কিশোরীকে ধর্ষণ, পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করার অভিযোগ!
- আপডেট সময় : ১১:৫০:১৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৬ জুলাই ২০১৯ ৭৪ বার পড়া হয়েছে
চাকরির প্রলোভনে অপহরণ, কিশোরীকে ধর্ষণ, পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করার অভিযোগ
সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি;
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে এক কিশোরীকে চাকরির প্রলোভন দিয়ে অপহরণ করে দুর্বৃত্তরা। তাকে আদমজী ইপিজেড থেকে ঢাকার উত্তর মুগদা মদিনাবাগে আবদুল জব্বারের ভাড়া বাসায় নিয়ে যায় তারা।
সেখানে নিয়ে হেলেনা বেগমের সহযোগিতায় মনির হোসেন জামাল কিশোরীটিকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে হেলেনা বেগম ও মনিরের যোগসাজশে বিভিন্ন সময়ে ওই কিশোরীকে দিয়ে পতিতাবৃত্তি করতে বাধ্য করা হয়।
ধর্ষিতার আত্মীয়ের অভিযোগের প্রেক্ষিতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক শামীম হোসেন অভিযান চালিয়ে ওই বাসা থেকে তাকে উদ্ধার করে।
এ সময় হেলেনা বেগমকে (৪২) আটক করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ। এ ঘটনায় অপহরণকারী চক্রের মূল হোতা মনির হোসেন জামালসহ (৩৮) তার সহযোগীরা পলাতক রয়েছে।
পলাতক অন্য আসামিরা হল- নানা ওরফে কারফু, পনির, নাঈম, ইমন, মাজহারুল ও দেবাশীষ। গ্রেফতার হেলেনা বেগম পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়ার উত্তর মিঠাখালী গ্রামের তাহের মৃধার মেয়ে এবং বাবুল সরদারের স্ত্রী। অপহরণকারী চক্রের মূল মনির হোসেন জামাল বরগুনার নলটোনা ইউনিয়ন পরিষদের উলা পদ্মা (বাবুগঞ্জ) গ্রামের ইউসুফের ছেলে। এ ঘটনায় ৮ জনের নাম উল্লেখ করে কিশোরীর দুলাভাই বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার রাতেই সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় অভিযোগ করেন।
কিশোরীর পরিবারের অভিযোগ, কিশোরীটি ২৫ জুন সকালে চাকরির উদ্দেশ্যে আদমজী ইপিজেড এলাকায় যায়। সেখান থেকে বেলা ১১টায় মনির চাকরি দেয়ার কথা বলে তাকে ঢাকার উত্তর মুগদা মদিনাবাগ এলাকার আবদুুল জব্বারের ভাড়া বাসায় নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শামীম হোসেন জানান, অপহরণের পর ধর্ষণ ও নিজেদের কাছে আটকে রেখে পতিতাবৃত্তির অভিযোগে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে মামলা হয়েছে।
গ্রেফতার আসামি হেলেনা বেগমকে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে শুক্রবার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে। হেলেনা বেগমসহ পলাতক আসামিরা একটি অপহরণকারী চক্র। এ চক্র চাকরিপ্রার্থী মেয়েদের কৌশলে অপহরণ করে নিজেদের হেফাজতে রেখে পতিতাবৃত্তি করায় বলে গ্রেফতার হেলেনা বেগম প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে।