সরাইল প্রতিনিধি;
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরাইলে গত রাতে ১৮ জুয়ারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ, রাজনৈতিক তদবিরে ৩ জনকে ছেড়ে দেয়। সরাইল নাসিরনগর লাখাই আঞ্চলিক সড়কের পাশে সহকারি পুলিশ সুপারের (সরাইল সার্কেল) কার্যালয়ের সন্নিকটে একটি টিন শেড ঘর থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সহকারি পুলিশ সুপার মগবুল হোসেনের নেতৃত্বে সোমবার রাতে এই অভিযান চালানো হয়। পরে রাজনৈতিক তদবিরের মাধ্যমে ৩ জুয়ারিকে ছাড়িয়ে নেয়া হয়। এর জন্য চারদিকে সমালোচনার ঝর বইছে। পুলিশ রাজনৈতিক তদবিরের কাছে তাদের অসহাত্বের কথা স্বীকার করেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানাযায় সরাইল হাসপাতালের উল্টো দিকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সন্নিকটে একটি টিনশেড ঘরে জুয়ার আসর চলতো। ঘরটি ওয়াসিম নামের এক যুবক হোটেল ব্যাবসার কথা বলে ৩০০০টাকায় ভাড়া নেয়, যদিও এখানে দোকানের ভাড়া হওয়ার কথা ৮শত থেকে ১হাজার টাকা। ঐ যুবক হোটেল করার কথা বলে শুরু থেকেই জুয়ার আসর চালিয়ে যাচ্ছিলো। পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে ১০০গজ দূরে কিভাবে ৩-৪ বছর ধরে জুয়ার আসর চালিয়ে যাচ্ছিলো এনিয়ে জনমনে প্রশ্ন জাগছিলো। এই সড়কের আরো কয়েকটি স্থানে প্রতিদিনই জুয়ার আসর চলতো। অনেকেই বলছিলেন পুলিশকে মেনেজ করেই চলছিলো জুয়ার আসর। সোমবার রাতে সহকারি পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে অভিযানচালানো হয়, এসময় ওয়াসিম(৩৫) সহ ১৫ জনকে জুয়া খেলা অবস্থায় গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো ওয়াসিম(৩৫), কাউসার মিয়া (৪০), আল আমিন (৪০), নজিব মিয়া (২৫), ইউসুফ(৫০), ইদ্রিস খা, মাহমুদ মিরাজ আলী(২৫), রতন মিয়া (৫৫), শাহ আলম (৪৫), আল আমিন(৩০), আবদুল মতিন(৪৮), হাকিম(৩২), মনির(৩৫),হোসেন(৪০)ও সায়েদুল হক(২৫)। তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এদিকে সোমবার বিকেলে নোয়াগাও এলাকার দরগামাঠে জুয়ার আসর থেকে তিন জনকে গ্রেপ্তার করে এ এস আই আলাউদ্দীন। পরে রাজনৈতিক তদবিরের কারণে তাদেরকে ছেড়ে দিতে হয়।
এবিষয়ে সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্বেথাকা পুলিশ পরিদর্শক(তদন্ত) নুরুল হক বলেন, আমি বাহিরে আছি আর এই তিনজনকে ছাড়ার কথা না। রাজনৈতিক তদবিরের কাছে আমরা অসহায় হয়ে পড়ি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে হাসপাতাল মোড়ের অনেক ব্যবসায়ী বলেন, এখানে জুয়া চলে পুলিশ আগে থেকেই জানতো।পুলিশকে মেনেজ করেই চলছিলো জুয়ার আসর। এখানে পুলিশের এক সোর্স সবসময় আসা-যাওয়া করতে দেখা যায়। আমরা দেখেও কিছু করতে পারিনি। উচালিয়াপাড়ার ব্যবসায়ী মোঃঃ জাকারিয়া বলেন, জুয়া এখানে প্রকট আকার ধারণ করেছে।
এদিকে পুলিশ সুপার(সরাইল সার্কেল) মোঃ মকবুল হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এখানে জুয়া চলছে শুনেছি তাই অভিযান চালিয়েছি এবং ১৫ জনকে হাতে নাতে গ্রেপ্তার করেছি। জুয়া ও মাদকেরসঙ্গে কোন আপোষ নাই।