ঢাকা ০৩:৪১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ৩০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo বিএনপি নেতা মাহিদুর রহমান নেতৃত্বের বিস্ময় Logo স্বৈরাচারের দোসর প্রধান বিচারপতির ধর্ম ছেলে পরিচয়ে মোজাম্মেলের অধর্ম! Logo রাজধানীতে মার্কেট দখল করতে গিয়ে বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর আটক Logo স্কুলের ভেতরে নিয়মিত চলে তাশ ও জুয়া! Logo চাঁদা চাওয়ায় দাকোপে ৫ আওয়ামীলীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা Logo ভোলা জেলা ছাত্র কল্যাণ পরিষদের সভাপতি আল আমিন সম্পাদক শামসউদ্দিন Logo বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির এর উদ্যোগে দুমকিতে ক্যারিয়ার সামিট অনুষ্ঠিত Logo সওজ তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে প্রচারিত প্রকাশিত মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদ Logo বিপ্লবী গান, আবৃত্তি এবং কাওয়ালী গানে মেতেছে আশা বিশ্ববিদ্যালয় Logo ছত্রিশ টাকার নকলনবীশ প্রভাবশালী কোটিপতি!




কেরানীগঞ্জ থানার এসআই সিদ্দিক ওসি শাহজামালের গ্রেফতার বাণিজ্য পর্ব (২)

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:৫৭:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ জুলাই ২০১৯ ১৪২ বার পড়া হয়েছে

অপরাধ প্রতিবেদক;
এসআই সিদ্দিকের সাথে তার বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা জানার প্রাক্কালে “সকালের সংবাদ”এর প্রতিবেদক এর কিছু প্রশ্ন এবং এসআই সিদ্দিকের উত্তর।

প্রতিবেদকের প্রশ্নঃ যেহেতু আপনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বললেন, তিনজন আসামিকে ছেড়ে এদিক সেদিক দিয়ে কয় টাকা আর আপনার পকেটে যায়, তাহলে টাকাগুল কোথায় কোথায় দেয়া লাগে? আপনি যে অস্ত্র এবং মার্ডার মামলা সহ একজন আসামি, মাদকের তালিকাভুক্ত একজন আসামি এবং নিরীহ মানুষ একজন মোট মোট তিন জনকে টাকার বিনিময়ে ওসির নির্দেশে ছেড়ে দিলেন, বিষয়টা কি আপনার সার্কেল স্যারকে অবগত করেছিলেন?

উত্তর ঃ হ্যা, আমি ভুল করেছি। সকাল দশটার দিকেও সার্কেল স্যারকে অন্তত জানানো উচিৎ ছিল। কিন্তু আমার ওসি হ্যাডামধারী, সরাসরি এসপি স্যারের সাথে তার কথা হয়। বোঝেন নাই? যার সাথে এসপি স্যারের সরাসরি সম্পর্ক, সেই জায়গায় সার্কেল স্যার ছাগলের তিন নাম্বার বাচ্চা। তো বুঝতেই পারছেন, সার্কেল স্যারকে জানানো প্রয়োজন মনে করি নাই।

আমাদের প্রতিবেদক তার ওসি সাহেবকে ফোন করে বুঝতে পারলেন, তিনি আসলেই হ্যাডামধারী। তিনি পরে কথা বলবেন বলে ফোন কেটে দেবার পরে, কয়েকদিন তার সাথে কথা বলার চেষ্টা করেও ব্যার্থ হলাম। দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা এলাকার জনমনে প্রশ্নঃ থানার ওসি সাহেব এতো সাহস কোথায় পান? আমরা এর ব্যাখ্যা খুঁজতে গিয়ে জানতে পারি, ওসি সাহেব ২০০৪ সালে বাংলাদেশ পুলিশ’এ এসআই পদে ভর্তি হন। চার দলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় থাকতে তিনি অনেক ভালো ভালো জায়গায় পোস্টিং নিয়ে দাপটের সাথে এভাবেই চাকরি করেছেন, বর্তমানে তিনি আওয়ামিলীগ এর ছদ্মবেশ ধরে আবারও ঘুষ বাণিজ্যে লিপ্ত হয়ে একদিকে সাধারণ জনগণের মনে যেমন ভীতির সৃষ্টি করেছেন তেমনই বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর সুনাম ক্ষুণ্ণ করে চলেছেন। এক পর্যায়ে প্রতিবেদক তার তথ্য সংগ্রহ করার জন্যে এসআই সিদ্দিকের সাথে খোশগল্প শুরু করলে এসআই সিদ্দিক তার কথার ফাঁকে বললেন, “আমি এসআই সিদ্দিক বাহিরে ডিউটিতে না যেয়ে যদি থানায় বসে মাছিও মারি, তবুও মাসে আমার এক লাখ টাকা ইনকাম আছে”। থানায় চাকরি করলে ওসি স্যারদের খুশী রাখতেই একটু রিস্ক নিতে হয় (কথাগুল প্রতিবেদকের কাছে রেকর্ডকৃত)। “থানায় বসে মাছি মারলেও তিনি মাসে এক লাখ টাকা ইনকাম করতে পারেন” যেহেতু সে ডিউটি থাক বা না থাক প্রতিদিন সিএনজি নাম্বার ঢাকা থ ১১-১১৫৬ ড্রাইভার হাসানকে নিয়ে প্রতি রাতে বাহির হন, তাহলে মাসে তার ইনকাম কত টাকা? এই টাকাগুল কি বৈধ? এর কোন উত্তর তার কাছ থেকে পাওয়া যায় নাই। আমি যতটুকু জানি ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার সাহেব দীর্ঘদিন যাবৎ অনেক সুনামের সাথে তার দায়িত্ব ও কর্তব্যপালন করে আসছেন। পুলিশ সুপার সাহেব নিজেও যেমন কোন ঘুষ বাণিজ্যের সাথে লিপ্ত নয়, তেমনি এসব দুর্ণীতিবাজ অফিসারদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা নিতেও তিনি কোন পিছুপা হটেন না। পুলিশ সুপার মহোদয় ঢাকা জেলায় কনষ্টবল নিয়োগ ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যাস্ত থাকায় তার সাথে প্রতিবেদক যোগাযোগ করতে পারেন নাই। যেহেতু এসআই সিদ্দিক এর দৃষ্টিতে সার্কেল সাহেব থানার ওসি’র কাছে ছাগলের তিন নাম্বার বাচ্চা, বুঝতে পারলাম এসআই সিদ্দিক শুধু মাত্র ওসি’ শাহজামান এবং ওসি তদন্ত ইন্সপেক্টর আশিকুজ্জামান এর সাথে মিলেমিশে দীর্ঘদিন এই ঘুষ বাণিজ্য করে আসছেন। বিগত এক মাসের মধ্যে এসআই সিদ্দিকের ঘুষ বাণিজ্যের কিছু নমুনা ও আসামিদের পরিচয় দেওয়া হলোঃ-

১.বেলায়েত হোসেন, ( উপ-সচিব জনাব, আব্দুল হান্নান সাহেবের চাচাতো ছোট ভাই তানভীর হত্যা এবং অস্ত্রসহ দুইটি মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি )

পিতা-মৃত-শমসের আলী,
গ্রাম-করেরগাঁও,
থানা-দক্ষিন কেরানীগঞ্জ।

২।সাইদ হোসেন (চিহ্নিত মাদক ব্যাবসায়ী)
পিতা-মৃত-ছলু মিয়া,
গ্রাম-করেরগাঁও,
থানা-দক্ষিন কেরানীগঞ্জ।

৩।ঝন্টু (নিরীহ পাবলিক)

পিতা-মোহাম্মদ আলী,
গ্রাম-করেরগাঁও,
থানা- দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ।
৪। ইয়াছিন,
পিতা-মৃত-আলাল,
গ্রাম-কান্দাপাড়া,
আব্দুল্লাহপুর,থানা- দক্ষিন কেরানীগঞ্জ, জেলা-ঢাকা (এলাকার চিন্হিত মাদক ব্যাবসায়ী একাধিক মাদকের মামলা আছে তার বিরুদ্ধে )। প্রায় ১০০০ (এক হাজার পিচ) ইয়াবা ট্যাবলেট সহ আটক করার পরেও, ওসি’র মাধ্যমে আসামিদের পক্ষ থেকে দালাল সাইদুরের সাথে দেন-দরবার করে চাহিদা মোতাবেক মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে আসামিদের’কে ছেড়ে দেন। এমন আরও অসংখ্য আসামি এবং ভালো মানুষকে আটক করে থানায় নিয়ে এসে অথবা রাস্তায় টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেন। যেসব আসামিদের’কে মাদক সহ আটক করে টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেন তাদের হেফাজত থেকে উদ্ধারকৃত মাদক দ্রব্য সোর্স সোহেল এবং মাদকের তালিকাভুক্ত আসামি স্বপনের মাধ্যমে বিক্রয় করেন বলে জানা গেছে। এসব দালালদের কারণে থানায় ভালো মানুষ যেতে ভয় পান। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নির্দেশে যেখানে বর্তমান আইজিপি জনাব, মোহাম্মদ জাভেদ পাটোয়ারী স্যার মহোদয় দেশ থেকে মাদক ব্যাবসায়ী, সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ, জঙ্গীবাদ ও দূর্ণীতিপরায়ণ পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন, সেখানে থানায় এই সব দুর্ণীতিবাজ ওসি এবং এসআই যদি বুক ফুলিয়ে তাদের অপকর্ম চালিয়ে যান, তাহলে কিভাবে তাদের এমন মহৎ উদ্দেশ্য পুরণ হবে ? বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে হলে আগে এসব দূর্ণীতিবাজদের খুঁজে বের করে, তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত শাস্তির বিধান নিশ্চিত করতে হবে। তাদের শাস্তি কার্যকর হলে একদিকে যেমন প্রশাসনের আর কোন সদস্য কোন খারাপ কাজে লিপ্ত হবে না, তেমনি সাধারণ জনগণও পুলিশের উপরে আস্থা ফিরে পাবে। দেশ থেকে মাদক, সন্ত্রাস ও অন্যান্য অপরাধ নির্মূল করতে হলে অবশ্যই এসব দূর্ণীতিবাজ অফিসারদের বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী থেকে উৎখাত করতে হবে বলে সাধারণ জনগণ মনে করেন।
পুলিশের সোর্স এবং পাব্লিক ড্রাইভারগুল যারা পুলিশের সাথে নিয়মিত ডিউটিতে থাকে তাদের দৌরাত্মও কম নয়। এই সিএনজি ড্রাইভার তেমনই একজন দুর্ধর্ষ ভয়ংকর চাঁদাবাজ। এই ড্রাইভার হাসান এবং এসআই সিদ্দিকের আরও কিছু চাঁদাবাজির চাঞ্চল্যকর তথ্য নিয়ে পর্ব (৩) এ আপনাদের সামনে হাজির হব। নিয়মিত চোখ রাখুন “সকালের সংবাদ” এ, চলমান….…

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




কেরানীগঞ্জ থানার এসআই সিদ্দিক ওসি শাহজামালের গ্রেফতার বাণিজ্য পর্ব (২)

আপডেট সময় : ০২:৫৭:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ জুলাই ২০১৯

অপরাধ প্রতিবেদক;
এসআই সিদ্দিকের সাথে তার বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা জানার প্রাক্কালে “সকালের সংবাদ”এর প্রতিবেদক এর কিছু প্রশ্ন এবং এসআই সিদ্দিকের উত্তর।

প্রতিবেদকের প্রশ্নঃ যেহেতু আপনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বললেন, তিনজন আসামিকে ছেড়ে এদিক সেদিক দিয়ে কয় টাকা আর আপনার পকেটে যায়, তাহলে টাকাগুল কোথায় কোথায় দেয়া লাগে? আপনি যে অস্ত্র এবং মার্ডার মামলা সহ একজন আসামি, মাদকের তালিকাভুক্ত একজন আসামি এবং নিরীহ মানুষ একজন মোট মোট তিন জনকে টাকার বিনিময়ে ওসির নির্দেশে ছেড়ে দিলেন, বিষয়টা কি আপনার সার্কেল স্যারকে অবগত করেছিলেন?

উত্তর ঃ হ্যা, আমি ভুল করেছি। সকাল দশটার দিকেও সার্কেল স্যারকে অন্তত জানানো উচিৎ ছিল। কিন্তু আমার ওসি হ্যাডামধারী, সরাসরি এসপি স্যারের সাথে তার কথা হয়। বোঝেন নাই? যার সাথে এসপি স্যারের সরাসরি সম্পর্ক, সেই জায়গায় সার্কেল স্যার ছাগলের তিন নাম্বার বাচ্চা। তো বুঝতেই পারছেন, সার্কেল স্যারকে জানানো প্রয়োজন মনে করি নাই।

আমাদের প্রতিবেদক তার ওসি সাহেবকে ফোন করে বুঝতে পারলেন, তিনি আসলেই হ্যাডামধারী। তিনি পরে কথা বলবেন বলে ফোন কেটে দেবার পরে, কয়েকদিন তার সাথে কথা বলার চেষ্টা করেও ব্যার্থ হলাম। দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা এলাকার জনমনে প্রশ্নঃ থানার ওসি সাহেব এতো সাহস কোথায় পান? আমরা এর ব্যাখ্যা খুঁজতে গিয়ে জানতে পারি, ওসি সাহেব ২০০৪ সালে বাংলাদেশ পুলিশ’এ এসআই পদে ভর্তি হন। চার দলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় থাকতে তিনি অনেক ভালো ভালো জায়গায় পোস্টিং নিয়ে দাপটের সাথে এভাবেই চাকরি করেছেন, বর্তমানে তিনি আওয়ামিলীগ এর ছদ্মবেশ ধরে আবারও ঘুষ বাণিজ্যে লিপ্ত হয়ে একদিকে সাধারণ জনগণের মনে যেমন ভীতির সৃষ্টি করেছেন তেমনই বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর সুনাম ক্ষুণ্ণ করে চলেছেন। এক পর্যায়ে প্রতিবেদক তার তথ্য সংগ্রহ করার জন্যে এসআই সিদ্দিকের সাথে খোশগল্প শুরু করলে এসআই সিদ্দিক তার কথার ফাঁকে বললেন, “আমি এসআই সিদ্দিক বাহিরে ডিউটিতে না যেয়ে যদি থানায় বসে মাছিও মারি, তবুও মাসে আমার এক লাখ টাকা ইনকাম আছে”। থানায় চাকরি করলে ওসি স্যারদের খুশী রাখতেই একটু রিস্ক নিতে হয় (কথাগুল প্রতিবেদকের কাছে রেকর্ডকৃত)। “থানায় বসে মাছি মারলেও তিনি মাসে এক লাখ টাকা ইনকাম করতে পারেন” যেহেতু সে ডিউটি থাক বা না থাক প্রতিদিন সিএনজি নাম্বার ঢাকা থ ১১-১১৫৬ ড্রাইভার হাসানকে নিয়ে প্রতি রাতে বাহির হন, তাহলে মাসে তার ইনকাম কত টাকা? এই টাকাগুল কি বৈধ? এর কোন উত্তর তার কাছ থেকে পাওয়া যায় নাই। আমি যতটুকু জানি ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার সাহেব দীর্ঘদিন যাবৎ অনেক সুনামের সাথে তার দায়িত্ব ও কর্তব্যপালন করে আসছেন। পুলিশ সুপার সাহেব নিজেও যেমন কোন ঘুষ বাণিজ্যের সাথে লিপ্ত নয়, তেমনি এসব দুর্ণীতিবাজ অফিসারদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা নিতেও তিনি কোন পিছুপা হটেন না। পুলিশ সুপার মহোদয় ঢাকা জেলায় কনষ্টবল নিয়োগ ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যাস্ত থাকায় তার সাথে প্রতিবেদক যোগাযোগ করতে পারেন নাই। যেহেতু এসআই সিদ্দিক এর দৃষ্টিতে সার্কেল সাহেব থানার ওসি’র কাছে ছাগলের তিন নাম্বার বাচ্চা, বুঝতে পারলাম এসআই সিদ্দিক শুধু মাত্র ওসি’ শাহজামান এবং ওসি তদন্ত ইন্সপেক্টর আশিকুজ্জামান এর সাথে মিলেমিশে দীর্ঘদিন এই ঘুষ বাণিজ্য করে আসছেন। বিগত এক মাসের মধ্যে এসআই সিদ্দিকের ঘুষ বাণিজ্যের কিছু নমুনা ও আসামিদের পরিচয় দেওয়া হলোঃ-

১.বেলায়েত হোসেন, ( উপ-সচিব জনাব, আব্দুল হান্নান সাহেবের চাচাতো ছোট ভাই তানভীর হত্যা এবং অস্ত্রসহ দুইটি মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি )

পিতা-মৃত-শমসের আলী,
গ্রাম-করেরগাঁও,
থানা-দক্ষিন কেরানীগঞ্জ।

২।সাইদ হোসেন (চিহ্নিত মাদক ব্যাবসায়ী)
পিতা-মৃত-ছলু মিয়া,
গ্রাম-করেরগাঁও,
থানা-দক্ষিন কেরানীগঞ্জ।

৩।ঝন্টু (নিরীহ পাবলিক)

পিতা-মোহাম্মদ আলী,
গ্রাম-করেরগাঁও,
থানা- দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ।
৪। ইয়াছিন,
পিতা-মৃত-আলাল,
গ্রাম-কান্দাপাড়া,
আব্দুল্লাহপুর,থানা- দক্ষিন কেরানীগঞ্জ, জেলা-ঢাকা (এলাকার চিন্হিত মাদক ব্যাবসায়ী একাধিক মাদকের মামলা আছে তার বিরুদ্ধে )। প্রায় ১০০০ (এক হাজার পিচ) ইয়াবা ট্যাবলেট সহ আটক করার পরেও, ওসি’র মাধ্যমে আসামিদের পক্ষ থেকে দালাল সাইদুরের সাথে দেন-দরবার করে চাহিদা মোতাবেক মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে আসামিদের’কে ছেড়ে দেন। এমন আরও অসংখ্য আসামি এবং ভালো মানুষকে আটক করে থানায় নিয়ে এসে অথবা রাস্তায় টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেন। যেসব আসামিদের’কে মাদক সহ আটক করে টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেন তাদের হেফাজত থেকে উদ্ধারকৃত মাদক দ্রব্য সোর্স সোহেল এবং মাদকের তালিকাভুক্ত আসামি স্বপনের মাধ্যমে বিক্রয় করেন বলে জানা গেছে। এসব দালালদের কারণে থানায় ভালো মানুষ যেতে ভয় পান। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নির্দেশে যেখানে বর্তমান আইজিপি জনাব, মোহাম্মদ জাভেদ পাটোয়ারী স্যার মহোদয় দেশ থেকে মাদক ব্যাবসায়ী, সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ, জঙ্গীবাদ ও দূর্ণীতিপরায়ণ পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন, সেখানে থানায় এই সব দুর্ণীতিবাজ ওসি এবং এসআই যদি বুক ফুলিয়ে তাদের অপকর্ম চালিয়ে যান, তাহলে কিভাবে তাদের এমন মহৎ উদ্দেশ্য পুরণ হবে ? বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে হলে আগে এসব দূর্ণীতিবাজদের খুঁজে বের করে, তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত শাস্তির বিধান নিশ্চিত করতে হবে। তাদের শাস্তি কার্যকর হলে একদিকে যেমন প্রশাসনের আর কোন সদস্য কোন খারাপ কাজে লিপ্ত হবে না, তেমনি সাধারণ জনগণও পুলিশের উপরে আস্থা ফিরে পাবে। দেশ থেকে মাদক, সন্ত্রাস ও অন্যান্য অপরাধ নির্মূল করতে হলে অবশ্যই এসব দূর্ণীতিবাজ অফিসারদের বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী থেকে উৎখাত করতে হবে বলে সাধারণ জনগণ মনে করেন।
পুলিশের সোর্স এবং পাব্লিক ড্রাইভারগুল যারা পুলিশের সাথে নিয়মিত ডিউটিতে থাকে তাদের দৌরাত্মও কম নয়। এই সিএনজি ড্রাইভার তেমনই একজন দুর্ধর্ষ ভয়ংকর চাঁদাবাজ। এই ড্রাইভার হাসান এবং এসআই সিদ্দিকের আরও কিছু চাঁদাবাজির চাঞ্চল্যকর তথ্য নিয়ে পর্ব (৩) এ আপনাদের সামনে হাজির হব। নিয়মিত চোখ রাখুন “সকালের সংবাদ” এ, চলমান….…