ঢাকা ০২:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার! Logo ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতি হওয়া শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামোর সংস্কার শুরু Logo বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতির দাবিতে শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের মানববন্ধন Logo কুবি উপাচার্যের বক্তব্যের প্রমাণ দিতে শিক্ষক সমিতির সাত দিনের আল্টিমেটাম




প্রিয়া সাহার বক্তব্যের তার নিজস্ব দ্বায় : রানা দাশগুপ্ত

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:১৬:১০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ জুলাই ২০১৯ ৫৬ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক; 
দেশের ৩ কোটি ৭০ লাখ হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান নিখোঁজ রয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে এমন অভিযোগ করেন বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রিয়া সাহা।

প্রিয়া সাহার এ বক্তব্যের সঙ্গে একমত কি না- জানতে চাইলে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত সকালের সংবাদকে বলেন, ‘প্রথম কথা হচ্ছে, প্রিয়া সাহার বক্তব্য তো প্রিয় সাহারই। আমাদের সংগঠন এরকম কোনো বক্তব্যের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে কাউকে তো বলে নাই যে, তুমি এভাবে বলবা। অতএব প্রিয়া সাহার মত প্রিয়া সাহারই।’

তবে তিনি বলেন, ‘প্রিয়া সাহার ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে, এ অভিযোগ সত্য। তার ঘরবাড়ি পুড়ানোর ঘটনা দুই-এক মাস আগের।’

শনিবার (২০ জুলাই) সকালে এসব কথা বলেন রানা দাশগুপ্ত। তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে ফ্রিডম অব রিলিজিয়ান নামে একটি সম্মেলন হয়। এতে আমাদের ঐক্য পরিষদের তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নেয়। সেই প্রতিনিধি দলে প্রিয়া সাহা ছিলেন না।’

তাহলে প্রিয়া সাহা কীভাবে সেখানে গেলেন? জানতে চাইলে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘প্রথম কথা হচ্ছে, ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকে উনাকে পাঠানো হয়নি। তিনি কীভাবে গেলেন, এটা মার্কিন দূতাবাস বলতে পারবে।’

গত ১৬ জুলাই ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার ২৭ ব্যক্তির সঙ্গে বৈঠক করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেখানে ১৬টি দেশের প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন। বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রিয়া সাহাও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পান। মার্কিন প্রেসিডেন্টকে প্রিয়া সাহা বলেন, ‘আমি বাংলাদেশ থেকে এসেছি। বাংলাদেশে ৩ কোটি ৭০ লাখ হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান নিখোঁজ রয়েছেন। দয়া করে আমাদের লোকজনকে সহায়তা করুন। আমরা আমাদের দেশে থাকতে চাই।’

হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের তিন সদস্যের কেউ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করেননি দাবি করে রানা দাশগুপ্ত বলেন, ‘তারা যদি ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করতেন, তাহলে তো প্রিয়া সাহার মতো আসত, ভাইরাল হতো। ভাইরাল যখন হয় নাই, তখন তারা দেখা করেন নাই।’

ট্রাম্পের কাছে এমন অভিযোগ করায় প্রিয়া সাহার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে কি না, তা পরিষ্কার করেননি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক।

সাংগঠনিক কোনো ব্যবস্থা নেবেন কি না- জানতে চাইলে রানা দাশগুপ্ত বলেন, ‘সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আমাদের তো কিছু নিয়ম আছে। প্রিয়া সাহাকে তো প্রথমে দেশে আসতে হবে। তারপরে না সাংগঠনিক ব্যবস্থা। সাংগঠনিক ব্যবস্থার আগে যে কথা আসে, তা হলো প্রথমে শোকজ করতে হয়। আমাদের নিয়ম হচ্ছে, কারও বিরুদ্ধে ততক্ষণ পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেয়া যায় না, যতক্ষণ তাকে শোকজ করা না হবে।’

তাহলে প্রিয়া সাহা দেশে আসলে শোকজ করবেন? এমন কথার জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা তো আমি আপনাকে বলিনি। এটা তো আমাদের সাংগঠনিক সিদ্ধান্তের অংশ। শোকজের সিদ্ধান্ত নিতে হলে সভা করতে হবে না? সভা করেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আর এখন তো বাজে সকাল ৯টা। তাছাড়া আমি নিজেই অসুস্থ, ঘর থেকে বের হতে পারছি না। আমার একটা অপারেশন হবে কালকে (রোববার)।’

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




প্রিয়া সাহার বক্তব্যের তার নিজস্ব দ্বায় : রানা দাশগুপ্ত

আপডেট সময় : ১১:১৬:১০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ জুলাই ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক; 
দেশের ৩ কোটি ৭০ লাখ হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান নিখোঁজ রয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে এমন অভিযোগ করেন বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রিয়া সাহা।

প্রিয়া সাহার এ বক্তব্যের সঙ্গে একমত কি না- জানতে চাইলে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত সকালের সংবাদকে বলেন, ‘প্রথম কথা হচ্ছে, প্রিয়া সাহার বক্তব্য তো প্রিয় সাহারই। আমাদের সংগঠন এরকম কোনো বক্তব্যের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে কাউকে তো বলে নাই যে, তুমি এভাবে বলবা। অতএব প্রিয়া সাহার মত প্রিয়া সাহারই।’

তবে তিনি বলেন, ‘প্রিয়া সাহার ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে, এ অভিযোগ সত্য। তার ঘরবাড়ি পুড়ানোর ঘটনা দুই-এক মাস আগের।’

শনিবার (২০ জুলাই) সকালে এসব কথা বলেন রানা দাশগুপ্ত। তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে ফ্রিডম অব রিলিজিয়ান নামে একটি সম্মেলন হয়। এতে আমাদের ঐক্য পরিষদের তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নেয়। সেই প্রতিনিধি দলে প্রিয়া সাহা ছিলেন না।’

তাহলে প্রিয়া সাহা কীভাবে সেখানে গেলেন? জানতে চাইলে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘প্রথম কথা হচ্ছে, ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকে উনাকে পাঠানো হয়নি। তিনি কীভাবে গেলেন, এটা মার্কিন দূতাবাস বলতে পারবে।’

গত ১৬ জুলাই ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার ২৭ ব্যক্তির সঙ্গে বৈঠক করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেখানে ১৬টি দেশের প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন। বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রিয়া সাহাও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পান। মার্কিন প্রেসিডেন্টকে প্রিয়া সাহা বলেন, ‘আমি বাংলাদেশ থেকে এসেছি। বাংলাদেশে ৩ কোটি ৭০ লাখ হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান নিখোঁজ রয়েছেন। দয়া করে আমাদের লোকজনকে সহায়তা করুন। আমরা আমাদের দেশে থাকতে চাই।’

হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের তিন সদস্যের কেউ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করেননি দাবি করে রানা দাশগুপ্ত বলেন, ‘তারা যদি ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করতেন, তাহলে তো প্রিয়া সাহার মতো আসত, ভাইরাল হতো। ভাইরাল যখন হয় নাই, তখন তারা দেখা করেন নাই।’

ট্রাম্পের কাছে এমন অভিযোগ করায় প্রিয়া সাহার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে কি না, তা পরিষ্কার করেননি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক।

সাংগঠনিক কোনো ব্যবস্থা নেবেন কি না- জানতে চাইলে রানা দাশগুপ্ত বলেন, ‘সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আমাদের তো কিছু নিয়ম আছে। প্রিয়া সাহাকে তো প্রথমে দেশে আসতে হবে। তারপরে না সাংগঠনিক ব্যবস্থা। সাংগঠনিক ব্যবস্থার আগে যে কথা আসে, তা হলো প্রথমে শোকজ করতে হয়। আমাদের নিয়ম হচ্ছে, কারও বিরুদ্ধে ততক্ষণ পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেয়া যায় না, যতক্ষণ তাকে শোকজ করা না হবে।’

তাহলে প্রিয়া সাহা দেশে আসলে শোকজ করবেন? এমন কথার জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা তো আমি আপনাকে বলিনি। এটা তো আমাদের সাংগঠনিক সিদ্ধান্তের অংশ। শোকজের সিদ্ধান্ত নিতে হলে সভা করতে হবে না? সভা করেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আর এখন তো বাজে সকাল ৯টা। তাছাড়া আমি নিজেই অসুস্থ, ঘর থেকে বের হতে পারছি না। আমার একটা অপারেশন হবে কালকে (রোববার)।’