ঢাকা ০১:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে প্রতিষ্ঠিত মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি হবে সত্যিকারের গ্রীন ক্যাম্পাসঃ ভিসি মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo প্রতারণাচক্র থেকে সাবধান থাকতে আহবান জানিয়েছেন শাবি উপাচার্য Logo শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্বোধনী কাজে সর্বদা সাপোর্ট থাকবে; শাবি উপাচার্য Logo জবি শিক্ষককে হেনস্থা, গুরু পাপে লঘু দণ্ড Logo কুবিতে ত্রিমুখী সংঘর্ষ, মারধরের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য: ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন




ঘূর্ণিঝড় ‘ফনি আঘাত হানতে পারে ৪ মে, মোকাবেলায় প্রস্তুত বাংলাদেশ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:৩৯:৪৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০১৯ ৯১ বার পড়া হয়েছে

সকালের সংবাদ;
ঘূর্ণিঝড় ‘ফনি’ মোকাবেলায় বাংলাদেশ প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান। বুধবার সচিবালয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘ফনি’ মোকাবেলায় প্রস্তুতি সভা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।

প্রতিমন্ত্রী জানান, ভারতের উপকূলে ঘূর্ণিঝড় ‘ফনি’ আঘাত হানার পর কিছুটা দুর্বল হয়ে আগামী ৪ মে বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে। তাই এটি মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, ঘূর্ণিঝড় ফনির ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় দেশের উপকূলীয় ১৯টি জেলায় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলার পাশাপাশি সংশ্লিষ্টদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, ঘূর্ণিঝড়টি এ মুহূর্তে ভারতের উড়িষ্যার দিকে রয়েছে। আগামী ৪ তারিখে এটি বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে।

এদিকে বুধবার আবহাওয়া অধিদফতর থেকে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে দুই নম্বর দূরবর্তী হুশিয়ারি সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে চার নম্বর স্থানীয় হুশিয়ারি সংকেত (পুনঃ) দেখাতে বলা হয়েছে।

এটি বুধবার দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৩৫ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১১৯০ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১০৯৫ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ১১০০ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।

এটি আরও ঘণীভূত হয়ে উত্তর/উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিমির মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৬০ কিমি, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৮০ কিমি পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে, যাতে স্বল্প সময়ের নোটিশে তারা নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে পারে। সেই সঙ্গে তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




ঘূর্ণিঝড় ‘ফনি আঘাত হানতে পারে ৪ মে, মোকাবেলায় প্রস্তুত বাংলাদেশ

আপডেট সময় : ১২:৩৯:৪৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০১৯

সকালের সংবাদ;
ঘূর্ণিঝড় ‘ফনি’ মোকাবেলায় বাংলাদেশ প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান। বুধবার সচিবালয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘ফনি’ মোকাবেলায় প্রস্তুতি সভা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।

প্রতিমন্ত্রী জানান, ভারতের উপকূলে ঘূর্ণিঝড় ‘ফনি’ আঘাত হানার পর কিছুটা দুর্বল হয়ে আগামী ৪ মে বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে। তাই এটি মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, ঘূর্ণিঝড় ফনির ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় দেশের উপকূলীয় ১৯টি জেলায় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলার পাশাপাশি সংশ্লিষ্টদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, ঘূর্ণিঝড়টি এ মুহূর্তে ভারতের উড়িষ্যার দিকে রয়েছে। আগামী ৪ তারিখে এটি বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে।

এদিকে বুধবার আবহাওয়া অধিদফতর থেকে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে দুই নম্বর দূরবর্তী হুশিয়ারি সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে চার নম্বর স্থানীয় হুশিয়ারি সংকেত (পুনঃ) দেখাতে বলা হয়েছে।

এটি বুধবার দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৩৫ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১১৯০ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১০৯৫ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ১১০০ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।

এটি আরও ঘণীভূত হয়ে উত্তর/উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিমির মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৬০ কিমি, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৮০ কিমি পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে, যাতে স্বল্প সময়ের নোটিশে তারা নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে পারে। সেই সঙ্গে তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।