ঢাকা ০৪:১৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ




তিন তালাক দেয়ায় থানায় অভিযোগ, স্ত্রীকে পুড়িয়ে হত্যা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:৫২:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ অগাস্ট ২০১৯ ১০৩ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
তিন তালাক দেওয়ায় স্বামীর বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ করতে গিয়েছিলেন এক নারী। সে কারণে ৫ বছরের শিশু কন্যার সামনেই ওই নারীকে পুড়িয়ে মারল তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন। ভারতের উত্তরপ্রদেশের শ্রাবস্তীর গদ্রা গ্রামে এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

হত্যাকাণ্ডের শিকার ওই নারীর বাবা রমজান খানের অভিযোগ, ৬ আগস্ট টেলিফোনে তার মেয়ে সায়িদাকে তিন তালাক দেয় তার স্বামী নাফিস (২৬)। সে মুম্বাইয়ে কাজ করত। রমজান জানান, সাইদা পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করতে গিয়েছিল। কিন্তু পুলিশ তার অভিযোগ নেয়নি।

পুলিশ সায়িদাকে বলেছিল যে, তার স্বামী মুম্বাই থেকে ফেরা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে। ১৫ আগস্ট নাফিস মুম্বাই থেকে ফিরলে পুলিশ ওই দম্পতিকে ডেকে পাঠায়। তাদের সঙ্গে কথা বলার পর সায়িদাকে তার স্বামীর সঙ্গে থাকতে বলে পুলিশ।

সায়িদার ছোট্ট মেয়ে ফাতিমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করায় সে পুলিশকে জানিয়েছে, শুক্রবার তার বাবা নমাজ পড়ে এসে মাকে ঘর থেকে বেরিয়ে যেতে বলে। এরপরেই ওই নারীর শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে মারধর করতে শুরু করেন। তার স্বামী তাকে মারধর করে গায়ে কেরোসিন ঢেলে দেন। এরপর তার গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়।

পুলিশ সায়িদার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। সায়িদার ভাই রফিক জানিয়েছেন, পুলিশ এখনও কাউকে গ্রেফতার করেনি। নাফিস ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে খুন, যৌতুকের দাবিতে হেনস্থার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




তিন তালাক দেয়ায় থানায় অভিযোগ, স্ত্রীকে পুড়িয়ে হত্যা

আপডেট সময় : ০৫:৫২:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ অগাস্ট ২০১৯

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
তিন তালাক দেওয়ায় স্বামীর বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ করতে গিয়েছিলেন এক নারী। সে কারণে ৫ বছরের শিশু কন্যার সামনেই ওই নারীকে পুড়িয়ে মারল তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন। ভারতের উত্তরপ্রদেশের শ্রাবস্তীর গদ্রা গ্রামে এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

হত্যাকাণ্ডের শিকার ওই নারীর বাবা রমজান খানের অভিযোগ, ৬ আগস্ট টেলিফোনে তার মেয়ে সায়িদাকে তিন তালাক দেয় তার স্বামী নাফিস (২৬)। সে মুম্বাইয়ে কাজ করত। রমজান জানান, সাইদা পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করতে গিয়েছিল। কিন্তু পুলিশ তার অভিযোগ নেয়নি।

পুলিশ সায়িদাকে বলেছিল যে, তার স্বামী মুম্বাই থেকে ফেরা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে। ১৫ আগস্ট নাফিস মুম্বাই থেকে ফিরলে পুলিশ ওই দম্পতিকে ডেকে পাঠায়। তাদের সঙ্গে কথা বলার পর সায়িদাকে তার স্বামীর সঙ্গে থাকতে বলে পুলিশ।

সায়িদার ছোট্ট মেয়ে ফাতিমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করায় সে পুলিশকে জানিয়েছে, শুক্রবার তার বাবা নমাজ পড়ে এসে মাকে ঘর থেকে বেরিয়ে যেতে বলে। এরপরেই ওই নারীর শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে মারধর করতে শুরু করেন। তার স্বামী তাকে মারধর করে গায়ে কেরোসিন ঢেলে দেন। এরপর তার গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়।

পুলিশ সায়িদার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। সায়িদার ভাই রফিক জানিয়েছেন, পুলিশ এখনও কাউকে গ্রেফতার করেনি। নাফিস ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে খুন, যৌতুকের দাবিতে হেনস্থার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।