ঢাকা ০১:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ২৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo রূপালী ব্যাংকের এমডি ছিলেন বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের প্রভাবশালী নেতা! Logo “আওয়ামী সুবিধাভোগী ৪ কারা কর্মকর্তার কাছে জিম্মি কারা অধিদপ্তর!” Logo পাইকগাছা-কয়রার মানুষের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে মাঠে আমিরুল ইসলাম কাগজী Logo এয়ারপোর্ট এলাকার আওয়ামীলীগ নেতা সালাউদ্দিন পিয়ারী ইয়াসিন ধরাছোঁয়ার বাইরে! Logo পিরোজপুর-২ আসনে জনগণের জন্য কাজ করতে চান ফকরুল আলম: নির্বাচনের প্রস্তুতি তুঙ্গে Logo পাওনা টাকা চাওয়ায় সাংবাদিকের উপর হামলা: নেপথ্যে কসাই পারভেজ ধরাছোঁয়ার বাইরে Logo ৩৬ জুলাই: যেভাবে প্রতীকী ক্যালেন্ডার হয়ে উঠল জাতীয় প্রতিরোধের হাতিয়ার Logo বাকেরগঞ্জ উপজেলা যুবদলের নেতার উপর সন্ত্রাসী হামলা Logo গণপূর্ত প্রকৌশলী জহির রায়হানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের অভিযান Logo “শতকোটি টাকার দুর্নীতির সাম্রাজ্য: তাপসের ঘনিষ্ট ডিএসসিসির শাহজাহান আলীর ফাঁদে ঢাকা দক্ষিণ সিটি”

ক্রেডিট কার্ডে লাখ লাখ ঋণের কারনে বাবা মেয়ে আত্মহত্যা!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:০৩:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০১৯ ২২৬ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক; 
বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। কিন্তু সে ঋণ পরিশোধ করার সামর্থ তার ছিল না। কিন্তু ব্যাংক থেকে চাপ আসতো প্রতিদিন। তাই দিল্লির ৩৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তি বহুতল ভবনের ছাদ থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। সঙ্গে ছিল তার মেয়ে।

ভারতীয় টেলিভিশন এনডিটিভি এক অনলাইন প্রতিবেদনে জানিয়েছে, মেয়ে সঙ্গে নিয়ে স্বামীকে ছাদ তেকে লাফ দিতে দেখে সুরেশ কুমার নামের ওই ব্যক্তির স্ত্রী মনজিৎ কৌরও লাফ দেন। তবে ঘটনাক্রমে মা-মেয়ে বেঁচে গেছেন। তারা এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

পুলিশের বরাতে এনডিটিভি বলছে, সুরেশ কুমার ওই ব্যক্তি স্ত্রী-সন্তান নিয়ে থাকতেন দিল্লির জগতপুরি নামক এলাকায়। গত সোমবার রাত ৩টার দিকে মেয়েকে নিয়ে বাড়ির ছাদে যান সুরেশ। তারপর দুহাতে মেয়েকে জড়িয়ে সেখান থেকে লাফ দেয়।

সুরেশ যখন মেয়েকে নিয়ে ছাদে যাচ্ছিল তার ৩১ বছর বয়সী স্ত্রী মনজিত কৌর তাকে অনুসরণ করে ছাদে উঠে যান। কিন্তু ছাদে ওঠার পরপরই মেয়ে সঙ্গে স্বামীকে লাফ দিতে দেখে তিনিও ছাদ থেকে লাফ দেন। তবে স্বামীর মৃত্যু হলেও মনজিত ও তার চার বছর বয়সী মেয়ে বেঁচে গেছেন।

পুলিশের কাছে দেয়া এক জবানবন্দিতে মৃত সুরেশ কুমারের স্ত্রী মনজিত কৌর বলেছেন, বিভিন্ন ব্যাংকে তার স্বামীর বেশে কিছু ক্রেডিট কার্ড ছিল। ওসব কার্ডে তার ৮ লাখ রুপি ঋণ ছিল। অর্থ পরিশোধের জন্য প্রতিদিন বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ফোন কিংবা ম্যাসেজ আসতো। কিন্তু তা পরিশোধের সামর্থ ছিল না তার স্বামীর।

পাশের বাড়ির মানুষজন মাটিতে রক্তাক্ত তিনটি দেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তিনটি অচেতন দেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকরা সুরেশকে মৃত ঘোষণা করে। মা-মেয়ের চিকিৎসা চলছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

ক্রেডিট কার্ডে লাখ লাখ ঋণের কারনে বাবা মেয়ে আত্মহত্যা!

আপডেট সময় : ০২:০৩:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০১৯

আন্তর্জাতিক ডেস্ক; 
বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। কিন্তু সে ঋণ পরিশোধ করার সামর্থ তার ছিল না। কিন্তু ব্যাংক থেকে চাপ আসতো প্রতিদিন। তাই দিল্লির ৩৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তি বহুতল ভবনের ছাদ থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। সঙ্গে ছিল তার মেয়ে।

ভারতীয় টেলিভিশন এনডিটিভি এক অনলাইন প্রতিবেদনে জানিয়েছে, মেয়ে সঙ্গে নিয়ে স্বামীকে ছাদ তেকে লাফ দিতে দেখে সুরেশ কুমার নামের ওই ব্যক্তির স্ত্রী মনজিৎ কৌরও লাফ দেন। তবে ঘটনাক্রমে মা-মেয়ে বেঁচে গেছেন। তারা এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

পুলিশের বরাতে এনডিটিভি বলছে, সুরেশ কুমার ওই ব্যক্তি স্ত্রী-সন্তান নিয়ে থাকতেন দিল্লির জগতপুরি নামক এলাকায়। গত সোমবার রাত ৩টার দিকে মেয়েকে নিয়ে বাড়ির ছাদে যান সুরেশ। তারপর দুহাতে মেয়েকে জড়িয়ে সেখান থেকে লাফ দেয়।

সুরেশ যখন মেয়েকে নিয়ে ছাদে যাচ্ছিল তার ৩১ বছর বয়সী স্ত্রী মনজিত কৌর তাকে অনুসরণ করে ছাদে উঠে যান। কিন্তু ছাদে ওঠার পরপরই মেয়ে সঙ্গে স্বামীকে লাফ দিতে দেখে তিনিও ছাদ থেকে লাফ দেন। তবে স্বামীর মৃত্যু হলেও মনজিত ও তার চার বছর বয়সী মেয়ে বেঁচে গেছেন।

পুলিশের কাছে দেয়া এক জবানবন্দিতে মৃত সুরেশ কুমারের স্ত্রী মনজিত কৌর বলেছেন, বিভিন্ন ব্যাংকে তার স্বামীর বেশে কিছু ক্রেডিট কার্ড ছিল। ওসব কার্ডে তার ৮ লাখ রুপি ঋণ ছিল। অর্থ পরিশোধের জন্য প্রতিদিন বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ফোন কিংবা ম্যাসেজ আসতো। কিন্তু তা পরিশোধের সামর্থ ছিল না তার স্বামীর।

পাশের বাড়ির মানুষজন মাটিতে রক্তাক্ত তিনটি দেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তিনটি অচেতন দেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকরা সুরেশকে মৃত ঘোষণা করে। মা-মেয়ের চিকিৎসা চলছে।