ঢাকা ০৭:১৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo গণপূর্ত প্রধান প্রকৌশলীর গাড়ি চাপায় পিষ্ট সহকারী প্রকৌশলী -উত্তাল গণপূর্ত Logo শাবিপ্রবির বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ Logo সওজের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী নাহিনুরের সীমাহীন সম্পদ ও অনিয়ম -পর্ব-০১ Logo তামাক সেবনের আলাদা কক্ষ বানালেন গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী: রয়েছে দুর্নীতির পাহাড়সম অভিযোগ! Logo দেশের সর্বোচ্চ আদালতকে বৃদ্ধাঙ্গুলি: কালবে সর্বোচ্চ পদ দখলে রেখেছে আগস্টিন! Logo আইআইএফসি ও মার্কটেল বাংলাদেশ’র মধ্যে কৌশলগত সহযোগিতা ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর Logo ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তর পরিদর্শনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী Logo সর্বজনীন পেনশন প্রত্যাহারে শাবি শিক্ষক সমিতি মৌন মিছিল ও কালোব্যাজ ধারণ Logo শাবিপ্রবিতে কুমিল্লা স্টুডেন্টস এসোসিয়েশনের নবীনবরণ অনুষ্ঠিত Logo শাবিপ্রবি কেন্দ্রে সুষ্ঠভাবে গুচ্ছভর্তির তিন ইউনিটের পরীক্ষা সম্পন্ন




‘বন্দুকযুদ্ধে’ রোহিঙ্গাসহ নিহত ২

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:২৫:৪৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ জুন ২০১৯ ৮৫ বার পড়া হয়েছে

জেলা প্রতিনিধিঃ
কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এক রোহিঙ্গাসহ দু’জন নিহত হয়েছেন। পুলিশের দাবি নিহতরা মানবপাচার মামলার পলাতক আসামি। শনিবার দিনগত রাত ১টার দিকে টেকনাফ উপজেলার সাবরাং কাটাবুনিয়া নৌকাঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে ২টি এলজি, শর্টগানের ১১টি তাজা গুলি ও ১৮টি খালি খোসা উদ্ধার করা হয়েছে।

নিহতরা হলেন, টেকনাফ পৌরসভার নাইট্যংপাড়ার বাসিন্দা মৃত রশিদ আহমদের ছেলে মোহাম্মদ রুবেল (২৩) ও উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের বি-ব্লকের বাসিন্দা হাবিব উল্লাহর ছেলে উমর ফারুক (১৯)।

টেকনাফ থানা পুলিশের ওসি প্রদীপ কুমার দাশ জানান, শনিবার রাতে পলাতক আসামি ধরতে পুলিশের একটি দল উপজেলার সাবরাং কাটাবুনিয়া নৌকাঘাট এলাকায় পৌঁছায়। সেখানে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় মানবপাচারকারী দলের সদস্যরা। এ সময় পুলিশও পাল্টা গুলি চালালে কয়েকজন পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দু’জনকে উদ্ধার করা হয়।

এ সময় পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) নুরুল ইসলাম, কনস্টেবল মো. মহিউদ্দিন ও মো. শামীম রেজা আহত হন। তাদের উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আশঙ্কাজনক অবস্থায় গুলিবিদ্ধ দুজনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেন। তবে আহত পুলিশের তিন সদস্যকে সেখানেই চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

পরে গুলিবিদ্ধ দুজনকে সদর হাসপাতালে নেয়ার পথে তারা মারা যান। মরদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

ওসি আরও জানান, নিহত দুজনের বিরুদ্ধে ৪৯ জন রোহিঙ্গাকে পাচারের অভিযোগে মামলা রয়েছে। সেই মামলায় তারা পলাতক আসামি ছিলেন। রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির থেকে রোহিঙ্গাদের কৌশলে মালয়েশিয়া পাঠানোর কথা বলে টাকা-পয়সা আত্মসাৎ করছিলেন তারা।

বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় পৃথক মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানিয়েছেন টেকনাফ থানা পুলিশের ওসি প্রদীপ কুমার দাশ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




‘বন্দুকযুদ্ধে’ রোহিঙ্গাসহ নিহত ২

আপডেট সময় : ১০:২৫:৪৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ জুন ২০১৯

জেলা প্রতিনিধিঃ
কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এক রোহিঙ্গাসহ দু’জন নিহত হয়েছেন। পুলিশের দাবি নিহতরা মানবপাচার মামলার পলাতক আসামি। শনিবার দিনগত রাত ১টার দিকে টেকনাফ উপজেলার সাবরাং কাটাবুনিয়া নৌকাঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে ২টি এলজি, শর্টগানের ১১টি তাজা গুলি ও ১৮টি খালি খোসা উদ্ধার করা হয়েছে।

নিহতরা হলেন, টেকনাফ পৌরসভার নাইট্যংপাড়ার বাসিন্দা মৃত রশিদ আহমদের ছেলে মোহাম্মদ রুবেল (২৩) ও উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের বি-ব্লকের বাসিন্দা হাবিব উল্লাহর ছেলে উমর ফারুক (১৯)।

টেকনাফ থানা পুলিশের ওসি প্রদীপ কুমার দাশ জানান, শনিবার রাতে পলাতক আসামি ধরতে পুলিশের একটি দল উপজেলার সাবরাং কাটাবুনিয়া নৌকাঘাট এলাকায় পৌঁছায়। সেখানে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় মানবপাচারকারী দলের সদস্যরা। এ সময় পুলিশও পাল্টা গুলি চালালে কয়েকজন পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দু’জনকে উদ্ধার করা হয়।

এ সময় পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) নুরুল ইসলাম, কনস্টেবল মো. মহিউদ্দিন ও মো. শামীম রেজা আহত হন। তাদের উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আশঙ্কাজনক অবস্থায় গুলিবিদ্ধ দুজনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেন। তবে আহত পুলিশের তিন সদস্যকে সেখানেই চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

পরে গুলিবিদ্ধ দুজনকে সদর হাসপাতালে নেয়ার পথে তারা মারা যান। মরদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

ওসি আরও জানান, নিহত দুজনের বিরুদ্ধে ৪৯ জন রোহিঙ্গাকে পাচারের অভিযোগে মামলা রয়েছে। সেই মামলায় তারা পলাতক আসামি ছিলেন। রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির থেকে রোহিঙ্গাদের কৌশলে মালয়েশিয়া পাঠানোর কথা বলে টাকা-পয়সা আত্মসাৎ করছিলেন তারা।

বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় পৃথক মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানিয়েছেন টেকনাফ থানা পুলিশের ওসি প্রদীপ কুমার দাশ।