ঢাকা ১২:২৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo শাবির গণিত সমিতির ভিপি রাহুল ও সম্পাদক রিজভী Logo শাবিপ্রবির শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য শিক্ষা ও সংস্কৃতি সংঘের সভাপতি রনি, সম্পাদক দীপ্ত   Logo শাবিপ্রবির শাহপরান ও মুজতবা আলী হলে ৬ সহকারী প্রভোস্ট নিয়োগ Logo কুবির শেখ হাসিনা হলের নতুন প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মেহের নিগার Logo শাবিপ্রবিতে সুষ্ঠভাবে গুচ্ছভুক্ত ‘খ’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন Logo গুচ্ছ খ-ইউনিট ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষা উপকরণ ও সুপেয় পানি দিয়ে শাবি ছাত্রলীগের সহযোগিতা Logo মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে প্রতিষ্ঠিত মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি হবে সত্যিকারের গ্রীন ক্যাম্পাসঃ ভিসি মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo প্রতারণাচক্র থেকে সাবধান থাকতে আহবান জানিয়েছেন শাবি উপাচার্য Logo শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্বোধনী কাজে সর্বদা সাপোর্ট থাকবে; শাবি উপাচার্য Logo জবি শিক্ষককে হেনস্থা, গুরু পাপে লঘু দণ্ড




জবিতে আরেক শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৫৯:১৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ মার্চ ২০২৪ ৫৩ বার পড়া হয়েছে

সকালের সংবাদ ডেস্ক; জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকার মৃত্যুর রেশ কাটতে না কাটতেই আরেক শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ শিক্ষার্থীর।

পরীক্ষায় অনৈতিকভাবে ফেল করিয়ে দেওয়ার অভিযোগ বিভাগীয় প্রধানের দিকে। যৌন হয়রানির অভিযোগ তুললেন ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশনের এক শিক্ষার্থী।

এ নিয়ে গত তিন বছরে দুই তদন্ত কমিটির কাছে ৩ বার সাক্ষাৎকার দিলেও উপাচার্যের আশ্বাস ছাড়া তেমন কিছুই মেলেনি।

জানা যায়, ছদ্ম নাম মিতা। ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। অবন্তিকার ঘটনার পর নিজের সঙ্গে ঘটে যাওয়া যৌন হয়রানি নিয়ে মুখ খোলেন।

তিনি বলেন-
২০১৯ সালে নিজের প্রোডাকশন হাউসে ডেকে নিয়ে যৌন হয়রানি করেন শিক্ষক আবু শাহেদ ইমন। পর বেশ কয়েকবার একই শিক্ষকের মাধ্যমে হয়রানির শিকার হন তিনি।

ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী আরও বলেন, নিজেকে কীভাবে নিরাপদ করে আবার ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে এনেছি, তা বলতে পারবো না। তার আক্রোশ থেকে আমি বের হতে পারিনি। ক্লাসে তার কোর্সের অ্যাসাইনমেন্ট আমি যখন বিভাগে সাবমিট করতে যাই, তখনও তিনি আমাকে স্পর্শ করেছেন।

তিনি বলেন, ২০২১ সালে লিখিত অভিযোগ দিলেও তিন বছরে কোনো লাভ হয়নি। উল্টো দুই তদন্ত কমিটির কাছে ৩ বার দিতে হয়েছে সাক্ষাৎকার। তবে তদন্ত ঠেকাতে হাইকোর্টে গিয়েও সুবিধা করতে পারেনি অভিযুক্ত শিক্ষক।

এসব অভিযোগ নিয়ে জানতে যোগাযোগ করা হয় শিক্ষক ইমনের সঙ্গে। যদিও বিষয়টি বানোয়াট বলে দাবি তার।

প্রসঙ্গ, শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাতে জবির সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও আইন বিভাগের শিক্ষার্থী রায়হান সিদ্দিকী আম্মানকে (আম্মান সিদ্দিকী) দায়ী করে ফেসবুকে পোস্ট দেন ফাইরুজ অবন্তিকা। এরপর ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। এরপর থেকে উত্তাল হয়ে ওঠে পুরো বিশ্ববিদ্যালয়।

Loading

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




জবিতে আরেক শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ

আপডেট সময় : ১১:৫৯:১৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ মার্চ ২০২৪

সকালের সংবাদ ডেস্ক; জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকার মৃত্যুর রেশ কাটতে না কাটতেই আরেক শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ শিক্ষার্থীর।

পরীক্ষায় অনৈতিকভাবে ফেল করিয়ে দেওয়ার অভিযোগ বিভাগীয় প্রধানের দিকে। যৌন হয়রানির অভিযোগ তুললেন ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশনের এক শিক্ষার্থী।

এ নিয়ে গত তিন বছরে দুই তদন্ত কমিটির কাছে ৩ বার সাক্ষাৎকার দিলেও উপাচার্যের আশ্বাস ছাড়া তেমন কিছুই মেলেনি।

জানা যায়, ছদ্ম নাম মিতা। ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। অবন্তিকার ঘটনার পর নিজের সঙ্গে ঘটে যাওয়া যৌন হয়রানি নিয়ে মুখ খোলেন।

তিনি বলেন-
২০১৯ সালে নিজের প্রোডাকশন হাউসে ডেকে নিয়ে যৌন হয়রানি করেন শিক্ষক আবু শাহেদ ইমন। পর বেশ কয়েকবার একই শিক্ষকের মাধ্যমে হয়রানির শিকার হন তিনি।

ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী আরও বলেন, নিজেকে কীভাবে নিরাপদ করে আবার ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে এনেছি, তা বলতে পারবো না। তার আক্রোশ থেকে আমি বের হতে পারিনি। ক্লাসে তার কোর্সের অ্যাসাইনমেন্ট আমি যখন বিভাগে সাবমিট করতে যাই, তখনও তিনি আমাকে স্পর্শ করেছেন।

তিনি বলেন, ২০২১ সালে লিখিত অভিযোগ দিলেও তিন বছরে কোনো লাভ হয়নি। উল্টো দুই তদন্ত কমিটির কাছে ৩ বার দিতে হয়েছে সাক্ষাৎকার। তবে তদন্ত ঠেকাতে হাইকোর্টে গিয়েও সুবিধা করতে পারেনি অভিযুক্ত শিক্ষক।

এসব অভিযোগ নিয়ে জানতে যোগাযোগ করা হয় শিক্ষক ইমনের সঙ্গে। যদিও বিষয়টি বানোয়াট বলে দাবি তার।

প্রসঙ্গ, শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাতে জবির সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও আইন বিভাগের শিক্ষার্থী রায়হান সিদ্দিকী আম্মানকে (আম্মান সিদ্দিকী) দায়ী করে ফেসবুকে পোস্ট দেন ফাইরুজ অবন্তিকা। এরপর ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। এরপর থেকে উত্তাল হয়ে ওঠে পুরো বিশ্ববিদ্যালয়।

Loading