নিজস্ব প্রতিবেদক;
রাজধানীর মিরপুরের পল্লবী এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে মশার ওষুধ ছিটানো হয় না। এ কারণে ওই এলাকার লোকজন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন। কয়েকজন মারাও গেছেন। বার বার বলার পরও ওষুধ না ছিটানো এবং মশার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে পল্লবী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন ইউসুফ আহমেদ নামে পল্লবীর এক বাসিন্দা।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) রাতে পল্লবী থানায় করা জিডি নম্বর ২৭৬৬। জিডিতে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাজ্জাদ হোসেনের বিরুদ্ধে মশা ওষুধ না ছিটানোর অভিযোগ আনা হয়েছে।
ইউসুফ আহমেদ বলেন, গত কয়েক মাসে একদিনের জন্যও আমাদের পল্লবী এলাকার এভিনিউ-১-এ মশা মারার ওষুধ ছিটানো হয়নি। আমি নিয়মিত বাড়ির হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধ করে আসছি। সিটি কর্পোরেশনের সব সুবিধার প্রাপ্য আমি। তারপরও কাউন্সিলর ৩ বছর আগে নির্বাচিত হওয়ার পর আমাদের এলাকায় একবারের মতো মশার ওষুধ ছেটাননি। বার বার ফোন করলেও তিনি কোনো ব্যবস্থা নেননি।
গণমাধ্যমকে কাছে ইউসুফ আহমেদ আরও বলেন, বর্তমানে এডিস মশার প্রকোপে আমরা আতঙ্কিত। এলাকায় অনেকেই জ্বরে আক্রান্ত। আমিও ডেঙ্গুসহ যেকোনো রোগে আক্রান্ত হতে পারি, তাই বিষয়টি থানায় নথিভুক্ত করে রাখলাম।
এ বিষয়ে ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাজ্জাদ হোসেন বলেন, গতকাল (মঙ্গলবার) ওই ভদ্রলোক আমাকে ফোন করেছিলেন, আমি তাকে কথা দিয়েছি আজ (বুধবার) তার এলাকায় ওষুধ দেব।
‘গত ৩ বছর ধরে পল্লবীর বি-ব্লকে একদিনও মশার ওষুধ দেওয়া হয়নি’ জিডিতে উল্লেখ করা এ অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কাউন্সিলর বলেন, ‘আমি ওষুধ দিয়েছি, যদিও প্রমাণস্বরূপ আমার কাছে কোনো ছবি নেই। কিন্তু এলাকাবাসী জানে যে, আমি ওষুধ ছিটিয়েছি। সিটি কর্পোরেশন থেকে ওষুধ পাওয়ার পর আমরা ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে ওষুধ ছিটাই। এবার ওষুধ পেয়ে ৭ দিনের মধ্যেই ছিটানো হয়েছে।’
ইউসুফ আহমেদের জিডিটি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পল্লবী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আসাদুজজামানকে। জিডির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘জিডির বিষয়ে আমি শুনেছি। কাগজ এখনো হাতে পাইনি। কাগজ হাতে পেলে তদন্ত করে দেখব।’