ঢাকা ০৬:৪৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo শাবি ক্যাম্পাসে আন্দোলনকারীদের ছড়ানো গুজবে সয়লাব Logo সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়কে আন্দোলনকারীরা পুলিশের উপর হামলা চালালে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে Logo জবিতে আজীবন ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ Logo শাবিতে হল প্রশাসনকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে নোটিসে জোর পূর্বক সাইন আদায় Logo এবার সামনে আসছে ছাত্রলীগ কর্তৃক আন্দোলনকারীদের মারধরের আরো ঘটনা Logo আবাসিক হল ছাড়ছে শাবি শিক্ষার্থীরা Logo নিরাপত্তার স্বার্থে শাবি শিক্ষার্থীদের আইডিকার্ড সাথে রাখার আহবান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের Logo জনস্বাস্থ্যের প্রধান সাধুর যত অসাধু কর্ম: দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের অভিযোগ! Logo বিআইডব্লিউটিএ বন্দর শাখা যুগ্ম পরিচালক আলমগীরের দুর্নীতি ও ঘুষ বাণিজ্য  Logo রাজশাহীতে এটিএন বাংলার সাংবাদিক সুজাউদ্দিন ছোটনকে হয়রানিমূলক মামলায় বএিমইউজরে নিন্দা ও প্রতিবাদ




২৫ টাকার পেঁয়াজ ৫০ হয় কীভাবে?

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:০৩:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই ২০১৯ ১৭২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক; 
কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করে পেঁয়াজের দাম বাড়ানো হচ্ছে কি না- তা যাচাইয়ে বাজার মনিটরিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। কোরবানি ঈদ সামনে রেখে এক সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণ হয়ে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অথচ এ বছর দেশে পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হয়েছে। এ ছাড়া পেঁয়াজের আরেক উৎস ভারতে দাম বাড়ার তেমন কোনো খবর নেই। এ কারণে অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের সঙ্কট হওয়ার কোনো কারণ নেই।

বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) নিত্যপণ্যের বাজার পরিস্থিতি বিশেষ করে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় জরুরি বৈঠক করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। বাণিজ্য সচিবের নেতৃত্বে ওই বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে পেঁয়াজ, আদা ও রসুন ব্যবসায়ীরা অংশগ্রহণ করেন।

এ বিষয়ে বাণিজ্য সচিব মো. মফিজুল ইসলাম বলেন, ‘নিত্যপণ্য বিশেষ করে পেঁয়াজ, আদা ও রসুনের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছে। পেঁয়াজের দাম বাড়ার বিষয়টি ব্যবসায়ীদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া কেন পেঁয়াজের দাম বাড়ছে সে বিষয়টি যাচাইয়ে বাজার মনিটরিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।’

তিনি বলেন, ‘পেঁয়াজ আমদানি হয় ভারত থেকে। সেখানে কেজিতে ১-২ টাকা দাম বেড়েছে। ওই হিসাবে দেশেও এক থেকে দুই টাকা দাম বাড়ার কথা। কিন্তু ২৫ টাকার পেঁয়াজ ৫০ টাকা হয় কীভাবে?’

বাণিজ্য সচিব বলেন, ‘কারসাজি করে দাম বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। ভোক্তা স্বার্থে দেশে আইন-কানুন ও বিধিবিধান রয়েছে। উদ্দেশ্যমূলকভাবে কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টির প্রমাণ পাওয়া গেলে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেবে সরকার।’

এদিকে সরকারি বাজার নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্যমতে, প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৪৫-৫০ টাকা, আমদানিকৃত ভারতীয় পেঁয়াজ ৪০-৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে। অথচ সপ্তাহখানেক আগেও এ পেঁয়াজ ২৫-৩৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। রাজধানীর কাপ্তানবাজার, কারওয়ানবাজার ও ফকিরাপুল বাজার ঘুরে দেখা যায়, বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, পাইকারি বাজারে দাম বাড়ার কারণে খুচরায়ও বেড়েছে। তবে বাজারে পর্যাপ্ত পেঁয়াজের সরবরাহ রয়েছে।

ক্রেতাদের অভিযোগ, কোরবানির ঈদ সামনে রেখে কারসাজি করে পেঁয়াজের দাম বাড়ানো হচ্ছে। প্রতি বছর কোরবানির সময় কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করে দাম বাড়ানো হয়।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দেশে বছরে ২৪ লাখ টন পেঁয়াজের চাহিদা রয়েছে। কোরবানির ঈদে বাড়তি আরও প্রায় দুই লাখ টনের চাহিদা তৈরি হয়। মোট চাহিদার প্রায় ১৭ লাখ টন দেশে উৎপাদন হয়। বাকি সাত লাখ টন ভারতসহ অন্যান্য উৎস থেকে আমদানি করেন ব্যবসায়ীরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




২৫ টাকার পেঁয়াজ ৫০ হয় কীভাবে?

আপডেট সময় : ১১:০৩:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক; 
কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করে পেঁয়াজের দাম বাড়ানো হচ্ছে কি না- তা যাচাইয়ে বাজার মনিটরিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। কোরবানি ঈদ সামনে রেখে এক সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণ হয়ে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অথচ এ বছর দেশে পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হয়েছে। এ ছাড়া পেঁয়াজের আরেক উৎস ভারতে দাম বাড়ার তেমন কোনো খবর নেই। এ কারণে অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের সঙ্কট হওয়ার কোনো কারণ নেই।

বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) নিত্যপণ্যের বাজার পরিস্থিতি বিশেষ করে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় জরুরি বৈঠক করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। বাণিজ্য সচিবের নেতৃত্বে ওই বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে পেঁয়াজ, আদা ও রসুন ব্যবসায়ীরা অংশগ্রহণ করেন।

এ বিষয়ে বাণিজ্য সচিব মো. মফিজুল ইসলাম বলেন, ‘নিত্যপণ্য বিশেষ করে পেঁয়াজ, আদা ও রসুনের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছে। পেঁয়াজের দাম বাড়ার বিষয়টি ব্যবসায়ীদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া কেন পেঁয়াজের দাম বাড়ছে সে বিষয়টি যাচাইয়ে বাজার মনিটরিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।’

তিনি বলেন, ‘পেঁয়াজ আমদানি হয় ভারত থেকে। সেখানে কেজিতে ১-২ টাকা দাম বেড়েছে। ওই হিসাবে দেশেও এক থেকে দুই টাকা দাম বাড়ার কথা। কিন্তু ২৫ টাকার পেঁয়াজ ৫০ টাকা হয় কীভাবে?’

বাণিজ্য সচিব বলেন, ‘কারসাজি করে দাম বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। ভোক্তা স্বার্থে দেশে আইন-কানুন ও বিধিবিধান রয়েছে। উদ্দেশ্যমূলকভাবে কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টির প্রমাণ পাওয়া গেলে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেবে সরকার।’

এদিকে সরকারি বাজার নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্যমতে, প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৪৫-৫০ টাকা, আমদানিকৃত ভারতীয় পেঁয়াজ ৪০-৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে। অথচ সপ্তাহখানেক আগেও এ পেঁয়াজ ২৫-৩৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। রাজধানীর কাপ্তানবাজার, কারওয়ানবাজার ও ফকিরাপুল বাজার ঘুরে দেখা যায়, বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, পাইকারি বাজারে দাম বাড়ার কারণে খুচরায়ও বেড়েছে। তবে বাজারে পর্যাপ্ত পেঁয়াজের সরবরাহ রয়েছে।

ক্রেতাদের অভিযোগ, কোরবানির ঈদ সামনে রেখে কারসাজি করে পেঁয়াজের দাম বাড়ানো হচ্ছে। প্রতি বছর কোরবানির সময় কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করে দাম বাড়ানো হয়।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দেশে বছরে ২৪ লাখ টন পেঁয়াজের চাহিদা রয়েছে। কোরবানির ঈদে বাড়তি আরও প্রায় দুই লাখ টনের চাহিদা তৈরি হয়। মোট চাহিদার প্রায় ১৭ লাখ টন দেশে উৎপাদন হয়। বাকি সাত লাখ টন ভারতসহ অন্যান্য উৎস থেকে আমদানি করেন ব্যবসায়ীরা।