ঢাকা ০৪:০২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ৩০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo বিএনপি নেতা মাহিদুর রহমান নেতৃত্বের বিস্ময় Logo স্বৈরাচারের দোসর প্রধান বিচারপতির ধর্ম ছেলে পরিচয়ে মোজাম্মেলের অধর্ম! Logo রাজধানীতে মার্কেট দখল করতে গিয়ে বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর আটক Logo স্কুলের ভেতরে নিয়মিত চলে তাশ ও জুয়া! Logo চাঁদা চাওয়ায় দাকোপে ৫ আওয়ামীলীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা Logo ভোলা জেলা ছাত্র কল্যাণ পরিষদের সভাপতি আল আমিন সম্পাদক শামসউদ্দিন Logo বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির এর উদ্যোগে দুমকিতে ক্যারিয়ার সামিট অনুষ্ঠিত Logo সওজ তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে প্রচারিত প্রকাশিত মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদ Logo বিপ্লবী গান, আবৃত্তি এবং কাওয়ালী গানে মেতেছে আশা বিশ্ববিদ্যালয় Logo ছত্রিশ টাকার নকলনবীশ প্রভাবশালী কোটিপতি!




৩০০ আসনেই হামলা হয়েছে : রিজভী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:৪১:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৩৫ বার পড়া হয়েছে

 

 

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সারাদেশে ধানের শীষের দেড়শ প্রার্থীর ওপর আওয়ামী লীগ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হামলার হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।

তিনি বলেন, ‘দুজন প্রার্থীকে কারাগারে আটক রাখা হয়েছে। আইনি জটিলতা সৃষ্টি করে বেগম খালেদা জিয়াসহ বেশ কয়েকজনের প্রার্থী হওয়া অনিশ্চিত করে রাখা হয়েছে।’

শনিবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

রিজভী বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক প্রার্থীদের ওপর গুলিবর্ষণ করা হয়েছে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামালসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নেতৃবৃন্দের ওপর হামলা হয়েছে। হামলার পর গতকাল বর্ষিয়ান জননেতা ড. কামাল হোসেনের নামে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই মামলা দায়েরের মাধ্যমে সরকার যে বার্তাটি দিল তা নিম্নরুচির।’

তিনি বলেন, ‘সরকারের কাছে আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসররা ছাড়া আর কারও কানাকড়ি মূল্য নেই। ড. কামাল হোসেন সাহেবের যদি খামোশ বলা অন্যায় হয়ে থাকে তবে আমি প্রধানমন্ত্রীকে বলতে চাই- এইচ টি ইমাম যখন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সাংবাদিকদের ধমকিয়ে বলেন- তুমি কি বিএনপি যে বিএনপিরর মতো প্রশ্ন করো? তুমি কি মওদুদ? কই আপনি তো এ বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাননি।’

রিজভী বলেন, ‘তফসিল ঘোষণার পর পুলিশের কর্মকাণ্ডের জন্য দায়ী নির্বাচন কমিশন। ক্ষমতাসীন দল ও নির্বাচন কমিশন একই ঝাঁকের কৈ। কিন্তু প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্য ও কার্যকলাপ পুলিশের ভয়ঙ্কর দমনের প্রবণতাকে আরও উসকে দিচ্ছে। দেশব্যাপী জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী ও নেতাকর্মীদের ঘুম কেড়ে নেয়া হয়েছে পুলিশের চিরুনি তল্লাশিতে।’

তিনি বলেন, ‘জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনেই বিএনপি প্রার্থীর সমর্থক ও নেতাকর্মীদের ওপর হামলা হয়েছে। পুলিশের উপস্থিতিতেই এই হামলাগুলো সংঘটিত হয়। সকল আসনেই বিএনপি প্রার্থীর পোস্টার লাগাতে বাধা দেয়া হয়েছে, পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। প্রচারণার মাইক ভাঙচুর করা হয়েছে, ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে। ৩০০ আসনেই গণগ্রেফতার চলছে। এই সমস্ত হামলা, আক্রমণ, গ্রেফতার সিইসির ইঙ্গিতে অথবা প্রশ্রয়ে হয়েছে, এসবের জন্য তার দায় এড়ানোর কোনো সুযোগ নেই।’

রিজভী আরও বলেন, ‘ইতোমধ্যে এসব অনাচারের বিরুদ্ধে আওয়াজ উঠতে শুরু করেছে। সহিংসতার বিরুদ্ধে জনগণের প্রতিরোধ সংগঠিত হচ্ছে। যেখানেই গ্রেফতার ও হামলা সেখানেই প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘সরকারের জুলুম-অবরোধের কাছে জনগণ আত্মসমর্পণ করবে না। আগামী ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন সকল শৃঙ্খল ভেঙে জনগণ ভোট দিতে এগিয়ে যাবে। পরাজিত হবে অগণতান্ত্রিক শক্তি। ধ্বংস হবে একদলীয় দুঃশাসনের কারাগার।’

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




৩০০ আসনেই হামলা হয়েছে : রিজভী

আপডেট সময় : ০১:৪১:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮

 

 

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সারাদেশে ধানের শীষের দেড়শ প্রার্থীর ওপর আওয়ামী লীগ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হামলার হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।

তিনি বলেন, ‘দুজন প্রার্থীকে কারাগারে আটক রাখা হয়েছে। আইনি জটিলতা সৃষ্টি করে বেগম খালেদা জিয়াসহ বেশ কয়েকজনের প্রার্থী হওয়া অনিশ্চিত করে রাখা হয়েছে।’

শনিবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

রিজভী বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক প্রার্থীদের ওপর গুলিবর্ষণ করা হয়েছে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামালসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নেতৃবৃন্দের ওপর হামলা হয়েছে। হামলার পর গতকাল বর্ষিয়ান জননেতা ড. কামাল হোসেনের নামে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই মামলা দায়েরের মাধ্যমে সরকার যে বার্তাটি দিল তা নিম্নরুচির।’

তিনি বলেন, ‘সরকারের কাছে আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসররা ছাড়া আর কারও কানাকড়ি মূল্য নেই। ড. কামাল হোসেন সাহেবের যদি খামোশ বলা অন্যায় হয়ে থাকে তবে আমি প্রধানমন্ত্রীকে বলতে চাই- এইচ টি ইমাম যখন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সাংবাদিকদের ধমকিয়ে বলেন- তুমি কি বিএনপি যে বিএনপিরর মতো প্রশ্ন করো? তুমি কি মওদুদ? কই আপনি তো এ বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাননি।’

রিজভী বলেন, ‘তফসিল ঘোষণার পর পুলিশের কর্মকাণ্ডের জন্য দায়ী নির্বাচন কমিশন। ক্ষমতাসীন দল ও নির্বাচন কমিশন একই ঝাঁকের কৈ। কিন্তু প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্য ও কার্যকলাপ পুলিশের ভয়ঙ্কর দমনের প্রবণতাকে আরও উসকে দিচ্ছে। দেশব্যাপী জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী ও নেতাকর্মীদের ঘুম কেড়ে নেয়া হয়েছে পুলিশের চিরুনি তল্লাশিতে।’

তিনি বলেন, ‘জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনেই বিএনপি প্রার্থীর সমর্থক ও নেতাকর্মীদের ওপর হামলা হয়েছে। পুলিশের উপস্থিতিতেই এই হামলাগুলো সংঘটিত হয়। সকল আসনেই বিএনপি প্রার্থীর পোস্টার লাগাতে বাধা দেয়া হয়েছে, পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। প্রচারণার মাইক ভাঙচুর করা হয়েছে, ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে। ৩০০ আসনেই গণগ্রেফতার চলছে। এই সমস্ত হামলা, আক্রমণ, গ্রেফতার সিইসির ইঙ্গিতে অথবা প্রশ্রয়ে হয়েছে, এসবের জন্য তার দায় এড়ানোর কোনো সুযোগ নেই।’

রিজভী আরও বলেন, ‘ইতোমধ্যে এসব অনাচারের বিরুদ্ধে আওয়াজ উঠতে শুরু করেছে। সহিংসতার বিরুদ্ধে জনগণের প্রতিরোধ সংগঠিত হচ্ছে। যেখানেই গ্রেফতার ও হামলা সেখানেই প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘সরকারের জুলুম-অবরোধের কাছে জনগণ আত্মসমর্পণ করবে না। আগামী ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন সকল শৃঙ্খল ভেঙে জনগণ ভোট দিতে এগিয়ে যাবে। পরাজিত হবে অগণতান্ত্রিক শক্তি। ধ্বংস হবে একদলীয় দুঃশাসনের কারাগার।’