ঢাকা ০১:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo কুবির শেখ হাসিনা হলের নতুন প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মেহের নিগার Logo শাবিপ্রবিতে সুষ্ঠভাবে গুচ্ছভুক্ত ‘খ’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন Logo গুচ্ছ খ-ইউনিট ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষা উপকরণ ও সুপেয় পানি দিয়ে শাবি ছাত্রলীগের সহযোগিতা Logo মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে প্রতিষ্ঠিত মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি হবে সত্যিকারের গ্রীন ক্যাম্পাসঃ ভিসি মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo প্রতারণাচক্র থেকে সাবধান থাকতে আহবান জানিয়েছেন শাবি উপাচার্য Logo শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্বোধনী কাজে সর্বদা সাপোর্ট থাকবে; শাবি উপাচার্য Logo জবি শিক্ষককে হেনস্থা, গুরু পাপে লঘু দণ্ড Logo কুবিতে ত্রিমুখী সংঘর্ষ, মারধরের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন




নতুন ছবি নিয়ে প্রযোজকের সঙ্গে দ্বন্দ্বে স্বস্তিকা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৪২:৫৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৫ এপ্রিল ২০১৯ ১২৭ বার পড়া হয়েছে

বিনোদন ডেস্ক; স্বস্তিকা মুখার্জির ‘কিয়া অ্যান্ড কসমস’ ছবিটি সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে। তবে হলে দর্শক টানতে ব্যর্থ হচ্ছে ছবিটি। বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন স্বস্তিকা। আর এতেই নায়িকার সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে গেছেন প্রযোজক।

‘কিয়া অ্যান্ড কসমস’ ছবির গল্প এক স্পেশাল চাইল্ড নিয়ে। ১৫ বছরের এক কিশোরী ‘কিয়া’কে নিয়েই গড়ে উঠেছে এই ছবির প্রেক্ষাপট। কিয়া আর পাঁচজনের মতো সুস্থ-স্বাভাবিক নয়। সে ‘পারভেসিভ ডেভেলপমেন্টাল ডিসঅর্ডার’-এ আক্রান্ত। যে রোগের কারণে কিয়ার বয়স ১৫ বছর হলেও তার মানসিক বিকাশ ওই বয়সের কিশোরীদের মতো নয়। স্বস্তিকা মুখার্জি ছবিটিতে কিয়ার মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন।

ছবিটি মুক্তি পাওয়ার পর স্বস্তিকা সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেন, ‘কোনো পোস্টার নেই। হোর্ডিং নেই। হয়তো হবেও না, কারণ বাজেট নেই। কিন্তু তাতে ভালো সিনেমা তৈরির প্রতি আমাদের বিশ্বাসকে আটকানো যাবে না। আপনিও যদি একই কথা বিশ্বাস করেন, ছবিটি দেখুন।’

এছাড়া আনন্দবাজার পত্রিকাকে স্বস্তিকা মুখার্জি জানান, ছবিটির প্রচার ঠিক মতো হয়নি। ছবিটি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছিল কিন্তু দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতায় তিনি দেখেছিলেন সব মিডিয়ার আমন্ত্রণ সেখানে ছিল না। বাংলা ছবির একটা বড় জায়গা জুড়ে থাকে প্রচারের ভাবনা।

স্বস্তিকা আরও বলেন, প্রযোজক ছবির জন্য নিশ্চয়ই টাকা দিয়েছেন কিন্তু সংবাদপত্র, টেলিভিশন, সোশ্যাল মিডিয়ার মতো প্ল্যাটফর্মে ছবির প্রচার এবং দর্শকদের মধ্যে ছবির ভাবনা ছড়িয়ে পড়েনি। বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে নতুন পরিচালকদের সমর্থন করার জায়গাটা তৈরি হয়নি।

স্বস্তিকার সাক্ষাৎকারের পর ‘কিয়া অ্যান্ড কসমস’ ছবির প্রযোজক পবন কানোরিয়া জানান, স্বস্তিকার বক্তব্যের সঙ্গে তিনি এক মত নন। স্বস্তিকা মুখার্জি ছবিতে অসাধারণ কাজ করেছেন। স্বস্তিকার অভিনয় এবং পরিচালক এ ছবির সম্পদ। কিন্তু আমার বিরুদ্ধে স্বস্তিকা যে অভিযোগ করেছেন তা ঠিক নয়।

স্বস্তিকা প্রশ্ন রেখে বলেন, শুধু টাকা দিয়েই কী প্রযোজকের কাজ শেষ হয়ে যায়? এতদিন ধরে আমি ভালো কনটেন্টের ছবিকেই সাপোর্ট করে আসছি। বুদ্ধদেব দাশগুপ্তর ‘টোপ’, সুমন মুখোপাধ্যায়ের ‘কাঙাল মালসাট’ কেউ প্রযোজনা করতে রাজি ছিল না। আমি এগিয়ে এসেছিলাম। কারণ, সিনেমা আমার প্যাশনের জায়গা, প্রেমের জায়গা। শুধু টাকা দিয়ে উদ্ধার করার প্রবৃত্তি হলে আমি বিদেশে টাকা লাগাতাম। এমন জায়গায় টাকা দিতাম না যেখান থেকে ফেরত আসার সম্ভাবনা কম।

তবে পবন কানোরিয়া দাবি করেন ছবিটির জন্য যথাসাধ্য প্রচার করে চলেছেন তিনি। জানান, শহরে বড় বড় জায়গায় ১৮টি হোর্ডিং আছে এই ছবির। পোস্টার দেয়া হয়েছে। মেট্রো স্টেশনে ছবির প্রচার হচ্ছে। খবরের কাগজে বিজ্ঞাপন দেয়া হয়েছে। আর কী করব?

পবন কানোরিয়া আরও বলেন, স্বস্তিকা একজন নাম করা অভিনেত্রী, ছবিতে ওঁর যোগ্য সম্মানিক দেয়া হয়েছে। বিনা পারিশ্রমিকে উনি কাজ করেননি। আর একটা ভালো ছবি আমরা সবাই মিলে করলাম। উনি দারুণ অভিনয় করলেন। তো উনি ছবির প্রচার, ডিস্ট্রিবিউশন নিয়ে নেগেটিভ কথা বলছেন। এটা বললে কী বাংলা ছবিকে সাপোর্ট করা হচ্ছে? আমার খুব খারাপ লেগেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




নতুন ছবি নিয়ে প্রযোজকের সঙ্গে দ্বন্দ্বে স্বস্তিকা

আপডেট সময় : ১০:৪২:৫৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৫ এপ্রিল ২০১৯

বিনোদন ডেস্ক; স্বস্তিকা মুখার্জির ‘কিয়া অ্যান্ড কসমস’ ছবিটি সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে। তবে হলে দর্শক টানতে ব্যর্থ হচ্ছে ছবিটি। বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন স্বস্তিকা। আর এতেই নায়িকার সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে গেছেন প্রযোজক।

‘কিয়া অ্যান্ড কসমস’ ছবির গল্প এক স্পেশাল চাইল্ড নিয়ে। ১৫ বছরের এক কিশোরী ‘কিয়া’কে নিয়েই গড়ে উঠেছে এই ছবির প্রেক্ষাপট। কিয়া আর পাঁচজনের মতো সুস্থ-স্বাভাবিক নয়। সে ‘পারভেসিভ ডেভেলপমেন্টাল ডিসঅর্ডার’-এ আক্রান্ত। যে রোগের কারণে কিয়ার বয়স ১৫ বছর হলেও তার মানসিক বিকাশ ওই বয়সের কিশোরীদের মতো নয়। স্বস্তিকা মুখার্জি ছবিটিতে কিয়ার মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন।

ছবিটি মুক্তি পাওয়ার পর স্বস্তিকা সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেন, ‘কোনো পোস্টার নেই। হোর্ডিং নেই। হয়তো হবেও না, কারণ বাজেট নেই। কিন্তু তাতে ভালো সিনেমা তৈরির প্রতি আমাদের বিশ্বাসকে আটকানো যাবে না। আপনিও যদি একই কথা বিশ্বাস করেন, ছবিটি দেখুন।’

এছাড়া আনন্দবাজার পত্রিকাকে স্বস্তিকা মুখার্জি জানান, ছবিটির প্রচার ঠিক মতো হয়নি। ছবিটি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছিল কিন্তু দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতায় তিনি দেখেছিলেন সব মিডিয়ার আমন্ত্রণ সেখানে ছিল না। বাংলা ছবির একটা বড় জায়গা জুড়ে থাকে প্রচারের ভাবনা।

স্বস্তিকা আরও বলেন, প্রযোজক ছবির জন্য নিশ্চয়ই টাকা দিয়েছেন কিন্তু সংবাদপত্র, টেলিভিশন, সোশ্যাল মিডিয়ার মতো প্ল্যাটফর্মে ছবির প্রচার এবং দর্শকদের মধ্যে ছবির ভাবনা ছড়িয়ে পড়েনি। বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে নতুন পরিচালকদের সমর্থন করার জায়গাটা তৈরি হয়নি।

স্বস্তিকার সাক্ষাৎকারের পর ‘কিয়া অ্যান্ড কসমস’ ছবির প্রযোজক পবন কানোরিয়া জানান, স্বস্তিকার বক্তব্যের সঙ্গে তিনি এক মত নন। স্বস্তিকা মুখার্জি ছবিতে অসাধারণ কাজ করেছেন। স্বস্তিকার অভিনয় এবং পরিচালক এ ছবির সম্পদ। কিন্তু আমার বিরুদ্ধে স্বস্তিকা যে অভিযোগ করেছেন তা ঠিক নয়।

স্বস্তিকা প্রশ্ন রেখে বলেন, শুধু টাকা দিয়েই কী প্রযোজকের কাজ শেষ হয়ে যায়? এতদিন ধরে আমি ভালো কনটেন্টের ছবিকেই সাপোর্ট করে আসছি। বুদ্ধদেব দাশগুপ্তর ‘টোপ’, সুমন মুখোপাধ্যায়ের ‘কাঙাল মালসাট’ কেউ প্রযোজনা করতে রাজি ছিল না। আমি এগিয়ে এসেছিলাম। কারণ, সিনেমা আমার প্যাশনের জায়গা, প্রেমের জায়গা। শুধু টাকা দিয়ে উদ্ধার করার প্রবৃত্তি হলে আমি বিদেশে টাকা লাগাতাম। এমন জায়গায় টাকা দিতাম না যেখান থেকে ফেরত আসার সম্ভাবনা কম।

তবে পবন কানোরিয়া দাবি করেন ছবিটির জন্য যথাসাধ্য প্রচার করে চলেছেন তিনি। জানান, শহরে বড় বড় জায়গায় ১৮টি হোর্ডিং আছে এই ছবির। পোস্টার দেয়া হয়েছে। মেট্রো স্টেশনে ছবির প্রচার হচ্ছে। খবরের কাগজে বিজ্ঞাপন দেয়া হয়েছে। আর কী করব?

পবন কানোরিয়া আরও বলেন, স্বস্তিকা একজন নাম করা অভিনেত্রী, ছবিতে ওঁর যোগ্য সম্মানিক দেয়া হয়েছে। বিনা পারিশ্রমিকে উনি কাজ করেননি। আর একটা ভালো ছবি আমরা সবাই মিলে করলাম। উনি দারুণ অভিনয় করলেন। তো উনি ছবির প্রচার, ডিস্ট্রিবিউশন নিয়ে নেগেটিভ কথা বলছেন। এটা বললে কী বাংলা ছবিকে সাপোর্ট করা হচ্ছে? আমার খুব খারাপ লেগেছে।