ঢাকা ০৮:১৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ২৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo রূপালী ব্যাংকের এমডি ছিলেন বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের প্রভাবশালী নেতা! Logo “আওয়ামী সুবিধাভোগী ৪ কারা কর্মকর্তার কাছে জিম্মি কারা অধিদপ্তর!” Logo পাইকগাছা-কয়রার মানুষের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে মাঠে আমিরুল ইসলাম কাগজী Logo এয়ারপোর্ট এলাকার আওয়ামীলীগ নেতা সালাউদ্দিন পিয়ারী ইয়াসিন ধরাছোঁয়ার বাইরে! Logo পিরোজপুর-২ আসনে জনগণের জন্য কাজ করতে চান ফকরুল আলম: নির্বাচনের প্রস্তুতি তুঙ্গে Logo পাওনা টাকা চাওয়ায় সাংবাদিকের উপর হামলা: নেপথ্যে কসাই পারভেজ ধরাছোঁয়ার বাইরে Logo ৩৬ জুলাই: যেভাবে প্রতীকী ক্যালেন্ডার হয়ে উঠল জাতীয় প্রতিরোধের হাতিয়ার Logo বাকেরগঞ্জ উপজেলা যুবদলের নেতার উপর সন্ত্রাসী হামলা Logo গণপূর্ত প্রকৌশলী জহির রায়হানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের অভিযান Logo “শতকোটি টাকার দুর্নীতির সাম্রাজ্য: তাপসের ঘনিষ্ট ডিএসসিসির শাহজাহান আলীর ফাঁদে ঢাকা দক্ষিণ সিটি”

আত্মসমর্পণের প্রস্তুতি পাকিস্তানি হানাদারদের

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৪১:৪৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮ ২১৩ বার পড়া হয়েছে

 

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ আজ ১৫ ডিসেম্বর। ১৯৭১ সালের এই দিনে রাজধানী ঢাকার চারপাশে অবস্থান নেয় মিত্র ও মুক্তিবাহিনী। পাকিস্তানি বাহিনী তখনো আত্মসমর্পণের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের কথা জানায়নি। ঢাকায় তারা স্থল প্রতিরক্ষাব্যুহ রচনা করেছে। তারা যদি আত্মসমর্পণ করতে না-ই চায়, তার অর্থ হবে ভয়াবহ যুদ্ধ, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি। কিন্তু যেকোনোভাবেই ঢাকার এ সম্ভাব্য ধ্বংসকা- এড়াতে চাইছিল যৌথ বাহিনী।

জেনারেল মানেকশ ১৬ ডিসেম্বর সকাল নয়টার মধ্যে আত্মসমর্পণ করার জন্য পাকিস্তানি সৈন্যদের সময় বেঁধে দেন। আত্মসমর্পণের প্রক্রিয়া সহজতর করার জন্য ১৫ ডিসেম্বর বিকেল পাঁচটা থেকে ১৬ ডিসেম্বর সকাল নয়টা পর্যন্ত ভারতীয় বিমান হামলা বন্ধ থাকবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। দিশাহারা নিয়াজি আত্মসমর্পণের ব্যাপারে ইসলামাবাদের কাছে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত চেয়ে পাঠান। রাত দুইটার পর চিফ অব স্টাফ জেনারেল আব্দুল হামিদের কাছ থেকে আত্মসমর্পণের অনুমোদন দেওয়া হয়। তার পরপরই দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা পাকিস্তানি সেনা ইউনিটগুলোকে রেডিও মারফত আত্মসমর্পণের নির্দেশ প্রেরণের কাজ শুরু হয়ে যায়।

পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের প্রক্রিয়া যখন এগিয়ে চলছিল, তখন ভারতীয় বাহিনী, মুক্তিযোদ্ধাসহ ঢাকার অবশিষ্ট অধিবাসী অধীর আগ্রহে পরদিন, অর্থাৎ ১৬ ডিসেম্বর বিকেলে পাকিস্তান বাহিনীর আত্মসমর্পণ দেখার জন্য অপেক্ষা করছিল।

১৯৭১ সালের এদিনে চট্টগ্রাম ও সিলেটে প্রচ- যুদ্ধ হয়। বগুড়া শহর ছেড়ে পাকিস্তানি সৈন্যরা পালিয়ে যায়। এদিন মুক্ত হয় রাঙ্গুনিয়া, কোটালীপাড়া, নীলফামারী, গোয়ালন্দ, পার্বতীপুর প্রভৃতি এলাকা। দখলদার পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর কবল থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জকে মুক্ত করেছিল বাংলার দামাল ছেলেরা। উড়িয়েছিল স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

আত্মসমর্পণের প্রস্তুতি পাকিস্তানি হানাদারদের

আপডেট সময় : ১০:৪১:৪৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮

 

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ আজ ১৫ ডিসেম্বর। ১৯৭১ সালের এই দিনে রাজধানী ঢাকার চারপাশে অবস্থান নেয় মিত্র ও মুক্তিবাহিনী। পাকিস্তানি বাহিনী তখনো আত্মসমর্পণের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের কথা জানায়নি। ঢাকায় তারা স্থল প্রতিরক্ষাব্যুহ রচনা করেছে। তারা যদি আত্মসমর্পণ করতে না-ই চায়, তার অর্থ হবে ভয়াবহ যুদ্ধ, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি। কিন্তু যেকোনোভাবেই ঢাকার এ সম্ভাব্য ধ্বংসকা- এড়াতে চাইছিল যৌথ বাহিনী।

জেনারেল মানেকশ ১৬ ডিসেম্বর সকাল নয়টার মধ্যে আত্মসমর্পণ করার জন্য পাকিস্তানি সৈন্যদের সময় বেঁধে দেন। আত্মসমর্পণের প্রক্রিয়া সহজতর করার জন্য ১৫ ডিসেম্বর বিকেল পাঁচটা থেকে ১৬ ডিসেম্বর সকাল নয়টা পর্যন্ত ভারতীয় বিমান হামলা বন্ধ থাকবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। দিশাহারা নিয়াজি আত্মসমর্পণের ব্যাপারে ইসলামাবাদের কাছে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত চেয়ে পাঠান। রাত দুইটার পর চিফ অব স্টাফ জেনারেল আব্দুল হামিদের কাছ থেকে আত্মসমর্পণের অনুমোদন দেওয়া হয়। তার পরপরই দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা পাকিস্তানি সেনা ইউনিটগুলোকে রেডিও মারফত আত্মসমর্পণের নির্দেশ প্রেরণের কাজ শুরু হয়ে যায়।

পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের প্রক্রিয়া যখন এগিয়ে চলছিল, তখন ভারতীয় বাহিনী, মুক্তিযোদ্ধাসহ ঢাকার অবশিষ্ট অধিবাসী অধীর আগ্রহে পরদিন, অর্থাৎ ১৬ ডিসেম্বর বিকেলে পাকিস্তান বাহিনীর আত্মসমর্পণ দেখার জন্য অপেক্ষা করছিল।

১৯৭১ সালের এদিনে চট্টগ্রাম ও সিলেটে প্রচ- যুদ্ধ হয়। বগুড়া শহর ছেড়ে পাকিস্তানি সৈন্যরা পালিয়ে যায়। এদিন মুক্ত হয় রাঙ্গুনিয়া, কোটালীপাড়া, নীলফামারী, গোয়ালন্দ, পার্বতীপুর প্রভৃতি এলাকা। দখলদার পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর কবল থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জকে মুক্ত করেছিল বাংলার দামাল ছেলেরা। উড়িয়েছিল স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা।