ঢাকা ০২:৩২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo শাবিপ্রবিতে সুষ্ঠভাবে গুচ্ছভুক্ত ‘খ’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন Logo গুচ্ছ খ-ইউনিট ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষা উপকরণ ও সুপেয় পানি দিয়ে শাবি ছাত্রলীগের সহযোগিতা Logo মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে প্রতিষ্ঠিত মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি হবে সত্যিকারের গ্রীন ক্যাম্পাসঃ ভিসি মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo প্রতারণাচক্র থেকে সাবধান থাকতে আহবান জানিয়েছেন শাবি উপাচার্য Logo শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্বোধনী কাজে সর্বদা সাপোর্ট থাকবে; শাবি উপাচার্য Logo জবি শিক্ষককে হেনস্থা, গুরু পাপে লঘু দণ্ড Logo কুবিতে ত্রিমুখী সংঘর্ষ, মারধরের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য: ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক




পাকিস্তানিদের ভিসা বন্ধ করল বাংলাদেশ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:২৩:৫৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মে ২০১৯ ৫৯ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক |

কূটনৈতিক সম্পর্ক বিপর্যয়ের মুখে এবার পাকিস্তানিদের ভিসা দেওয়া বন্ধ করে দিল বাংলাদেশ। সোমবার এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানিয়েছে পাকিস্তানে বাংলাদেশ হাইকমিশনের একটি সূত্র।

সূত্রটি জানায়, চার মাস ধরে পাকিস্তানে বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সেলর ( প্রেস) ইকবাল হোসাইনের ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন ঝুলিয়ে রাখার প্রেক্ষিতে জরুরি ভিত্তিতে এমন কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ দূতাবাসের একজন কর্মকর্তা বলেন, এ বছরের জানুয়ারি মাসে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করেন ইকবাল হোসাইন। কিন্তু পাকিস্তান কর্তৃপক্ষের কোনো সাড়া মেলেনি।

গত ৯ জানুয়ারি পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন জমা দেন ইকবাল।

গত বছরের নভেম্বর থেকে দূতাবাসে ভিসা অফিসার পদটি খালি রয়েছে। ইকবাল হোসাইন তার বর্তমান দায়িত্বের সঙ্গে অতিরিক্ত হিসেবে সে বিভাগের দায়িত্বও পালন করছেন।

সূত্র থেকে জানা যায়, প্রতিবাদ হিসেবে গত এক সপ্তাহ ধরে ইকবাল হোসাইন পাকিস্তানিদের ভিসা দেওয়া বন্ধ রেখেছেন। এটা কোনো সরকারি ঘোষণার মাধ্যমে বন্ধ নয়।

মেয়ের সঙ্গে ইসলামাবাদে বসবাস করছেন ইকবাল। ভিসা না পাওয়ায় তার তার স্ত্রী ও ছেলে ঢাকাতে আছেন।

অপর একটি কূটনৈতিক সূত্র জানায়, ভিসা নেওয়ার জন্য ইকবালের স্ত্রী ও ছেলেকে পাকিস্তান হাই কমিশনে ডেকে আনা হয়। কিন্তু সেখানে যাওয়ার পরে এক ঘণ্টার বেশি অপেক্ষা করিয়ে তাদের পরে আসতে বলা হয়। তিনবার তাদের সঙ্গে একই ঘটনা ঘটে।

গত ৩০ মার্চ ইকবালের ভিসা মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। তবে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে ভিসার মেয়াদ বাড়ানো হবে বলে বারবার আশ্বাস দেওয়া হলেও তা কার্যকর করা হয় নি। এরই প্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




পাকিস্তানিদের ভিসা বন্ধ করল বাংলাদেশ

আপডেট সময় : ১১:২৩:৫৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মে ২০১৯

অনলাইন ডেস্ক |

কূটনৈতিক সম্পর্ক বিপর্যয়ের মুখে এবার পাকিস্তানিদের ভিসা দেওয়া বন্ধ করে দিল বাংলাদেশ। সোমবার এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানিয়েছে পাকিস্তানে বাংলাদেশ হাইকমিশনের একটি সূত্র।

সূত্রটি জানায়, চার মাস ধরে পাকিস্তানে বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সেলর ( প্রেস) ইকবাল হোসাইনের ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন ঝুলিয়ে রাখার প্রেক্ষিতে জরুরি ভিত্তিতে এমন কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ দূতাবাসের একজন কর্মকর্তা বলেন, এ বছরের জানুয়ারি মাসে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করেন ইকবাল হোসাইন। কিন্তু পাকিস্তান কর্তৃপক্ষের কোনো সাড়া মেলেনি।

গত ৯ জানুয়ারি পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন জমা দেন ইকবাল।

গত বছরের নভেম্বর থেকে দূতাবাসে ভিসা অফিসার পদটি খালি রয়েছে। ইকবাল হোসাইন তার বর্তমান দায়িত্বের সঙ্গে অতিরিক্ত হিসেবে সে বিভাগের দায়িত্বও পালন করছেন।

সূত্র থেকে জানা যায়, প্রতিবাদ হিসেবে গত এক সপ্তাহ ধরে ইকবাল হোসাইন পাকিস্তানিদের ভিসা দেওয়া বন্ধ রেখেছেন। এটা কোনো সরকারি ঘোষণার মাধ্যমে বন্ধ নয়।

মেয়ের সঙ্গে ইসলামাবাদে বসবাস করছেন ইকবাল। ভিসা না পাওয়ায় তার তার স্ত্রী ও ছেলে ঢাকাতে আছেন।

অপর একটি কূটনৈতিক সূত্র জানায়, ভিসা নেওয়ার জন্য ইকবালের স্ত্রী ও ছেলেকে পাকিস্তান হাই কমিশনে ডেকে আনা হয়। কিন্তু সেখানে যাওয়ার পরে এক ঘণ্টার বেশি অপেক্ষা করিয়ে তাদের পরে আসতে বলা হয়। তিনবার তাদের সঙ্গে একই ঘটনা ঘটে।

গত ৩০ মার্চ ইকবালের ভিসা মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। তবে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে ভিসার মেয়াদ বাড়ানো হবে বলে বারবার আশ্বাস দেওয়া হলেও তা কার্যকর করা হয় নি। এরই প্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।