ঢাকা ০৮:১১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫, ৪ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo দুদকের মামলার মাথায় নিয়েও বহাল কুমেক হাসপাতালের আবুল Logo সংস্কারের বিপরীতে রহস্যজনক বদলী: এক চিঠিতে ৫২ রদবদল ফায়ার সার্ভিসে! Logo গণপূর্তে ফ্যাসিস্ট সরকারের আস্থাভাজন কর্মকর্তাদের দুর্নীতির সিন্ডিকেট সক্রিয়  Logo বাংলাদেশ সাইন ম্যাটেরিয়ালস এন্ড মেশিনারিজ ইমপোর্টার্স এসোসিয়েশন’ সভাপতি খালেদ সাধারণ সম্পাদক মানিক  Logo চৌদ্দগ্রামে এলজি বন্ধুক ও দেশীয় অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটক: টর্চার সেলের সন্ধান Logo সাফা মাধ্যমিক বিদ্যালয় অ্যাডহক কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হলেন এইচ এম আল-আমিন Logo সওজ ও গণপূর্তের ‘মাফিয়া’ আওয়ামী ঘনিষ্ঠ দোসর মুস্তাফিজ ধরাছোঁয়ার বাইরে Logo ২০০ কোটি টাকা নয়ছয় করেও বহাল জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল কার্যালয় জিম্মি শহিদুল! Logo আওয়ামী লীগের পক্ষে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলায় এনআরবি ব্যাংক’ ২ পরিচালকের অর্থ সহায়তা Logo ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর ফায়ারের উপ-পরিচালক দীনোমনির বিরূদ্ধে দুর্নীতি অভিযোগ




আত্মসমর্পণের প্রস্তুতি পাকিস্তানি হানাদারদের

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৪১:৪৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৬৮ বার পড়া হয়েছে

 

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ আজ ১৫ ডিসেম্বর। ১৯৭১ সালের এই দিনে রাজধানী ঢাকার চারপাশে অবস্থান নেয় মিত্র ও মুক্তিবাহিনী। পাকিস্তানি বাহিনী তখনো আত্মসমর্পণের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের কথা জানায়নি। ঢাকায় তারা স্থল প্রতিরক্ষাব্যুহ রচনা করেছে। তারা যদি আত্মসমর্পণ করতে না-ই চায়, তার অর্থ হবে ভয়াবহ যুদ্ধ, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি। কিন্তু যেকোনোভাবেই ঢাকার এ সম্ভাব্য ধ্বংসকা- এড়াতে চাইছিল যৌথ বাহিনী।

জেনারেল মানেকশ ১৬ ডিসেম্বর সকাল নয়টার মধ্যে আত্মসমর্পণ করার জন্য পাকিস্তানি সৈন্যদের সময় বেঁধে দেন। আত্মসমর্পণের প্রক্রিয়া সহজতর করার জন্য ১৫ ডিসেম্বর বিকেল পাঁচটা থেকে ১৬ ডিসেম্বর সকাল নয়টা পর্যন্ত ভারতীয় বিমান হামলা বন্ধ থাকবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। দিশাহারা নিয়াজি আত্মসমর্পণের ব্যাপারে ইসলামাবাদের কাছে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত চেয়ে পাঠান। রাত দুইটার পর চিফ অব স্টাফ জেনারেল আব্দুল হামিদের কাছ থেকে আত্মসমর্পণের অনুমোদন দেওয়া হয়। তার পরপরই দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা পাকিস্তানি সেনা ইউনিটগুলোকে রেডিও মারফত আত্মসমর্পণের নির্দেশ প্রেরণের কাজ শুরু হয়ে যায়।

পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের প্রক্রিয়া যখন এগিয়ে চলছিল, তখন ভারতীয় বাহিনী, মুক্তিযোদ্ধাসহ ঢাকার অবশিষ্ট অধিবাসী অধীর আগ্রহে পরদিন, অর্থাৎ ১৬ ডিসেম্বর বিকেলে পাকিস্তান বাহিনীর আত্মসমর্পণ দেখার জন্য অপেক্ষা করছিল।

১৯৭১ সালের এদিনে চট্টগ্রাম ও সিলেটে প্রচ- যুদ্ধ হয়। বগুড়া শহর ছেড়ে পাকিস্তানি সৈন্যরা পালিয়ে যায়। এদিন মুক্ত হয় রাঙ্গুনিয়া, কোটালীপাড়া, নীলফামারী, গোয়ালন্দ, পার্বতীপুর প্রভৃতি এলাকা। দখলদার পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর কবল থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জকে মুক্ত করেছিল বাংলার দামাল ছেলেরা। উড়িয়েছিল স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




আত্মসমর্পণের প্রস্তুতি পাকিস্তানি হানাদারদের

আপডেট সময় : ১০:৪১:৪৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮

 

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ আজ ১৫ ডিসেম্বর। ১৯৭১ সালের এই দিনে রাজধানী ঢাকার চারপাশে অবস্থান নেয় মিত্র ও মুক্তিবাহিনী। পাকিস্তানি বাহিনী তখনো আত্মসমর্পণের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের কথা জানায়নি। ঢাকায় তারা স্থল প্রতিরক্ষাব্যুহ রচনা করেছে। তারা যদি আত্মসমর্পণ করতে না-ই চায়, তার অর্থ হবে ভয়াবহ যুদ্ধ, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি। কিন্তু যেকোনোভাবেই ঢাকার এ সম্ভাব্য ধ্বংসকা- এড়াতে চাইছিল যৌথ বাহিনী।

জেনারেল মানেকশ ১৬ ডিসেম্বর সকাল নয়টার মধ্যে আত্মসমর্পণ করার জন্য পাকিস্তানি সৈন্যদের সময় বেঁধে দেন। আত্মসমর্পণের প্রক্রিয়া সহজতর করার জন্য ১৫ ডিসেম্বর বিকেল পাঁচটা থেকে ১৬ ডিসেম্বর সকাল নয়টা পর্যন্ত ভারতীয় বিমান হামলা বন্ধ থাকবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। দিশাহারা নিয়াজি আত্মসমর্পণের ব্যাপারে ইসলামাবাদের কাছে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত চেয়ে পাঠান। রাত দুইটার পর চিফ অব স্টাফ জেনারেল আব্দুল হামিদের কাছ থেকে আত্মসমর্পণের অনুমোদন দেওয়া হয়। তার পরপরই দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা পাকিস্তানি সেনা ইউনিটগুলোকে রেডিও মারফত আত্মসমর্পণের নির্দেশ প্রেরণের কাজ শুরু হয়ে যায়।

পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের প্রক্রিয়া যখন এগিয়ে চলছিল, তখন ভারতীয় বাহিনী, মুক্তিযোদ্ধাসহ ঢাকার অবশিষ্ট অধিবাসী অধীর আগ্রহে পরদিন, অর্থাৎ ১৬ ডিসেম্বর বিকেলে পাকিস্তান বাহিনীর আত্মসমর্পণ দেখার জন্য অপেক্ষা করছিল।

১৯৭১ সালের এদিনে চট্টগ্রাম ও সিলেটে প্রচ- যুদ্ধ হয়। বগুড়া শহর ছেড়ে পাকিস্তানি সৈন্যরা পালিয়ে যায়। এদিন মুক্ত হয় রাঙ্গুনিয়া, কোটালীপাড়া, নীলফামারী, গোয়ালন্দ, পার্বতীপুর প্রভৃতি এলাকা। দখলদার পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর কবল থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জকে মুক্ত করেছিল বাংলার দামাল ছেলেরা। উড়িয়েছিল স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা।