ঢাকা ১১:৫৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo জবি শিক্ষককে হেনস্থা, গুরু পাপে লঘু দণ্ড Logo কুবিতে ত্রিমুখী সংঘর্ষ, মারধরের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য: ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ




স্বামী গৃহকর্মীকে বিয়ে করায় আইনজীবী স্ত্রীর আত্মহত্যা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৪৫:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ মে ২০১৯ ৮২ বার পড়া হয়েছে

জেলা প্রতিনিধি;
স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ের খবরে মাগুরায় বিষপানে সাবিকুন্নাহার রূপা (৩২) নামে এক নারী আইনজীবী আত্মহত্যা করেছেন। সোমবার সকালে কীটনাশক পান করে আত্মহত্যা করেন তিনি।

রূপার বড় ভাই মইনুল হোসেন অপু বলেন, মাগুরা শহরের পারনান্দুয়ালী এলাকার বাসিন্দা আব্দুর রহমান মুন্সীর ছেলে তমাল মাহমুদের সঙ্গে ১২ বছর আগে রূপার বিয়ে হয়। বিয়ের পর তারা ভালোই ছিল। সম্প্রতি রূপার স্বামী তমাল গোপনে গৃহকর্মীকে বিয়ে করে। বিষয়টি জানতে পারে রূপা। বৃহস্পতিবার রাতে রূপা আমাকে মোবাইলে ফোন করে জানায় সে খুব বিপদের মধ্যে আছে। আমাকে শুক্রবার সকালে মাগুরা আসতে বলে। ঘূর্ণিঝড় ফণীর কারণে শুক্রবারে আসতে না পারায় রোববার বিকেলে মাগুরায় আসি আমি। রাতে রূপা এবং তমালকে এক জায়গায় বসিয়ে তমালের কাছে বিয়ের ব্যাপারে জানতে চাই। তখন তমাল স্বীকার করে সে রূপাকে না জানিয়ে গৃহকর্মীকে বিয়ে করেছে।

অপু আরও বলেন, বিয়ের সত্যতা জেনে সোমবার সকালে কীটনাশক পান করে রূপা। তাকে দ্রুত মাগুরা সদর হাসপাতালে আনা হয়। অবস্থার অবনতি হলে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর ১২টার দিকে রূপার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় পারিবারিকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, ফরিদপুর থেকে রূপার মরদেহ গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় তার বাবার বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। রূপা গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ার নবীর হোসেন মোল্যার মেয়ে।

মাগুরা জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সাজিদুর রহমান বলেন, সাবিকুন্নাহার রূপা দুই বছর আগে মাগুরা জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য হন। তার মৃত্যুতে আদালত অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। রূপার বিনা অনুমতিতে দ্বিতীয় বিয়ে ও আত্মহত্যার প্ররোচনার জন্য স্বামী তমাল মাহমুদের শাস্তি দাবি করেন তিনি।

মাগুরা সদর থানা পুলিশের ওসি সিরাজুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমরা জেনেছি। তিনি ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখানেই আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। তবে আমাদের কাছে কোনো অভিযোগ আসলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




স্বামী গৃহকর্মীকে বিয়ে করায় আইনজীবী স্ত্রীর আত্মহত্যা

আপডেট সময় : ০৯:৪৫:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ মে ২০১৯

জেলা প্রতিনিধি;
স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ের খবরে মাগুরায় বিষপানে সাবিকুন্নাহার রূপা (৩২) নামে এক নারী আইনজীবী আত্মহত্যা করেছেন। সোমবার সকালে কীটনাশক পান করে আত্মহত্যা করেন তিনি।

রূপার বড় ভাই মইনুল হোসেন অপু বলেন, মাগুরা শহরের পারনান্দুয়ালী এলাকার বাসিন্দা আব্দুর রহমান মুন্সীর ছেলে তমাল মাহমুদের সঙ্গে ১২ বছর আগে রূপার বিয়ে হয়। বিয়ের পর তারা ভালোই ছিল। সম্প্রতি রূপার স্বামী তমাল গোপনে গৃহকর্মীকে বিয়ে করে। বিষয়টি জানতে পারে রূপা। বৃহস্পতিবার রাতে রূপা আমাকে মোবাইলে ফোন করে জানায় সে খুব বিপদের মধ্যে আছে। আমাকে শুক্রবার সকালে মাগুরা আসতে বলে। ঘূর্ণিঝড় ফণীর কারণে শুক্রবারে আসতে না পারায় রোববার বিকেলে মাগুরায় আসি আমি। রাতে রূপা এবং তমালকে এক জায়গায় বসিয়ে তমালের কাছে বিয়ের ব্যাপারে জানতে চাই। তখন তমাল স্বীকার করে সে রূপাকে না জানিয়ে গৃহকর্মীকে বিয়ে করেছে।

অপু আরও বলেন, বিয়ের সত্যতা জেনে সোমবার সকালে কীটনাশক পান করে রূপা। তাকে দ্রুত মাগুরা সদর হাসপাতালে আনা হয়। অবস্থার অবনতি হলে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর ১২টার দিকে রূপার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় পারিবারিকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, ফরিদপুর থেকে রূপার মরদেহ গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় তার বাবার বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। রূপা গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ার নবীর হোসেন মোল্যার মেয়ে।

মাগুরা জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সাজিদুর রহমান বলেন, সাবিকুন্নাহার রূপা দুই বছর আগে মাগুরা জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য হন। তার মৃত্যুতে আদালত অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। রূপার বিনা অনুমতিতে দ্বিতীয় বিয়ে ও আত্মহত্যার প্ররোচনার জন্য স্বামী তমাল মাহমুদের শাস্তি দাবি করেন তিনি।

মাগুরা সদর থানা পুলিশের ওসি সিরাজুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমরা জেনেছি। তিনি ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখানেই আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। তবে আমাদের কাছে কোনো অভিযোগ আসলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।