ঢাকা ১২:৫৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ




নকলায় নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর, আহত ২৫

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৩৩:১৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৮২ বার পড়া হয়েছে

 

শেরপুর প্রতিনিধি: শেরপুর-২ আসনে নকলা উপজেলার টালকি ইউনিয়নের রামেরকান্দি ও নারায়ণখোলা এলাকায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়দলের অন্তত ২৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। ভাঙচুর করা হয়েছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দুটি নির্বাচনী অফিস।

শুক্রবার (১৪ ডিসেম্বর) রাত ৭টা ও ৮টার দিকে এসব ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নকলা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক খোরশেদ আলমসহ বিএনপির পাঁচ নেতাকে পুলিশ আটক করেছে। ঘটনার জন্য উভয়দল একে-অপরকে দায়ী করেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নকলার টালকি ইউনিয়নের রামেরকান্দি বাজারে শুক্রবার সন্ধ্যায় বিএনপি প্রার্থী ফাহিম চৌধুরীর পক্ষে একটি নির্বাচনী অফিস খোলাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এ সময় সেখানে হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে এবং বিএনপির নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করা হয়। হামলায় উভয়দলের ১৫ নেতাকর্মী আহত হন। আহতদের মধ্যে টালকি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মেগা মিয়া, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রুবেল হোসেন, তার ভাই মনির হোসেনসহ কয়েকজনকে নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

এছাড়া ইউনিয়ন বিএনপি নেতা জহিরুল হক কেশু, টালকি ইউপি চেয়ারম্যান বুলবুলসহ বিএনপির কয়েকজন নেতাকর্মীও আহত হন। সংবাদ পেয়ে নকলা থানা পুলিশ রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

অপরদিকে রাত ৮টার দিকে চর অষ্টাধর ইউনিয়নের নারায়ণখোলা বাজারে বিএনপি প্রার্থী ফাহিম চৌধুরীসহ দলীয় নেতাকর্মীরা নির্বাচনী সমাবেশ শুরুর চেষ্টা করলে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মিছিল শুরু করে। পুলিশ সংঘর্ষের আশঙ্কায় রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে উভয়পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় দৌড়াদৌড়িতে বিএনপির ১০ নেতাকর্মী আহত হন।

এদিকে নকলা বাজারে আওয়ামী লীগ কর্মীদের মিছিল থেকে বিক্ষুদ্ধ সমর্থকরা ইসিবপুর এলাকায় বিএনপি কর্মী দুলাল মিয়ার বাসার গেট ভাঙচুর করে এবং দুটি মোটরসাইকেলে আগুন জ্বালিয়ে দেয়ার ঘটনা ঘটে।

নকলা উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. রেফাজ উদ্দিন বিএনপির নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর ও হামলার জন্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও পুলিশকে দায়ী করেছেন।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়েছে আর পুলিশ আমাদের ওপর রাবার বুলেট, টিয়ারশেল ছুড়েছে। আমাদের কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছে এবং আরও কয়েকজকে পুলিশ আটক করে নিয়ে গেছে। আমরা এখন নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি।

এ বিষয়ে নকলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, টালকি ইউনিয়নের রামেরকান্দি বাজারে আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর বিএনপির লোকজন হামলা করে ১২ নেতাকর্মীকে আহত করেছে। তারা অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়। কিন্তু এখানকার মাঠ আমাদের ভালো। আমরা কোনো ধরনের সংঘাত-সংঘর্ষে জড়াতে চাই না। শান্তিপূর্ণভাবে আমরা পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে চেষ্টা করছি।

নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহনেওয়াজ বলেন, স্থানীয়ভাবে বিএনপি এবং আওয়ামী লীগের সমর্থকদের উত্তেজনা দেখা দিলে কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে। এ ঘটনায় কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনা তদন্ত করে আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




নকলায় নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর, আহত ২৫

আপডেট সময় : ১০:৩৩:১৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮

 

শেরপুর প্রতিনিধি: শেরপুর-২ আসনে নকলা উপজেলার টালকি ইউনিয়নের রামেরকান্দি ও নারায়ণখোলা এলাকায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়দলের অন্তত ২৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। ভাঙচুর করা হয়েছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দুটি নির্বাচনী অফিস।

শুক্রবার (১৪ ডিসেম্বর) রাত ৭টা ও ৮টার দিকে এসব ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নকলা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক খোরশেদ আলমসহ বিএনপির পাঁচ নেতাকে পুলিশ আটক করেছে। ঘটনার জন্য উভয়দল একে-অপরকে দায়ী করেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নকলার টালকি ইউনিয়নের রামেরকান্দি বাজারে শুক্রবার সন্ধ্যায় বিএনপি প্রার্থী ফাহিম চৌধুরীর পক্ষে একটি নির্বাচনী অফিস খোলাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এ সময় সেখানে হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে এবং বিএনপির নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করা হয়। হামলায় উভয়দলের ১৫ নেতাকর্মী আহত হন। আহতদের মধ্যে টালকি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মেগা মিয়া, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রুবেল হোসেন, তার ভাই মনির হোসেনসহ কয়েকজনকে নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

এছাড়া ইউনিয়ন বিএনপি নেতা জহিরুল হক কেশু, টালকি ইউপি চেয়ারম্যান বুলবুলসহ বিএনপির কয়েকজন নেতাকর্মীও আহত হন। সংবাদ পেয়ে নকলা থানা পুলিশ রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

অপরদিকে রাত ৮টার দিকে চর অষ্টাধর ইউনিয়নের নারায়ণখোলা বাজারে বিএনপি প্রার্থী ফাহিম চৌধুরীসহ দলীয় নেতাকর্মীরা নির্বাচনী সমাবেশ শুরুর চেষ্টা করলে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মিছিল শুরু করে। পুলিশ সংঘর্ষের আশঙ্কায় রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে উভয়পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় দৌড়াদৌড়িতে বিএনপির ১০ নেতাকর্মী আহত হন।

এদিকে নকলা বাজারে আওয়ামী লীগ কর্মীদের মিছিল থেকে বিক্ষুদ্ধ সমর্থকরা ইসিবপুর এলাকায় বিএনপি কর্মী দুলাল মিয়ার বাসার গেট ভাঙচুর করে এবং দুটি মোটরসাইকেলে আগুন জ্বালিয়ে দেয়ার ঘটনা ঘটে।

নকলা উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. রেফাজ উদ্দিন বিএনপির নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর ও হামলার জন্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও পুলিশকে দায়ী করেছেন।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়েছে আর পুলিশ আমাদের ওপর রাবার বুলেট, টিয়ারশেল ছুড়েছে। আমাদের কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছে এবং আরও কয়েকজকে পুলিশ আটক করে নিয়ে গেছে। আমরা এখন নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি।

এ বিষয়ে নকলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, টালকি ইউনিয়নের রামেরকান্দি বাজারে আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর বিএনপির লোকজন হামলা করে ১২ নেতাকর্মীকে আহত করেছে। তারা অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়। কিন্তু এখানকার মাঠ আমাদের ভালো। আমরা কোনো ধরনের সংঘাত-সংঘর্ষে জড়াতে চাই না। শান্তিপূর্ণভাবে আমরা পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে চেষ্টা করছি।

নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহনেওয়াজ বলেন, স্থানীয়ভাবে বিএনপি এবং আওয়ামী লীগের সমর্থকদের উত্তেজনা দেখা দিলে কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে। এ ঘটনায় কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনা তদন্ত করে আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।