ঢাকা ০৪:২১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্বোধনী কাজে সর্বদা সাপোর্ট থাকবে; শাবি উপাচার্য Logo জবি শিক্ষককে হেনস্থা, গুরু পাপে লঘু দণ্ড Logo কুবিতে ত্রিমুখী সংঘর্ষ, মারধরের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য: ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ




উপসচিবদের সুদমুক্ত গাড়ি ঋণে সার্ভিস চার্জ আরোপ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:৫৫:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০১৯ ৮৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক; 
প্রাধিকারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের গাড়ি কেনার জন্য সুদমুক্ত ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে এক শতাংশ হারে সার্ভিস চার্জ আরোপ করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এর ফলে উপসচিবদের গাড়ির ঋণ পেতে অতিরিক্ত ৩০ হাজার টাকা সার্ভিস চার্জ দিতে হবে। গত বৃহস্পতিবার এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

প্রাধিকারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে সরকারের উপসচিবরা ব্যক্তিগত গাড়ি কেনা, রেজিস্ট্রেশন, ফিটনেস ও ট্যাক্সের জন্য এককালীন ৩০ লাখ টাকা সুদমুক্ত ঋণ পান। গাড়ি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য তারা প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা গাড়িভাতা পান। আগে যুগ্ম সচিবরা প্রাধিকারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে গাড়ি কেনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য এ ঋণ পেতেন। কিন্তু ২০১৭ সালের জুন থেকে উপসচিবদেরও প্রাধিকারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে স্বীকৃতি দেয় সরকার। এরপর থেকে তারাও গাড়ি কেনা ও রক্ষণাবেক্ষণের এ সুবিধা পাচ্ছেন।

সরকারের এ সেবা নিয়ে প্রশাসন ক্যাডার ছাড়া অন্য সব ক্যাডারের আপত্তি রয়েছে। কারণ গাড়ি কেনার এ ঋণ ও রক্ষণাবেক্ষণ ভাতা সুবিধা পান শুধুমাত্র উপসচিবরা। সরকারের বিশেষ পদ উপসচিব পদে পদোন্নতি পান প্রশাসন ক্যাডারের সিনিয়র সহকারী সচিবরা। অন্যান্য ক্যাডার থেকেও উপসচিব পদে পদোন্নতির বিধান রয়েছে। তবে এ সুযোগ নিতে গিয়ে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের তুলনায় অন্যান্য ক্যাডারের কর্মকর্তারা পদোন্নতি ও পদায়নের ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়েন।

বাকি ২৬ ক্যাডারের কর্মকর্তারা উপসচিব না হওয়ায় তারা এ সুবিধা পান না। শুধুমাত্র গাড়ি  সুবিধা পেতে অন্যান্য ক্যাডারের অনেক কর্মকর্তা ক্যাডার বদল করে উপসচিব পদে পদোন্নতি নেন। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা যে ক্যাডারটি ত্যাগ করেছেন সেই ক্যাডার। কারণ বিসিএস পরীক্ষায় পাস করে প্রথম শ্রেণির সরকারি চাকরিতে নিয়োগ পাওয়ার পর কর্মকর্তাদের যে দীর্ঘমেয়াদি বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় তা হয় ক্যাডারভিত্তিক।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা যখন সেই ক্যাডার ত্যাগ করেন, তখন এ-সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ তার কোনো কাজে আসে না।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




উপসচিবদের সুদমুক্ত গাড়ি ঋণে সার্ভিস চার্জ আরোপ

আপডেট সময় : ০৩:৫৫:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক; 
প্রাধিকারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের গাড়ি কেনার জন্য সুদমুক্ত ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে এক শতাংশ হারে সার্ভিস চার্জ আরোপ করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এর ফলে উপসচিবদের গাড়ির ঋণ পেতে অতিরিক্ত ৩০ হাজার টাকা সার্ভিস চার্জ দিতে হবে। গত বৃহস্পতিবার এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

প্রাধিকারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে সরকারের উপসচিবরা ব্যক্তিগত গাড়ি কেনা, রেজিস্ট্রেশন, ফিটনেস ও ট্যাক্সের জন্য এককালীন ৩০ লাখ টাকা সুদমুক্ত ঋণ পান। গাড়ি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য তারা প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা গাড়িভাতা পান। আগে যুগ্ম সচিবরা প্রাধিকারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে গাড়ি কেনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য এ ঋণ পেতেন। কিন্তু ২০১৭ সালের জুন থেকে উপসচিবদেরও প্রাধিকারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে স্বীকৃতি দেয় সরকার। এরপর থেকে তারাও গাড়ি কেনা ও রক্ষণাবেক্ষণের এ সুবিধা পাচ্ছেন।

সরকারের এ সেবা নিয়ে প্রশাসন ক্যাডার ছাড়া অন্য সব ক্যাডারের আপত্তি রয়েছে। কারণ গাড়ি কেনার এ ঋণ ও রক্ষণাবেক্ষণ ভাতা সুবিধা পান শুধুমাত্র উপসচিবরা। সরকারের বিশেষ পদ উপসচিব পদে পদোন্নতি পান প্রশাসন ক্যাডারের সিনিয়র সহকারী সচিবরা। অন্যান্য ক্যাডার থেকেও উপসচিব পদে পদোন্নতির বিধান রয়েছে। তবে এ সুযোগ নিতে গিয়ে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের তুলনায় অন্যান্য ক্যাডারের কর্মকর্তারা পদোন্নতি ও পদায়নের ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়েন।

বাকি ২৬ ক্যাডারের কর্মকর্তারা উপসচিব না হওয়ায় তারা এ সুবিধা পান না। শুধুমাত্র গাড়ি  সুবিধা পেতে অন্যান্য ক্যাডারের অনেক কর্মকর্তা ক্যাডার বদল করে উপসচিব পদে পদোন্নতি নেন। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা যে ক্যাডারটি ত্যাগ করেছেন সেই ক্যাডার। কারণ বিসিএস পরীক্ষায় পাস করে প্রথম শ্রেণির সরকারি চাকরিতে নিয়োগ পাওয়ার পর কর্মকর্তাদের যে দীর্ঘমেয়াদি বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় তা হয় ক্যাডারভিত্তিক।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা যখন সেই ক্যাডার ত্যাগ করেন, তখন এ-সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ তার কোনো কাজে আসে না।