ঢাকা ১১:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo শাবিপ্রবিতে সুষ্ঠভাবে গুচ্ছভুক্ত ‘খ’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন Logo গুচ্ছ খ-ইউনিট ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষা উপকরণ ও সুপেয় পানি দিয়ে শাবি ছাত্রলীগের সহযোগিতা Logo মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে প্রতিষ্ঠিত মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি হবে সত্যিকারের গ্রীন ক্যাম্পাসঃ ভিসি মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo প্রতারণাচক্র থেকে সাবধান থাকতে আহবান জানিয়েছেন শাবি উপাচার্য Logo শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্বোধনী কাজে সর্বদা সাপোর্ট থাকবে; শাবি উপাচার্য Logo জবি শিক্ষককে হেনস্থা, গুরু পাপে লঘু দণ্ড Logo কুবিতে ত্রিমুখী সংঘর্ষ, মারধরের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য: ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক




‘অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রার অনুকরণীয় মডেল বাংলাদেশ’

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:১০:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ ডিসেম্বর ২০১৮ ৯৫ বার পড়া হয়েছে

 

নিজস প্রতিবেদকঃ আর্থসামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশ এখন অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রার এক অনুকরণীয় মডেল বলে মন্তব্য করেছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।

মঙ্গলবার (১১ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিসিক মিলনায়তনে তিন দিনব্যাপী বিজয় মেলা-২০১৮ উদ্বোধনকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আমু বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রাজ্ঞ নেতৃত্বে বাংলাদেশ সহস্রাব্দের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পর এসডিজি অর্জনের পথে দ্রুত সাফল্যের সিঁড়ি বেয়ে এগিয়ে চলেছে। এ অর্জনের পেছনে সমৃদ্ধ শিল্পখাত ইতিবাচক অবদান রাখছে।

বিগত দশ বছরে দেশের শিল্প, সেবা ও কৃষিসহ সবখাতে উৎপাদনশীলতা ক্রমেই বেড়ে চলেছে।

ইতোমধ্যে জিডিপিতে শিল্পখাতের অবদান ৩৩ দশমিক ৭১ শতাংশে উন্নীত হয়েছে, যা ২০০৭-১৮ অর্থবছরে ছিল ১৭ দশমিক ৭৭ শতাংশ।

তিনি বলেন, আর্থ সামাজিক অগ্রগতির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে অনেক এগিয়ে।

তিনি বিগত দশ বছরের তুলনামূলক সাফল্য উল্লেখ করে বলেন, ২০০৫-০৬ অর্থবছরে দেশের মাথাপিছু আয় ছিল ৫৪৩ মার্কিন ডলার। এটি ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ১৭৫১ মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। একই সময় দারিদ্র্যের হার ৪১.৫ শতাংশ থেকে কমে ২১.৮ শতাংশ, প্রবৃদ্ধির হার ৫.৪ শতাংশ থেকে বেড়ে ৭.৮৬ শতাংশ, রফতানির পরিমাণ ১০.৫ বিলিয়ন ডলার থেকে বেড়ে ৩৬.৬৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩.৪৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে বেড়ে ৩৩.৫৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, জিডিপির আকার চার লাখ ৮২ হাজার ৩৩৭ কোটি টাকা থেকে বেড়ে প্রায় ২০ লাখ কোটি টাকা, বৈদেশিক বিনিয়োগ ০.৭৪৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে বেড়ে প্রায় তিন বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। পাশাপাশি বাজেটের আকার ৬১ হাজার ৫৭ কোটি টাকা বেড়ে চার লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকা, এডিপির আকার ১৯ হাজার কোটি টাকা থেকে বেড়ে এক লাখ ৭৩ হাজার কোটি টাকা, সামাজিক নিরাপত্তাখাতে বরাদ্দ ৩৭৩ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ৬৪ হাজার ৬৫৬ কোটি টাকা, দানাদার শস্য উৎপাদন এক কোটি ৮০ লাখ মেট্রিক টন থেকে বেড়ে ৪.২ কোটি মেট্রিক টন, বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা চার হাজার ৯০০ মেগাওয়াট থেকে বেড়ে ২০ হাজার মেগাওয়াট এবং মুদ্রাস্ফীতির পরিমাণ ৭.১৬ শতাংশ থেকে কমে ৫.১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শিল্প মন্ত্রণালয়েল ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. আবদুল হালিম। এ সময় বিসিক চেয়ারম্যান মুস্তাক হাসান মোহাম্মদ ইফতেখার উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, তিন দিনব্যাপী আয়োজিত এ মেলা আগামী ১৩ ডিসেম্বর শেষ হবে। এতে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান নিজ নিজ পণ্য, প্রযুক্তি ও সেবা প্রদর্শন করছে। সবার জন্য উন্মুক্ত এ মেলা প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




‘অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রার অনুকরণীয় মডেল বাংলাদেশ’

আপডেট সময় : ১২:১০:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ ডিসেম্বর ২০১৮

 

নিজস প্রতিবেদকঃ আর্থসামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশ এখন অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রার এক অনুকরণীয় মডেল বলে মন্তব্য করেছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।

মঙ্গলবার (১১ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিসিক মিলনায়তনে তিন দিনব্যাপী বিজয় মেলা-২০১৮ উদ্বোধনকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আমু বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রাজ্ঞ নেতৃত্বে বাংলাদেশ সহস্রাব্দের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পর এসডিজি অর্জনের পথে দ্রুত সাফল্যের সিঁড়ি বেয়ে এগিয়ে চলেছে। এ অর্জনের পেছনে সমৃদ্ধ শিল্পখাত ইতিবাচক অবদান রাখছে।

বিগত দশ বছরে দেশের শিল্প, সেবা ও কৃষিসহ সবখাতে উৎপাদনশীলতা ক্রমেই বেড়ে চলেছে।

ইতোমধ্যে জিডিপিতে শিল্পখাতের অবদান ৩৩ দশমিক ৭১ শতাংশে উন্নীত হয়েছে, যা ২০০৭-১৮ অর্থবছরে ছিল ১৭ দশমিক ৭৭ শতাংশ।

তিনি বলেন, আর্থ সামাজিক অগ্রগতির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে অনেক এগিয়ে।

তিনি বিগত দশ বছরের তুলনামূলক সাফল্য উল্লেখ করে বলেন, ২০০৫-০৬ অর্থবছরে দেশের মাথাপিছু আয় ছিল ৫৪৩ মার্কিন ডলার। এটি ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ১৭৫১ মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। একই সময় দারিদ্র্যের হার ৪১.৫ শতাংশ থেকে কমে ২১.৮ শতাংশ, প্রবৃদ্ধির হার ৫.৪ শতাংশ থেকে বেড়ে ৭.৮৬ শতাংশ, রফতানির পরিমাণ ১০.৫ বিলিয়ন ডলার থেকে বেড়ে ৩৬.৬৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩.৪৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে বেড়ে ৩৩.৫৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, জিডিপির আকার চার লাখ ৮২ হাজার ৩৩৭ কোটি টাকা থেকে বেড়ে প্রায় ২০ লাখ কোটি টাকা, বৈদেশিক বিনিয়োগ ০.৭৪৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে বেড়ে প্রায় তিন বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। পাশাপাশি বাজেটের আকার ৬১ হাজার ৫৭ কোটি টাকা বেড়ে চার লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকা, এডিপির আকার ১৯ হাজার কোটি টাকা থেকে বেড়ে এক লাখ ৭৩ হাজার কোটি টাকা, সামাজিক নিরাপত্তাখাতে বরাদ্দ ৩৭৩ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ৬৪ হাজার ৬৫৬ কোটি টাকা, দানাদার শস্য উৎপাদন এক কোটি ৮০ লাখ মেট্রিক টন থেকে বেড়ে ৪.২ কোটি মেট্রিক টন, বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা চার হাজার ৯০০ মেগাওয়াট থেকে বেড়ে ২০ হাজার মেগাওয়াট এবং মুদ্রাস্ফীতির পরিমাণ ৭.১৬ শতাংশ থেকে কমে ৫.১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শিল্প মন্ত্রণালয়েল ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. আবদুল হালিম। এ সময় বিসিক চেয়ারম্যান মুস্তাক হাসান মোহাম্মদ ইফতেখার উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, তিন দিনব্যাপী আয়োজিত এ মেলা আগামী ১৩ ডিসেম্বর শেষ হবে। এতে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান নিজ নিজ পণ্য, প্রযুক্তি ও সেবা প্রদর্শন করছে। সবার জন্য উন্মুক্ত এ মেলা প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে।