ঢাকা ০৪:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ




‘বালিশকাণ্ডে’ ৩৬ কোটি টাকা লুটপাট, ৫০ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:০২:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ জুলাই ২০১৯ ১৫১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ 

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের আবাসিক প্রকল্পে ৩৬ কোটি ৪০ লাখ ৯ হাজার টাকা লুটপাটের প্রমাণ পেয়েছে এ-সংক্রান্ত তদন্ত কমিটি। কমিটির প্রতিবেদনে দুর্নীতির দায়ে নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদুল আলমসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে। পাশাপাশি এই অর্থ সরকারি কোষাগারে ফেরত আনার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতেও বলা হয়েছে।

সোমবার বিকেলে অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটির জমা দেওয়া প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে। অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয় থেকে ওই দুটি প্রতিবেদন হাইকোর্টের সংশ্নিষ্ট শাখায় জমা দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, কমিটির প্রতিবেদন আমরা পেয়েছি। এটি যথাযথ প্রক্রিয়ায় হাইকোর্টে জমা দেওয়া হয়েছে। কার্যতালিকা অনুসারে এ বিষয়টি শুনানি হবে। হাইকোর্টের সংশ্নিষ্ট বেঞ্চের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমাতুল করীম জানান, আগামী ২১ জুলাই এই রিটের শুনানির দিন ধার্য রয়েছে।

রূপপুরে আবাসিক ভবনের জন্য বিভিন্ন সরঞ্জাম কেনাকাটায় দুর্নীতি হয়েছে- গত মে মাসে এ মর্মে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এরপর গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন-২) মো. মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের এক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ার্দী সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে আলোচিত এই দুর্নীতি নিয়ে করা রিট বিচারাধীন রয়েছে। গত ২ জুলাই হাইকোর্টের এই বেঞ্চ রূপপুর প্রকল্পে দুর্নীতি-অনিয়ম সংক্রান্ত দুটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের পাশাপাশি রুলও জারি করেন। রুলে পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের আওতায় নির্মাণাধীন গ্রিন সিটি আবাসন পল্লীর মালপত্র বিশ্বস্ততার সঙ্গে (গুড ফেইথ) কেনা ও উত্তোলনের ব্যর্থতা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। এ ছাড়া ওই ঘটনায় করা দুটি তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন দাখিল এবং প্রতিবেদন অনুসারে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তাও দুই সপ্তাহের মধ্যে আদালতকে জানানোর জন্য রাষ্ট্রপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল প্রতিবেদনটি জমা দেয় সংশ্নিষ্ট কমিটি।

রিট দায়ের প্রসেঙ্গ ব্যারিস্টার স্যায়েদুল হক সুমন সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যেহেতু দুর্নীতিতে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন, এই রকম যা কিছু আছে সব তদন্ত হয়ে দেশবাসীর সামনে আসা উচিত। তাহলে মানুষের আস্থা বাড়বে। এ জন্য রিটটি করা হয়েছে।’

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




‘বালিশকাণ্ডে’ ৩৬ কোটি টাকা লুটপাট, ৫০ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ

আপডেট সময় : ১১:০২:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ জুলাই ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ 

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের আবাসিক প্রকল্পে ৩৬ কোটি ৪০ লাখ ৯ হাজার টাকা লুটপাটের প্রমাণ পেয়েছে এ-সংক্রান্ত তদন্ত কমিটি। কমিটির প্রতিবেদনে দুর্নীতির দায়ে নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদুল আলমসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে। পাশাপাশি এই অর্থ সরকারি কোষাগারে ফেরত আনার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতেও বলা হয়েছে।

সোমবার বিকেলে অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটির জমা দেওয়া প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে। অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয় থেকে ওই দুটি প্রতিবেদন হাইকোর্টের সংশ্নিষ্ট শাখায় জমা দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, কমিটির প্রতিবেদন আমরা পেয়েছি। এটি যথাযথ প্রক্রিয়ায় হাইকোর্টে জমা দেওয়া হয়েছে। কার্যতালিকা অনুসারে এ বিষয়টি শুনানি হবে। হাইকোর্টের সংশ্নিষ্ট বেঞ্চের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমাতুল করীম জানান, আগামী ২১ জুলাই এই রিটের শুনানির দিন ধার্য রয়েছে।

রূপপুরে আবাসিক ভবনের জন্য বিভিন্ন সরঞ্জাম কেনাকাটায় দুর্নীতি হয়েছে- গত মে মাসে এ মর্মে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এরপর গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন-২) মো. মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের এক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ার্দী সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে আলোচিত এই দুর্নীতি নিয়ে করা রিট বিচারাধীন রয়েছে। গত ২ জুলাই হাইকোর্টের এই বেঞ্চ রূপপুর প্রকল্পে দুর্নীতি-অনিয়ম সংক্রান্ত দুটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের পাশাপাশি রুলও জারি করেন। রুলে পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের আওতায় নির্মাণাধীন গ্রিন সিটি আবাসন পল্লীর মালপত্র বিশ্বস্ততার সঙ্গে (গুড ফেইথ) কেনা ও উত্তোলনের ব্যর্থতা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। এ ছাড়া ওই ঘটনায় করা দুটি তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন দাখিল এবং প্রতিবেদন অনুসারে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তাও দুই সপ্তাহের মধ্যে আদালতকে জানানোর জন্য রাষ্ট্রপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল প্রতিবেদনটি জমা দেয় সংশ্নিষ্ট কমিটি।

রিট দায়ের প্রসেঙ্গ ব্যারিস্টার স্যায়েদুল হক সুমন সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যেহেতু দুর্নীতিতে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন, এই রকম যা কিছু আছে সব তদন্ত হয়ে দেশবাসীর সামনে আসা উচিত। তাহলে মানুষের আস্থা বাড়বে। এ জন্য রিটটি করা হয়েছে।’