ঢাকা ০৩:৫৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার! Logo ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতি হওয়া শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামোর সংস্কার শুরু Logo বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতির দাবিতে শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের মানববন্ধন Logo কুবি উপাচার্যের বক্তব্যের প্রমাণ দিতে শিক্ষক সমিতির সাত দিনের আল্টিমেটাম




তোমরা বঙ্গবন্ধুর আদেশ অমান্য করছো, পুলিশকে ড. কামাল

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:২৩:০৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮ ১১৭ বার পড়া হয়েছে

 

নিজস্ব প্রতিবেদক ;জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ করে বলেছেন, ‘কেউই চিরস্থায়ী নয়, আমি তোমাদের (পুলিশের) একাডেমিতে বক্তৃতায় বলেছি, এখনও বলছি কেউ বেআইনি আদেশ মানবে না।’

শুক্রবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে পল্টনে ঐক্যফ্রন্টের অস্থায়ী কার্যালয়ে আয়োজিত জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের ওপর হামলার ঘটনায় পুলিশের নিশ্চুপ ভূমিকা ও ধরপাকড় নিয়ে ড. কামাল বলেন, ‘সংবিধানে প্রথম স্বাক্ষর জাতির জনকের। তোমরা বঙ্গবন্ধুর আদেশ অমান্য করছো? জেনে রেখো কেউ চিরস্থায়ী নয়। তোমরা ৫০-৫৫ বছর চাকরি করবে, বুঝে নিও, সংবিধান ভঙ্গ করার কাজ করো না। কার আদেশে এমন কাজ করছো তা আমাকে জানাও।’

এর আগে সকালে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে ফেরার পথে ড. কামালের গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম শরিক জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রবসহ বেশ কয়েকজন আহত হন বলে জানিয়েছে দলটি।

হামলার বিষয়ে ড. কামাল বলেন, ‘আওয়ামী লীগের এমপি আসলামুল হকের গুণ্ডাবাহিনী ও কমিশনার টিপুর নেতৃত্বে গাড়িবহরে হামলা চালানো হয়। হামলায় আমার, আ স ম আব্দুর রব, জগলুল হায়দার আফ্রিকসহ ৭-৮টি গাড়িতে ভাঙচুর চালায়। হামলায় আব্দুর রবের গাড়ির চালকসহ ২৫-৩০ জন গুরুতর আহত হয়।

এ সময় শত শত পুলিশকে নীরব ভূমিকা পালন করতে দেখা যায়। আমরা লক্ষ্য করছি প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে আওয়ামী লীগ পুলিশের সহায়তায় প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় ধানের শীষের প্রার্থী-নেতাকর্মীদের ওপর হামলা, মামলা, গ্রেফতার, প্রচারণায় বাধা, ভাঙচুরের মাধ্যমে সারাদেশে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে, যা একটি অবাধ সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের অন্তরায়।’

আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারীকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘আইজিপি সাহেব আপনাকে আমি লিখিতভাবে চিঠি পাঠাবো। আপনার পুলিশদের বিষয়ে যা শুনছি তাতে আমি উদ্বিগ্ন। আপনার বিষয়ে আমার ভালো ধারণা ছিল। আমি আপনাকে আজকের ঘটনার তথ্য দেবো। ধারণা করছি যে তথ্য দেব আপনি আপনার বিশ্বস্ত লোক দিয়ে সেগুলো তদন্ত করবেন। কথা দিচ্ছি সব ধরনের সাহায্য করবো।’

তিনি বলেন, ‘চারদিকে শুধু অ্যারেস্ট অ্যারেস্ট আর অ্যারেস্ট। আমরা জানতে চাই কার আদেশে এগুলো করা হচ্ছে। আমরা প্রতিটা অ্যারেস্টের কাগজ চাই।’

ড. কামাল বলেন, ‘বুদ্ধিজীবী দিবসে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে আমাদের ওপর যে হামলা হয়েছে সেটি শহীদদের জন্য অবমাননাকর। এটি মেনে নেয়া যায় না। যারা এ হামলা করেছে তাদের আমি ভাড়াটিয়া বলবো। ওরা দুই পয়সার জন্য এ কাজ করেছে। আমি তোমাদের উদ্দেশ্যে বলছি, আমি চার পয়সা দেবো, তোমরা সরে যাও।’

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




তোমরা বঙ্গবন্ধুর আদেশ অমান্য করছো, পুলিশকে ড. কামাল

আপডেট সময় : ১২:২৩:০৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮

 

নিজস্ব প্রতিবেদক ;জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ করে বলেছেন, ‘কেউই চিরস্থায়ী নয়, আমি তোমাদের (পুলিশের) একাডেমিতে বক্তৃতায় বলেছি, এখনও বলছি কেউ বেআইনি আদেশ মানবে না।’

শুক্রবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে পল্টনে ঐক্যফ্রন্টের অস্থায়ী কার্যালয়ে আয়োজিত জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের ওপর হামলার ঘটনায় পুলিশের নিশ্চুপ ভূমিকা ও ধরপাকড় নিয়ে ড. কামাল বলেন, ‘সংবিধানে প্রথম স্বাক্ষর জাতির জনকের। তোমরা বঙ্গবন্ধুর আদেশ অমান্য করছো? জেনে রেখো কেউ চিরস্থায়ী নয়। তোমরা ৫০-৫৫ বছর চাকরি করবে, বুঝে নিও, সংবিধান ভঙ্গ করার কাজ করো না। কার আদেশে এমন কাজ করছো তা আমাকে জানাও।’

এর আগে সকালে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে ফেরার পথে ড. কামালের গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম শরিক জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রবসহ বেশ কয়েকজন আহত হন বলে জানিয়েছে দলটি।

হামলার বিষয়ে ড. কামাল বলেন, ‘আওয়ামী লীগের এমপি আসলামুল হকের গুণ্ডাবাহিনী ও কমিশনার টিপুর নেতৃত্বে গাড়িবহরে হামলা চালানো হয়। হামলায় আমার, আ স ম আব্দুর রব, জগলুল হায়দার আফ্রিকসহ ৭-৮টি গাড়িতে ভাঙচুর চালায়। হামলায় আব্দুর রবের গাড়ির চালকসহ ২৫-৩০ জন গুরুতর আহত হয়।

এ সময় শত শত পুলিশকে নীরব ভূমিকা পালন করতে দেখা যায়। আমরা লক্ষ্য করছি প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে আওয়ামী লীগ পুলিশের সহায়তায় প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় ধানের শীষের প্রার্থী-নেতাকর্মীদের ওপর হামলা, মামলা, গ্রেফতার, প্রচারণায় বাধা, ভাঙচুরের মাধ্যমে সারাদেশে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে, যা একটি অবাধ সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের অন্তরায়।’

আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারীকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘আইজিপি সাহেব আপনাকে আমি লিখিতভাবে চিঠি পাঠাবো। আপনার পুলিশদের বিষয়ে যা শুনছি তাতে আমি উদ্বিগ্ন। আপনার বিষয়ে আমার ভালো ধারণা ছিল। আমি আপনাকে আজকের ঘটনার তথ্য দেবো। ধারণা করছি যে তথ্য দেব আপনি আপনার বিশ্বস্ত লোক দিয়ে সেগুলো তদন্ত করবেন। কথা দিচ্ছি সব ধরনের সাহায্য করবো।’

তিনি বলেন, ‘চারদিকে শুধু অ্যারেস্ট অ্যারেস্ট আর অ্যারেস্ট। আমরা জানতে চাই কার আদেশে এগুলো করা হচ্ছে। আমরা প্রতিটা অ্যারেস্টের কাগজ চাই।’

ড. কামাল বলেন, ‘বুদ্ধিজীবী দিবসে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে আমাদের ওপর যে হামলা হয়েছে সেটি শহীদদের জন্য অবমাননাকর। এটি মেনে নেয়া যায় না। যারা এ হামলা করেছে তাদের আমি ভাড়াটিয়া বলবো। ওরা দুই পয়সার জন্য এ কাজ করেছে। আমি তোমাদের উদ্দেশ্যে বলছি, আমি চার পয়সা দেবো, তোমরা সরে যাও।’