মোঃ ইউনুছ ভূঞাঁ সুজন,ফেনীঃ
ফেনীর ফুলগাজীর সেই ৮৩ বছরের বৃদ্ধ কাজী মোখলেসুর রহমান কে নিয়ে গত ৮ জুলাই সকালের সংবাদে ''৮৩ বছরেও বৃদ্ধ ভাতা পায়নি কাজী মোখলেসুর রহমান'' শিরনামে সংবাদ প্রচারিত হয় এছাড়াও বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয় উক্ত সংবাদটি উপজেলা প্রশাসনের সৃষ্টি খোচর হয়। উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল আলীম মজুমদার কে বিষয়টি জানানো হলে তিনি তাৎক্ষনিক ২০কেজী চাউলের ব্যবস্থা করে দেন এবং ভবিষ্যতে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি। এদিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সাইফুল ইসলাম কাছে বৃদ্ধ কাজী মোখলেসুর রহমান'র প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র নিয়ে গেলে তিনি বৃদ্ধ ভ্রাতা কার্ড পেতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করেন।
অন্যদিকে উপজেলা প্রেস ক্লাবের একাংশের সাধারন সম্পাদক সজিব জামাল, কোষাধ্যক্ষ মোঃ সাইফুল ইসলাম মজুমদারও বৃদ্ধ কে সহযোহিতা পেতে সহায়তা প্রদান করেন। উক্ত প্রতিবেদক ধন্যবাদ ও কতৃজ্ঞতা প্রকাশ করেন এ অসহায় গরিব কাজী মোখলেসুর রহমান'র পরিবার কে সকলের আন্তরিক সহযোগিতার জন্য।
উলেখ্য, ফেনীর ফুলগাজীতে অসহায় হতদরিদ্র গরিব কর্মহীন ৮৩বছরের বৃদ্ধ বৃদ্ধভ্রাতা থেকে বঞ্চিত একটি প্রচলিত নিয়ম রয়েছে যার নেই তাঁর কিছু নেই। কাজী মোকছদের রহমান তেমনি এক হতদরিদ্র গরিব অসহায় বৃদ্ধ যার উপার্জন করার অন্য কোন সদস্য নেই পরিবরে ৬মেয়ের মধ্যে সমাজের সবার কাছ থেকে সহযোগিতা নিয়ে ৪মেয়েকে অনেক কষ্টে বিয়ে দিলেও বিবাহের বাকী রয়েছে ২টি মেয়ের। জীবনের শুরু থেকে শেষ লগ্নে এসেও রাষ্টীয় এতো সব সুযোগ-সুবিধা তাঁর কোপালে জুটেনি। তাঁর পরিবারের কাছে জানতে চাইলে যে ২নং মুন্সীর ইউনিয়ন থেকে কোন সুযোগ সুবিধা পান কিনা তাঁরা জানায় গত ঈদে ১০ কেজি চাউল ছাড়া তাদের ভাগ্যে কিছুই জোটেনী। পানিনী কখনও বৃদ্ধভ্রাতার কার্ড। ৮৩ বছর বয়সী বৃদ্ধের প্রশ্ন সরকার বৃদ্ধ ভ্রাতার ব্যবস্থা চালু করলেও আমাদের কি ওয়ার্ডের মেম্বার চেয়ারম্যান গন দেখেনা? আমারা মারা গেলে কি তারা আমাদের বৃদ্ধ বলবে? এমন কথা বলেই বৃদ্ধ হাউ..মাউ করে কাঁন্না কাটি শুরু করলো। এখন প্রশ্ন হলো সমাজ, ইউনিয়ন,উপজেলা, জেলার উচ্চপদস্থ যে সমস্ত কর্মকর্তা রয়েছন তারা সঠিক ভাবে তাদের উপর সরকার কতৃক অর্পিত দায়িত্ব পালন করার মাধ্যমে আমাদের মতো অসহায় বৃদ্ধ কর্মহীন মানুষদের কে বৃদ্ধভ্রাতা কার্ড করে দিবেন এমনটাই এ অসহায় ৮৩বছরের বৃদ্ধের প্রত্যাশা।