ঢাকা ০৮:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫, ৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo বটিয়াঘাটা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে দুর্নীতি ও অনিয়মে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ Logo বামনায় রাতের অন্ধকারে লোহার পুল চুরি! কর্তৃপক্ষের নীরব ভূমিকা Logo কথিত পীরের ধর্ম ব্যবসার পাশাপাশি পোল্ট্রি ফার্ম : ধ্বংসের মুখে পরিবেশ Logo নকল সিগমা লিফটে গ্রাহকরা প্রতারিত, বাড়ছে দুর্ঘটনা! Logo বিএডিসি’র আড়ালে দুর্নীতির কারখানা: গুদামরক্ষকের বিরুদ্ধে কোটি টাকার জালিয়াতির অভিযোগ Logo অবৈধ স্থাপনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) উদাসীন Logo রাজধানীতে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ও মার্কেট নিয়ে ফায়ার সার্ভিসের অবহেলা Logo হানিফ ফ্লাইওভার টোলের ১২০০ কোটি টাকা ওরিয়ন গ্রুপের পেটে! Logo ‘ফুল ভলিয়মে ভাইরাল গানে মগ্ন অন্তর্বর্তী জোট’ Logo স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে স্বৈরাচারের দোসর সৈয়দ হাবিবুরের দুর্নীতির ফিরিস্তি- পর্ব ১

নিজের ‘লিভার’ দিয়ে কলিজার টুকরা ছেলেকে বাঁচাল ‘মা’

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:৪৯:০৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৭ জুলাই ২০১৯ ২৫২ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক: মায়ের দেওয়া লিভারে এখন বেশ ভালো আছেন ছেলে সিরাতুল ইসলাম শুভ। প্রথমবারের মতো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) লিভার ট্রান্সপ্লান্ট চালু হয়েছে আর সেখানেই ২০ বছর বয়সী একজন যুবকের জটিল ও অত্যন্ত ব্যয়বহুল লিভার ট্রান্সপ্লান্ট সার্জারি সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।

শনিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডা. মিল্টন হলে এক সংবাদ সম্মেলনে লিভার ট্রান্সপ্লান্টের বিস্তারিত তুলে ধরেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া।

সংবাদ সম্মেলনে হেপাটোবিলিয়ারি, প্যানক্রিয়েটিক ও লিভার ট্রান্সপ্লান্ট সার্জারি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. জুলফিকার রহমান খান জানান, ২০ বছর বয়সী একজন যুবক সিরাতুল ইসলাম শুভ’র লিভার ট্রান্সপ্লান্ট অপারেশন করা হয়েছে।

ডা. জুলফিকার রহমান খান জানান, তার নেত্বেত্বে শল্য চিকিৎসক টিমে ছিলেন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ মোহছেন চৌধুরী, সহযোগী অধ্যাপক ডা. বিধান চন্দ্র দাস, সহকারী অধ্যাপক ডা. সাইফ উদ্দিন এবং সহকারী অধ্যাপক ডা. নূর-ই-এলাহী।

সিরাতুল ইসলাম লিভার সিরোসিসে ভুগছিলেন। ২০১৭ সালে লিভার সিরোসিস ধরা পড়লে চিকিৎসার জন্য তিনি ভারতে যান। সেখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ চিকিৎসার জন্য লিভার ট্রান্সপ্লান্ট করার মত দেন।

শুভ’র মায়ের বয়স ৪৯ বছর। তিনি তার ছেলেকে আংশিক লিভার দানে সম্মত হন। ১৫ জুন শুভকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর ২৪ জুন মায়ের কাছ থেকে আংশিক লিভার সংগ্রহ করে তার ছেলের লিভার ট্রান্সপ্লান্টের দিন ধার্য করা হয়।

পরিকল্পনা অনুযায়ী, গত ২৪ জুন ভোর ৬টা থেকে কার্যক্রম শুরু হয়। লিভার গ্রহীতার লিভার সম্পূর্ণ ফেলে দিয়ে লিভার দাতার লিভারের ডান অংশ সফলভাবে প্রতিস্থাপিত করা হয়। এই অপারেশন সম্পন্ন করতে মোট ১৬ ঘণ্টা সময় লাগে।

লিভার দাতা সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন। উনাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হচ্ছে। লিভার গ্রহীতাও বর্তমানে সুস্থ আছেন। তার ব্ল্যাড প্রেসার ও রেসপিরেশন নরমাল আছে। তিনি স্বাভাবিকভাবে খাবার খাচ্ছেন। তার বায়োকেমিক্যাল কিছু অ্যাবনরমালিটি আছে। তিনি হাই ডোজের ইমিউনো সাপ্রেশন মেডিসিন পাচ্ছেন, সেহেতু তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক কম। এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। তার প্রতিস্থাপিত লিভার কাজ শুরু করেছে, তবে পূর্ণাঙ্গভাবে কাজ করতে চার থেকে ছয় সপ্তাহ সময় লাগে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

নিজের ‘লিভার’ দিয়ে কলিজার টুকরা ছেলেকে বাঁচাল ‘মা’

আপডেট সময় : ০৭:৪৯:০৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৭ জুলাই ২০১৯

নিউজ ডেস্ক: মায়ের দেওয়া লিভারে এখন বেশ ভালো আছেন ছেলে সিরাতুল ইসলাম শুভ। প্রথমবারের মতো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) লিভার ট্রান্সপ্লান্ট চালু হয়েছে আর সেখানেই ২০ বছর বয়সী একজন যুবকের জটিল ও অত্যন্ত ব্যয়বহুল লিভার ট্রান্সপ্লান্ট সার্জারি সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।

শনিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডা. মিল্টন হলে এক সংবাদ সম্মেলনে লিভার ট্রান্সপ্লান্টের বিস্তারিত তুলে ধরেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া।

সংবাদ সম্মেলনে হেপাটোবিলিয়ারি, প্যানক্রিয়েটিক ও লিভার ট্রান্সপ্লান্ট সার্জারি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. জুলফিকার রহমান খান জানান, ২০ বছর বয়সী একজন যুবক সিরাতুল ইসলাম শুভ’র লিভার ট্রান্সপ্লান্ট অপারেশন করা হয়েছে।

ডা. জুলফিকার রহমান খান জানান, তার নেত্বেত্বে শল্য চিকিৎসক টিমে ছিলেন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ মোহছেন চৌধুরী, সহযোগী অধ্যাপক ডা. বিধান চন্দ্র দাস, সহকারী অধ্যাপক ডা. সাইফ উদ্দিন এবং সহকারী অধ্যাপক ডা. নূর-ই-এলাহী।

সিরাতুল ইসলাম লিভার সিরোসিসে ভুগছিলেন। ২০১৭ সালে লিভার সিরোসিস ধরা পড়লে চিকিৎসার জন্য তিনি ভারতে যান। সেখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ চিকিৎসার জন্য লিভার ট্রান্সপ্লান্ট করার মত দেন।

শুভ’র মায়ের বয়স ৪৯ বছর। তিনি তার ছেলেকে আংশিক লিভার দানে সম্মত হন। ১৫ জুন শুভকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর ২৪ জুন মায়ের কাছ থেকে আংশিক লিভার সংগ্রহ করে তার ছেলের লিভার ট্রান্সপ্লান্টের দিন ধার্য করা হয়।

পরিকল্পনা অনুযায়ী, গত ২৪ জুন ভোর ৬টা থেকে কার্যক্রম শুরু হয়। লিভার গ্রহীতার লিভার সম্পূর্ণ ফেলে দিয়ে লিভার দাতার লিভারের ডান অংশ সফলভাবে প্রতিস্থাপিত করা হয়। এই অপারেশন সম্পন্ন করতে মোট ১৬ ঘণ্টা সময় লাগে।

লিভার দাতা সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন। উনাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হচ্ছে। লিভার গ্রহীতাও বর্তমানে সুস্থ আছেন। তার ব্ল্যাড প্রেসার ও রেসপিরেশন নরমাল আছে। তিনি স্বাভাবিকভাবে খাবার খাচ্ছেন। তার বায়োকেমিক্যাল কিছু অ্যাবনরমালিটি আছে। তিনি হাই ডোজের ইমিউনো সাপ্রেশন মেডিসিন পাচ্ছেন, সেহেতু তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক কম। এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। তার প্রতিস্থাপিত লিভার কাজ শুরু করেছে, তবে পূর্ণাঙ্গভাবে কাজ করতে চার থেকে ছয় সপ্তাহ সময় লাগে।