ঢাকা ০৭:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo শাবিপ্রবিতে সুষ্ঠভাবে গুচ্ছভুক্ত ‘খ’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন Logo গুচ্ছ খ-ইউনিট ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষা উপকরণ ও সুপেয় পানি দিয়ে শাবি ছাত্রলীগের সহযোগিতা Logo মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে প্রতিষ্ঠিত মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি হবে সত্যিকারের গ্রীন ক্যাম্পাসঃ ভিসি মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo প্রতারণাচক্র থেকে সাবধান থাকতে আহবান জানিয়েছেন শাবি উপাচার্য Logo শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্বোধনী কাজে সর্বদা সাপোর্ট থাকবে; শাবি উপাচার্য Logo জবি শিক্ষককে হেনস্থা, গুরু পাপে লঘু দণ্ড Logo কুবিতে ত্রিমুখী সংঘর্ষ, মারধরের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য: ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক




দীপন হত্যা মামলার চার্জশিট গ্রহণ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:৪৪:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০১৯ ৩১৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ জাগৃতি প্রকাশনীর প্রকাশক ফয়সাল আরেফীন দীপন হত্যা মামলায় নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) ৮ সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আমলে নিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। এছাড়া মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ১১ জনকে অব্যাহতির যে সুপারিশ করেছেন তা মঞ্জুর করেছেন বিচারক।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সন্ত্রাস দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুজিবুর রহমান চার্জশিট আমলে নিয়ে ১১ জনকে অব্যাহতি দেন। এছাড়াও এ মামলায় পলাতক দু’জন আসামি সৈয়দ জিয়াউল হক ও আকরাম হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল।

ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এর আগে ১৮ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনসারি চার্জশিটটি ‘দেখিলাম’ বলে স্বাক্ষর করে মামলাটি বিচারের জন্য বদলির আদেশ দেন। আইনানুযায়ী মামলাটির বিচার হবে সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালে।

১৫ নভেম্বর একই আদালতে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে চার্জশিটটি দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি দক্ষিণের সহকারী পুলিশ কমিশনার ফজলুর রহমান। চার্জশিটে আটজনকে অভিযুক্ত ও ১১ জনকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়।

অভিযুক্তরা হলেন- মইনুল হাসান শামীম (২৪) (সাংগঠনিক নাম সিফাত ওরফে সামির ওরফে ইমরান), মো. আ. সবুর (২৩) (সাংগঠনিক নাম আ. সামাদ ওরফে সুজন ওরফে রাজু ওরফে সাধ), খাইরুল ইসলাম (২৪) (সাংগঠনিক নাম জামিল ওরফে রিফাত ওরফে ফাহিম ওরফে জিসান), মো. আবু সিদ্দিক সোহেল (৩৪) (সাংগঠনিক নাম সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব), মো. মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন (২৫) (সাংগঠনিক নাম শাহরিয়ার), মো. শেখ আব্দুল্লাহ (২৭) (সাংগঠনিক নাম জুবায়ের ওরফে জায়েদ ওরফে জাবেদ ওরফে আবু ওমায়ের), বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চাকরিচ্যুত মেজর বলে কথিত সৈয়দ জিয়াউল হক (৫০) (সাংগঠনিক নাম সাগর ওরফে ইশতিয়াক ওরফে বড় ভাই) এবং আকরাম হোসেন ওরফে হাসিব (২৮) (সাংগঠনিক নাম আবির ওরফে আদনান ওরফে আব্দুল্লাহ)।

অভিযুক্তদের মধ্যে ছয়জনকে গোয়েন্দা বিভাগ গ্রেফতার করেছে এবং তারা প্রত্যেকেই আদালতে কার্যবিধি ১৬৪ ধারা অনুযায়ী স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এ মামলায় পলাতক দু’জন হলেন সৈয়দ জিয়াউল হক ও আকরাম হোসেন। তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়।

অব্যাহতির সুপারিশ করা আসামিরা হলেন- আরাফাত রহমান, সেলিম ওরফে হাদী, আলম, আকাশ, তৈয়ব, জনি, আসাদ, হাসান, তালহা, শরিফুল ও তারেক।

চার্জশিটে বলা হয়, দীপনকে হত্যার নির্দেশদাতা, মূল পরিকল্পনা ও নেতৃত্বে ছিলেন পলাতক সৈয়দ জিয়াউল হক। আসামি খাইরুল, আবদুস সবুর ও মইনুলকে তিনি হত্যাকাণ্ডের আগে প্রশিক্ষণ দেন।

২০১৬ সালের ৩১ নভেম্বর রাজধানীর শাহবাগে আজিজ সুপার মার্কেটের নিজ অফিসে জাগৃতি প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী দীপনকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। সেদিন বিকেলে তার স্ত্রী রাজিয়া রহমান শাহবাগ থানায় হত্যা মামলা করেন

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




দীপন হত্যা মামলার চার্জশিট গ্রহণ

আপডেট সময় : ০৮:৪৪:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ জাগৃতি প্রকাশনীর প্রকাশক ফয়সাল আরেফীন দীপন হত্যা মামলায় নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) ৮ সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আমলে নিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। এছাড়া মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ১১ জনকে অব্যাহতির যে সুপারিশ করেছেন তা মঞ্জুর করেছেন বিচারক।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সন্ত্রাস দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুজিবুর রহমান চার্জশিট আমলে নিয়ে ১১ জনকে অব্যাহতি দেন। এছাড়াও এ মামলায় পলাতক দু’জন আসামি সৈয়দ জিয়াউল হক ও আকরাম হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল।

ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এর আগে ১৮ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনসারি চার্জশিটটি ‘দেখিলাম’ বলে স্বাক্ষর করে মামলাটি বিচারের জন্য বদলির আদেশ দেন। আইনানুযায়ী মামলাটির বিচার হবে সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালে।

১৫ নভেম্বর একই আদালতে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে চার্জশিটটি দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি দক্ষিণের সহকারী পুলিশ কমিশনার ফজলুর রহমান। চার্জশিটে আটজনকে অভিযুক্ত ও ১১ জনকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়।

অভিযুক্তরা হলেন- মইনুল হাসান শামীম (২৪) (সাংগঠনিক নাম সিফাত ওরফে সামির ওরফে ইমরান), মো. আ. সবুর (২৩) (সাংগঠনিক নাম আ. সামাদ ওরফে সুজন ওরফে রাজু ওরফে সাধ), খাইরুল ইসলাম (২৪) (সাংগঠনিক নাম জামিল ওরফে রিফাত ওরফে ফাহিম ওরফে জিসান), মো. আবু সিদ্দিক সোহেল (৩৪) (সাংগঠনিক নাম সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব), মো. মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন (২৫) (সাংগঠনিক নাম শাহরিয়ার), মো. শেখ আব্দুল্লাহ (২৭) (সাংগঠনিক নাম জুবায়ের ওরফে জায়েদ ওরফে জাবেদ ওরফে আবু ওমায়ের), বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চাকরিচ্যুত মেজর বলে কথিত সৈয়দ জিয়াউল হক (৫০) (সাংগঠনিক নাম সাগর ওরফে ইশতিয়াক ওরফে বড় ভাই) এবং আকরাম হোসেন ওরফে হাসিব (২৮) (সাংগঠনিক নাম আবির ওরফে আদনান ওরফে আব্দুল্লাহ)।

অভিযুক্তদের মধ্যে ছয়জনকে গোয়েন্দা বিভাগ গ্রেফতার করেছে এবং তারা প্রত্যেকেই আদালতে কার্যবিধি ১৬৪ ধারা অনুযায়ী স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এ মামলায় পলাতক দু’জন হলেন সৈয়দ জিয়াউল হক ও আকরাম হোসেন। তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়।

অব্যাহতির সুপারিশ করা আসামিরা হলেন- আরাফাত রহমান, সেলিম ওরফে হাদী, আলম, আকাশ, তৈয়ব, জনি, আসাদ, হাসান, তালহা, শরিফুল ও তারেক।

চার্জশিটে বলা হয়, দীপনকে হত্যার নির্দেশদাতা, মূল পরিকল্পনা ও নেতৃত্বে ছিলেন পলাতক সৈয়দ জিয়াউল হক। আসামি খাইরুল, আবদুস সবুর ও মইনুলকে তিনি হত্যাকাণ্ডের আগে প্রশিক্ষণ দেন।

২০১৬ সালের ৩১ নভেম্বর রাজধানীর শাহবাগে আজিজ সুপার মার্কেটের নিজ অফিসে জাগৃতি প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী দীপনকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। সেদিন বিকেলে তার স্ত্রী রাজিয়া রহমান শাহবাগ থানায় হত্যা মামলা করেন