ঢাকা ০৩:৩৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo বিএনপি নেতা মাহিদুর রহমান নেতৃত্বের বিস্ময় Logo স্বৈরাচারের দোসর প্রধান বিচারপতির ধর্ম ছেলে পরিচয়ে মোজাম্মেলের অধর্ম! Logo রাজধানীতে মার্কেট দখল করতে গিয়ে বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর আটক Logo স্কুলের ভেতরে নিয়মিত চলে তাশ ও জুয়া! Logo চাঁদা চাওয়ায় দাকোপে ৫ আওয়ামীলীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা Logo ভোলা জেলা ছাত্র কল্যাণ পরিষদের সভাপতি আল আমিন সম্পাদক শামসউদ্দিন Logo বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির এর উদ্যোগে দুমকিতে ক্যারিয়ার সামিট অনুষ্ঠিত Logo সওজ তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে প্রচারিত প্রকাশিত মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদ Logo বিপ্লবী গান, আবৃত্তি এবং কাওয়ালী গানে মেতেছে আশা বিশ্ববিদ্যালয় Logo ছত্রিশ টাকার নকলনবীশ প্রভাবশালী কোটিপতি!




দেশে মাদকসেবী এবং কারবারীর সংখ্যা বাড়ছে আশঙ্কাজনক হারে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৩৩:৪৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৫ জুলাই ২০১৯ ১৮৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিনিধি;
বাংলাদেশে আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে মাদকসেবী এবং ব্যবাসায়ী। এই অন্ধকার যুক্ত হচ্ছে তরুণ-তরুণী ও মধ্য বয়সীরাও।

বাংলাদেশে প্রায় ৭৫ হাজারের বেশি মাদকাসক্তরা রয়েছে। এসব মাদকাসক্তদের ৮৪ ভাগ পুরুষ ও ১৬ ভাগ নারী। বাংলাদেশে মাদক নিয়ে জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এসব তথ্য জানায় বাংলাদেশ এন্টি ড্রাগ ফেডারেশন।

এদিকে প্রতিদিন বগুড়াসহ উত্তরাঞ্চলের থানাগুলোতে মাদক সেবি এবং কারবারী আটক হচ্ছে। কিন্তু কোনোভাবেই এদের নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছে না আইনশৃঙ্খলাবাহিনী।

বগুড়া জেলা পুলিশ সূত্রে পাওয়া তথ্য মতে, ২০১৫ সাল থেকে ২০১৯ সালের মে পর্যন্ত সাড়ে চার বছরে বগুড়ায় মাদক মামলা হয়েছে ১০ হাজার ৩০৭টি। এসব মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছে ১৪ হাজার ৩৭২ জন।

বগুড়া জেলা প্রশাসক ফয়েজ আহাম্মদ বলেন, তরুণদের নিষিদ্ধের প্রতি আকর্ষণ বেশি থাকে। পারিবারিক এবং সামাজিক ভাবে সচেতনতা বৃদ্ধি করলে মাদকের হাত থেকে যুব সমাজকে রক্ষা করা যাবে।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে মাদক বিভিন্ন রুটে প্রবেশ করে। ফেনসিডিল আসে ভারত থেকে। বাংলাদেশের অসংখ্য জায়গায় ভারতীয় সীমানা আছে। এগুলো সীমান্ত ব্যবহার করেই মাদক কারবারিরা দেশে ফেনসিডিল আনছে। তাছাড়া মিয়ানমার থেকে আসছে ইয়াবা। এসব মাদকদ্রব্য আকারে ছোট, সহজেই বহনযোগ্য। ফলে, পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়েই তারা এসব নিয়ে আসছে।

এসব মাদক যাদের দ্বারা বহন করা হচ্ছে তারা একান্তই ছিন্নমূল মানুষ। ফলে পুলিশের হাতে এসব লোকজনই বেশি ধরা পড়ছে। আড়ালে থেকে যাচ্ছে আসল ব্যবসায়ীরা।

পারিবারিক সচেতনার কথা জোর দিয়ে বগুড়া সদর থানার ওসি (তদন্ত) রেজাউল করিম রেজা বলেন, পরিবার থেকে মাদক বিষয়ে আরো বেশি সচেতন হতে হবে। সন্তান কি করছে, কাদের সঙ্গে ঘুরছে, এসব বিষয় পারিবারিকভাবে নজর রাখতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




দেশে মাদকসেবী এবং কারবারীর সংখ্যা বাড়ছে আশঙ্কাজনক হারে

আপডেট সময় : ১০:৩৩:৪৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৫ জুলাই ২০১৯

নিজস্ব প্রতিনিধি;
বাংলাদেশে আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে মাদকসেবী এবং ব্যবাসায়ী। এই অন্ধকার যুক্ত হচ্ছে তরুণ-তরুণী ও মধ্য বয়সীরাও।

বাংলাদেশে প্রায় ৭৫ হাজারের বেশি মাদকাসক্তরা রয়েছে। এসব মাদকাসক্তদের ৮৪ ভাগ পুরুষ ও ১৬ ভাগ নারী। বাংলাদেশে মাদক নিয়ে জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এসব তথ্য জানায় বাংলাদেশ এন্টি ড্রাগ ফেডারেশন।

এদিকে প্রতিদিন বগুড়াসহ উত্তরাঞ্চলের থানাগুলোতে মাদক সেবি এবং কারবারী আটক হচ্ছে। কিন্তু কোনোভাবেই এদের নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছে না আইনশৃঙ্খলাবাহিনী।

বগুড়া জেলা পুলিশ সূত্রে পাওয়া তথ্য মতে, ২০১৫ সাল থেকে ২০১৯ সালের মে পর্যন্ত সাড়ে চার বছরে বগুড়ায় মাদক মামলা হয়েছে ১০ হাজার ৩০৭টি। এসব মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছে ১৪ হাজার ৩৭২ জন।

বগুড়া জেলা প্রশাসক ফয়েজ আহাম্মদ বলেন, তরুণদের নিষিদ্ধের প্রতি আকর্ষণ বেশি থাকে। পারিবারিক এবং সামাজিক ভাবে সচেতনতা বৃদ্ধি করলে মাদকের হাত থেকে যুব সমাজকে রক্ষা করা যাবে।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে মাদক বিভিন্ন রুটে প্রবেশ করে। ফেনসিডিল আসে ভারত থেকে। বাংলাদেশের অসংখ্য জায়গায় ভারতীয় সীমানা আছে। এগুলো সীমান্ত ব্যবহার করেই মাদক কারবারিরা দেশে ফেনসিডিল আনছে। তাছাড়া মিয়ানমার থেকে আসছে ইয়াবা। এসব মাদকদ্রব্য আকারে ছোট, সহজেই বহনযোগ্য। ফলে, পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়েই তারা এসব নিয়ে আসছে।

এসব মাদক যাদের দ্বারা বহন করা হচ্ছে তারা একান্তই ছিন্নমূল মানুষ। ফলে পুলিশের হাতে এসব লোকজনই বেশি ধরা পড়ছে। আড়ালে থেকে যাচ্ছে আসল ব্যবসায়ীরা।

পারিবারিক সচেতনার কথা জোর দিয়ে বগুড়া সদর থানার ওসি (তদন্ত) রেজাউল করিম রেজা বলেন, পরিবার থেকে মাদক বিষয়ে আরো বেশি সচেতন হতে হবে। সন্তান কি করছে, কাদের সঙ্গে ঘুরছে, এসব বিষয় পারিবারিকভাবে নজর রাখতে হবে।