পড়া হয়েছে
তুহিন মাহামুদ ইতালি থেকে:
কানেক্ট বাংলাদেশ।যৌথ নেতৃত্বে পরিচালিত পরিকল্পনা পরিষদ এই আন্তর্জাতিক সংগঠনের সর্ব্বোচ্চ নীতি নির্ধারক পরিষদ। গত রবিবার ২৫’শে আগষ্ট কানেক্ট বাংলাদেশের পরিকল্পনা পরিষদের এক সভা জনাব সিকদার গিয়াস উদ্দিন(আমেরিকা)য়ের সভাপতিত্বে এবং জনাব সাদী রহমতুল্লাহ (ফ্রান্স)
রমু’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত সভায় উপস্থিত ছিলেন যথাক্রমে মিসেস আঁখি সীমা কাউসার(ইতালী) সর্বজনাব মোঃ নুরুল আমিন(ইংল্যান্ড)মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া(কানাডা),মনসুর চৌধুরী(ফ্রান্স),জাফর আজাদী(ফ্রান্স),হারুনুর রশিদ(জার্মানী),আবু তাহের গিয়াসুদ্দিন আহমেদ খিজির(ইংল্যান্ড),শাহ আলম(ইতালী),কাজী আসাদুজ্জামান(সুইজারল্যান্ড),ও ডা: গিয়াস উদ্দিন আহমেদ(ইংল্যান্ড্)।
সভার এজেন্ডাসমূহ নিয়ে ব্যাপক আলোচনার পর সর্বসম্মতিতে নিম্নলিখিত সিদ্ধান্তসমূহ গৃহীত হয়:
পরিকল্পনা পরিষদ ও কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির সিদ্ধান্ত ব্যতিরেকে মিসেস লুৎফা হাসিন রোজী(আমেরিকা)ও জনাব এডভোকেট আব্দুন নূর দুলাল(বাংলাদেশ)ঢাকায় আগামী ২৭ ও ২৮ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে “কেন্দ্রীয় বিশেষ সম্মেলন ” আহ্বান করেছেন।জনাব আব্দুন নুর দুলাল ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রায় প্রতিদিন এককভাবে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন এবং তা বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে পরিকল্পনা পরিষদের সিদ্ধান্ত বলে প্রচার করছেন। মিসেস লুৎফা হাসীন রোজী পরিকল্পনা পরিষদের বিনা অনুমতিতে কানেক্ট বাংলাদেশ-এর লোগো, ২০১৮ সম্মেলনের স্মরনিকার প্রচ্ছদ ব্যবহার করে পোস্টার ও প্রচারপত্র তৈরী করেছেন এবং বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে দিচ্ছেন। যা সংগঠন বিরোধী কার্য কলাপ বলে বিবেচিত হয়। অন্যদিকে, জনাব মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ(কুয়েত)কানেক্ট বাংলাদেশ-এর ফেইসবুক-এর অন্য পাঁচজন Administrator-কে অপসারিত করেন এবং নিজে এককভাবে কর্তৃত্ব গ্রহন করেন- তিনি তা’একক ভাবে করতে পারেন না, তা সংগঠনের শৃঙ্খলা বিরোধী তৎপরতা। তিনি ব্যক্তিগতভাবে এবং তাঁর পছন্দের কয়েকজনের লেখাসহ অননুমোদিত ঢাকা সম্মেলনের বিভিন্ন ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তকে পরিকল্পনা পরিষদের নামে অবৈধভাবে কানেক্ট বাংলাদেশের নিজস্ব পেইজে পোস্ট করছেন, যা একিবারেই সংগঠন নিয়ম নীতিমালা বহির্ভূত কাজ বলে মনে করে পরিকল্পনা পরিষদ। এছাড়া তাঁরা সংগঠিতভাবে কানেক্ট বাংলাদেশকে দ্বিধা বিভক্ত করার ষড়যন্ত্র শুরু করে বিগত জুলাই মাস থেকে। কানেক্ট বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও সমন্বয়ক বৃন্দ এবং সদস্যদের প্রমান স্বরুপ ইতিমধ্যেই অবগত হয়ছেন যে, গত ২ আগস্ট ২০১৯ তারিখে তাঁরা CB Central Coordinating Committee নামে ফেইসবুক ম্যাসেন্জার গ্রুপ তৈরী করে নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী সদস্যদের নাম সেই কমিটিতে যুক্ত করার মাধ্যমে প্রভাবিত করে বিভক্তির সূচনা করে।
এছাড়াও বর্তমানে তাঁরা CB পরিকল্পনা পরিষদ ও CB Central Coordinating Committee নামে আরও দুটি গ্রুপ তৈরী করেছেন পরিকল্পনা পরিষদের অনুমোদন ছাড়াইযা, সংগঠন বিরোধী
কর্মকান্ড অসাংবিধানিক ও অগণতান্ত্রিক। গঠনতন্ত্রে তাদের এইসকল কার্যক্রম সংবিধানের ৪ ধারার ৪ উপধারা মোতাবেক সংগঠনের শৃঙ্খলা পরিপন্থী। তাই, গঠনতন্ত্রের ৫.৩.২, ৬.২.৫, ৬.২.১১ এবং ৬.২.১২ (৫.২.১২ লেখাটি ছাপার ভুল) উপধারা অনুযায়ী তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহন করার জন্য সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত গ্রহন করে উক্ত সভা
পরিকল্পনা পরিষদ আরও জানান গঠনতন্ত্র অনুযায়ী প্রত্যেক সদস্যকে আত্মপক্ষ সমর্থন করার সুযোগ প্রদান করার সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। গঠনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় পরিকল্পনা পরিষদ কর্তৃক চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার প্রয়োজনে তাঁদের প্রত্যেককে সংগঠনের স্বার্থবিরোধী বিভিন্ন কর্মকান্ড সংঘটন করার যথাযথ কারণ আগামী সাত দিনের মধ্যে জানানোর জন্য এবং এ সকল কারণে তাঁদের তিনজনকে পরিকল্পনা পরিষদ, কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটি ও সকল স্তরের সদস্য পদ থেকে কেন অব্যাহতি দেয়া হবে না, তা ব্যাখ্যা করার জন্য আহ্বান জানানোর সিদ্ধান্ত হয়। মেইল কিংবা ফেইস বুক মাধ্যম ব্যাবহার করে তাঁদেরকে সিদ্ধান্তটি জানানোর প্রস্তাব গৃহীত হয়। যদি এ বিষয়ে তাঁরা প্রত্যুত্তর না দেন কিংবা তাঁদের কর্মকান্ডের সন্তোষজনক ব্যাখ্যা না দিতে পারেন, তাহলে পরবর্তি সভায়, প্রাপ্ত প্রমানাদি প্রয়োগে পরিকল্পনা পরিষদে এ বিষয়ে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হবে।
কানেক্ট বাংলাদেশের নেতৃবৃন্দ পরিকল্পনা পরিষদের এবং কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির সিদ্ধান্তবিহীন কেন্দ্রীয় বিশেষ সম্মেলন আহ্বান করার মাধ্যমে সংগঠনের বাংলাদেশ শাখা তাঁর আওতা বহির্ভুত সিদ্ধান্ত গ্রহন এবং সংগঠনে বিশৃংখলা সৃস্টি করার মাধ্যমে সংগঠনের সকল কার্যক্রমকে বাঁধাগ্রস্থ করেছেন।এ ধরণের কার্যক্রম গঠনতন্ত্রের পরিপন্থী বিধায়, গঠনতন্ত্রের ৫.৩.২, ৬.২.১১, ৬.২.১২(৫.২.১২ ছাপার ভুল) উপধারা অনুযায়ী সর্বসম্মতিক্রম্মে বাংলাদেশ শাখার বিগত সকল কার্যক্রমকে অবৈধ ঘোষণা করা হয় এবং “কানেক্ট বাংলাদেশ”- এর বাংলাদেশ শাখার পরবর্তী সকল কার্যক্রমকে আগামী “সম্মেলন ২০২০” পর্যন্ত স্থগিত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। নতুন সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত এ শাখার সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। পরিশেষে কানেক্ট বাংলাদেশে আগামী অক্টোবর ২০১৯ এর শেষ দিকে দুইদিন ব্যাপি একটি সাংগঠনিক সভা করার সিদ্ধান্ত সর্বসম্মতিতে গ্রহন করা হয় এবং পাঁচজন পরিকল্পনা পরিষদের সদস্য ও একজন কেন্দ্রীয় সমন্বয়ককে নিয়ে সভার প্রস্তুতি কমিটি গঠন করা হয়। তাঁরা সভার স্থান ও তারিখ নির্ধারণ করা সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় কার্যক্রম পরিকল্পনা পরিষদের অনুমতিক্রমে গ্রহন করবেন। এ কমিটির সদস্যরা হলেন: পরিকল্পনা পরিষদের সদস্য/ সদস্যা : মিসেস আঁখি সীমা কাউসার, সর্বজনাব মোঃ নুরুল আমিন, মনসুর চৌধুরী, জাফর আজাদী, কাজী আসাদুজ্জামান এবং জনাব আফসার হোসেন নীলু(স্পেন)- সমন্বয়ক কেন্দ্রীয় কমিটি।
পরিশেষে, সকল সিদ্ধান্ত পূনরায় সবাইকে অবগত করার পর পরবর্তী সভায় সবাইকে অংশগ্রহন করার অনুরোধ জানিয়ে সভাপতি সভার সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।