ঢাকা ১০:০৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার! Logo ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতি হওয়া শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামোর সংস্কার শুরু Logo বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতির দাবিতে শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের মানববন্ধন Logo কুবি উপাচার্যের বক্তব্যের প্রমাণ দিতে শিক্ষক সমিতির সাত দিনের আল্টিমেটাম




চিকন বাঁশের এক সাঁকোতেই ভরসা ৫০ হাজার মানুষের

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৫৮:৫০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ জুন ২০১৯ ১২৬ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিনিধি; 
ছোট ফেনী নদীর ওপর প্রায় ৩শ ফুট লম্বা একটি নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো। এর ওপর দিয়েই ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছেন শিক্ষার্থীসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষ।

ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার সিন্দুরপুর ইউনিয়নের উত্তর কৈখালী ও সেকান্দরপুর, ফেনী সদর উপজেলা শর্শদী ইউনিয়নের উত্তর আবুপুর এবং কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আলকরা ইউনিয়নের দক্ষিণ বান্দেরজলা গ্রামের সীমান্ত এলাকায় এই সাঁকোর অবস্থান। বিকল্প না থাকায় এলাকার ৫০ হাজার মানুষ এই সাঁকো ব্যবহারে বাধ্য হচ্ছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সাঁকোর ওপর দিয়ে দাগনভূঞা উপজেলার সিন্দুরপুর ইউনিয়নের উত্তর কৈখালী, দক্ষিণ কৈখালী, কৌশল্যা, নারায়ণপুর, সাদেকপুর, সেকান্দরপুর, ফেনী সদর উপজেলার শর্শদী ইউনিয়নের উত্তর আবুপুর, দক্ষিণ আবুপুর, এলাহিগঞ্জ, কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আলকরা ইউনিয়নের বাকগ্রাম, দক্ষিণ বান্দেরজলা, উত্তর বান্দেরজলা, আলকরা, ধোপাখিলা, নারায়ণকুরি এবং গুণবতী ইউনিয়নের আকদিয়া, চাঁপালিয়া পাড়া, বৈধড়া, খাডরা, গুণবতী গ্রামের মানুষ চলাচল করে থাকে।

স্থানীয় লোকজন বলেন, সাঁকোর জায়গায় সেতু নির্মাণ করা হলে কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের বক্সগঞ্জ এলাকার মানুষও সেতুটি ব্যবহার করে সহজে ফেনী যাতায়াত করতে পারবে।

উত্তর সেকান্দরপুর গ্রামের মো. আলী হোসেন বলেন, প্রতিবছর বর্ষার সময় পাহাড়ি ঢলের তোড়ে নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো ভেসে যায়। বর্ষা শেষে আবার আশপাশের গ্রামের লোকজন চাঁদা তুলে সাঁকো নির্মাণ করে। এভাবেই চলছে যুগের পর যুগ।

ফেনী সরকারি কলেজের ছাত্র শরিফ উল্লাহ বলেন, অনেকে ভয়ে সাঁকোর ওপর দিয়ে চলাচল না করে নৌকায় নদী পার হয়। নদী পারাপারে জনপ্রতি দিতে হয় পাঁচ টাকা করে। দরিদ্র লোকজন বাধ্য হয়ে সাঁকো ব্যবহার করে।

নৌকার মাঝি রুস্তম আলী (৭০) ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, ভোটের সময় নেতারা বড় গলায় বলেন, এবার সেতু হবেই। কিন্তু ভোটের পর তাদের কোনো খবর থাকে না।

সিন্দুরপুর ইউনিয় পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. নুর নবী বলেন, ওই সাঁকোর জায়গায় সেতু নির্মাণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বরাবরে কয়েকবার আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। ওই ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, গত বর্ষায় সাঁকো থেকে পড়ে সেকান্দরপুর ও উত্তর কৈখালী গ্রামের দু’টি শিশু মারা গেছে।

দাগনভূঞা উপজেলা চেয়ারম্যান দিদারুল কবির রতন বলেন, তিনি বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে শুনেছেন। জেলা পরিষদ ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সেখানে সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

ফেনী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজ আহম্মদ চৌধুরী বলেন, এতো বড় সেতু নির্মাণের জন্য বাজেট জেলা পরিষদের থাকে না। তবু বিষয়টি নিয়ে তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




চিকন বাঁশের এক সাঁকোতেই ভরসা ৫০ হাজার মানুষের

আপডেট সময় : ০৯:৫৮:৫০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ জুন ২০১৯

নিজস্ব প্রতিনিধি; 
ছোট ফেনী নদীর ওপর প্রায় ৩শ ফুট লম্বা একটি নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো। এর ওপর দিয়েই ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছেন শিক্ষার্থীসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষ।

ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার সিন্দুরপুর ইউনিয়নের উত্তর কৈখালী ও সেকান্দরপুর, ফেনী সদর উপজেলা শর্শদী ইউনিয়নের উত্তর আবুপুর এবং কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আলকরা ইউনিয়নের দক্ষিণ বান্দেরজলা গ্রামের সীমান্ত এলাকায় এই সাঁকোর অবস্থান। বিকল্প না থাকায় এলাকার ৫০ হাজার মানুষ এই সাঁকো ব্যবহারে বাধ্য হচ্ছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সাঁকোর ওপর দিয়ে দাগনভূঞা উপজেলার সিন্দুরপুর ইউনিয়নের উত্তর কৈখালী, দক্ষিণ কৈখালী, কৌশল্যা, নারায়ণপুর, সাদেকপুর, সেকান্দরপুর, ফেনী সদর উপজেলার শর্শদী ইউনিয়নের উত্তর আবুপুর, দক্ষিণ আবুপুর, এলাহিগঞ্জ, কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আলকরা ইউনিয়নের বাকগ্রাম, দক্ষিণ বান্দেরজলা, উত্তর বান্দেরজলা, আলকরা, ধোপাখিলা, নারায়ণকুরি এবং গুণবতী ইউনিয়নের আকদিয়া, চাঁপালিয়া পাড়া, বৈধড়া, খাডরা, গুণবতী গ্রামের মানুষ চলাচল করে থাকে।

স্থানীয় লোকজন বলেন, সাঁকোর জায়গায় সেতু নির্মাণ করা হলে কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের বক্সগঞ্জ এলাকার মানুষও সেতুটি ব্যবহার করে সহজে ফেনী যাতায়াত করতে পারবে।

উত্তর সেকান্দরপুর গ্রামের মো. আলী হোসেন বলেন, প্রতিবছর বর্ষার সময় পাহাড়ি ঢলের তোড়ে নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো ভেসে যায়। বর্ষা শেষে আবার আশপাশের গ্রামের লোকজন চাঁদা তুলে সাঁকো নির্মাণ করে। এভাবেই চলছে যুগের পর যুগ।

ফেনী সরকারি কলেজের ছাত্র শরিফ উল্লাহ বলেন, অনেকে ভয়ে সাঁকোর ওপর দিয়ে চলাচল না করে নৌকায় নদী পার হয়। নদী পারাপারে জনপ্রতি দিতে হয় পাঁচ টাকা করে। দরিদ্র লোকজন বাধ্য হয়ে সাঁকো ব্যবহার করে।

নৌকার মাঝি রুস্তম আলী (৭০) ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, ভোটের সময় নেতারা বড় গলায় বলেন, এবার সেতু হবেই। কিন্তু ভোটের পর তাদের কোনো খবর থাকে না।

সিন্দুরপুর ইউনিয় পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. নুর নবী বলেন, ওই সাঁকোর জায়গায় সেতু নির্মাণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বরাবরে কয়েকবার আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। ওই ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, গত বর্ষায় সাঁকো থেকে পড়ে সেকান্দরপুর ও উত্তর কৈখালী গ্রামের দু’টি শিশু মারা গেছে।

দাগনভূঞা উপজেলা চেয়ারম্যান দিদারুল কবির রতন বলেন, তিনি বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে শুনেছেন। জেলা পরিষদ ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সেখানে সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

ফেনী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজ আহম্মদ চৌধুরী বলেন, এতো বড় সেতু নির্মাণের জন্য বাজেট জেলা পরিষদের থাকে না। তবু বিষয়টি নিয়ে তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন।